গুচ্ছ ছড়া সৈয়দ শরীফ
মিস্টার শংকর
মিস্টার শংকর
শত্রু সে অংকর
খাতা দিয়ে খালি কয়—
এই ছবি রং কর।
আরও আছে বক্কর
দেয় ক্লাসে টক্কর
মার খেয়ে ফেইস হয়
লক্কর ঝক্কর !
আমি বস্ অন্তর
ডাক্তারও দন্ত’র
দাঁত ভাঙি— যাদু আর
দেই ফুঁ ছু-মন্তর !
সকাল বেলার সুখ
ঘুম ভেঙেছে, সকাল হলো
সূর্য হাসে আকাশে,
তালমিলিয়ে বেশ তো দেখি
ময়না, টিয়া, কাক আসে।
মুরগী ডাকে, হাঁস বেঁধে ঝাঁক
ছোটে এদিক ওদিকে,
মাছ ধরাতে ব্যস্ত রাখে
জেলে সকল নদীকে।
সকাল বেলা বাতাস ছুটে
স্বচ্ছ করে চারপাশ, আর
পাখি উঠে তুলছে ডেকে
আছেন যারা তার বাসার।
পাঠশালাতে যাচ্ছে ছুটে
শিশু-কিশোর ঝাঁক বেঁধে,
যাচ্ছে চলে সকাল— তোরা
একটু তাকে রাখ বেঁধে।
ভিজানো
ঝড় হয়,
ঘর হয়
নড়বড়।
পরপর
শব্দে
জব্দে
আছি তাই।
মাছি তাই
চুপচাপ—
খুব চাপ
বৃষ্টির।
দৃষ্টির
বাইরে
নাই রে
কোনো ঝড়।
শোনো ঝড়
থামবে?
নামবে
কত আর?
অত আর
কী জানো?
ভিজানো?
সুঁই চোর
এই খোকা তুই তিনখানা সুঁই
বল রেখেছিস কীসে?
পাচ্ছি না তো, হচ্ছে মা তোর
পাগলি— মাথার বিষে !
এই যে কাঁথা হয়নি গাঁথা
খুব এখনো বাকি,
কত্ত করে বলছি তোরে
ঢুকছে মাথায় তা কি?
শীত এসেছে কাঁপবি নেচে
আর পাবি না কাঁথা,
বলবি পরে ‘শীত যে করে’—
গা’য় দিবি তাল পাতা?
করবিটা কী— এই কাঁথা কি
রাখবো অমন আধা?
সুঁই খুঁজে আন, নয় চড়ে কান
মচকে দেবো গাধা।