ছড়া

শ্যামল বণিক অঞ্জন গুচ্ছ ছড়া

কাঁপছে শীতে দেশ

কাঁপছে শীতে দেশ
তবু ধনী আছে বেশ,
জানাচ্ছে রোজ
শীত শুভেচ্ছা
মনে খুশির রেশ!
গরম কাপড় দিয়ে গায়
আহা,দারুণ উষ্ণতায়,
পৌষ পার্বণে মন আনন্দে
পিঠা পায়েশ খায়।
ওদের পাথরসম মন
করে বিরুপ আচরণ,
গরীব দু:খীর দিকে ওদের
পড়েনা নয়ন।
ওদের কাঁদেনা হায় প্রাণ
কভু করেনা তো দান,
গরম ঘরের নরম গদীর
প্রতিই কেবল টান।
মুখে বড় কথা খুব
পিছে মনে বড্ড লোভ,
স্বার্থসিদ্ধির জন্য ওরা
ঝোপ বুঝে দেয় কোপ!
দেখো,ওরাই সমাজপতি
বুঝে রাজনীতিরই গতি,
অসহায়ের প্রতি
খাঁটি প্রেম নেই একরতি!

শীতের আনন্দ

পৌষ পার্বণে নিশু
গ্রামে দাদু বাড়ী যায়,
দাদীর হাতে তৈরী
মজাদার পিঠা খায়।
কলা পিঠা দুধ চুসি
খেয়ে নিশু মজা পায়,
ভাপাকুলি মালপোয়া
নিশু বারেবারে চায়।
হিম হিম প্রভাতে
নিশু ধরে বায়না,
ভাপা পিঠা ছাড়া নিশু
নাস্তাটা খায়না।
আরো চায় টাটকা
খেজুরের রস যে,
শীতে গ্রামের পরিবেশে
নিশু হয় বশ যে!
মন কেড়ে নেয় তাঁর
পায়েশের গন্ধ,
গ্রামে নিশু পায় খাঁটি
শীতেরই আনন্দ!

প্রেক্ষাপট-১৮

ঝিরিঝিরি হাওয়া বয়
হিম হিম এসকাল,
শীতে কাঁপে দেহ মন
প্রকৃতি বেসামাল।
মনে হয় সোহাগে,
মমতা আদরে
ঢাকা যেন জনপদ
কুঁয়াশার চাঁদরে।
সূর্য্যটাও আজ হায়
লুকিয়েছে মুখটা,
দেয়নাতো উঁকিঝুকি
খুলেনা দুচোখটা!
দেহে কাঁটা দেওয়া শীত
ছাড়িয়েছে মাত্রা,
থেমে নেই তবুওতো
এজীবন যাত্রা!
যতোক্ষণ চালু আছে
এজীবন যন্ত্র,
চলো ছুটে যাও খেটে
যপে এই মন্ত্র।
থাক শীত বর্ষা
খেতে হবে বারোমাস,
নেই উপায় আয়েশের
যতোক্ষণ আছে শ্বাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *