ছড়া

নির্বাচিত ছড়া- এরশাদ জাহান

ছোট্ট ফড়িং তিড়িং বিড়িং
নাচছিলো সে সবুজ ঘাসে,
তাই না দেখে খুশি মেখে
একটি শালিক মুচকি হাসে।
ফড়িং ভাবে কাছেই যাবে
শালিক বুঝি বাসেই ভালো,
কিন্তু সেকি! দুষ্ট শালিক
সেই সুযোগে ঘাড় মটকালো।

দুইটি পুতুল বানিয়ে নিতুল
নাম রাখলো রাতুল মিতুল।
মা নাকি সে এক পুতুলের
আরেক পুতুল বোন তুতুলের।
নিতুল বলে ডাক না কাজি
ওদের বিয়ে দেবোই আজই।
বর-কনে সাজ সাজিয়ে পুতুল
সাজলো বেয়ান নিতুল তুতুল।

পদ্মপাতায় ছোট্ট সাপ
খাচ্ছে বসে রোদের তাপ
কিন্ত সেকি বাপরে বাপ
চিল এসে কয় নেই রে মাফ
ক্ষুধায় পেটে উঠছে ভাপ
তাই খাব আজ স্নেকচাপ।

দিঘির জলে হেলেদুলে
টেংরা পুঁটি নাচ করে
চুপটি মেরে মাছরাঙাটা
দূরত্ব তার আঁচ করে
সুযোগ বুঝে ছোঁ মেরে সে
এক সাথে তিন কাজ করে।

লা টুকটুক লাল
সামির দুটো গাল
টিয়াপাখি ভাবল ওটা
পাকা মরিচ টাল।

লাল টুকটুক লাল
মিঠা নাকি ঝাল
দেখবে বলে একটু চেখে
ঠোঁট লাগিয়ে টিয়া দেখে
নরম ও তুলতুল
করল সে কী ভুল
পাকা মরিচ নয় তো ওটা
যেন গোলাপ ফুল।

জৈষ্ঠের দুপুরে
ঝুমু ঝুম নূপুরে
এলো ঐ
বৃষ্টি
বৃষ্টির ঝুম তালে
আম পড়ে ধুম তালে
কাঁচা পাকা
মিষ্টি।

খুকি ও প্রজাপতি
প্রজাপতি প্রজাপতি
ভরদুপুরে কোথায় যাও?
মাঠ পেরিয়ে ঘাট পেরিয়ে
ঐ তো দূরে ফুলের গাও।

প্রজাপতি প্রজাপতি
আমায় তবে সঙ্গে নাও।
খুকি সোনা খুকি সোনা
বোনটি আমার রাগ করো না
নাই যে তোমার দুইটি ডানা
উড়তে আছে ভীষণ মানা!

ভোর

রাত হয়েছে ভোর
আম্মু ডাকে উঠরে খোকা
খুল জানালা দোর।
পূব আকাশে অই
সূর্য হাসে, পাখির ঠোঁটে
ফুটছে গানের খৈ।
দেখ্ না চেয়ে তুই
ফুলবাগানে হাসছে আরও
গোলাপ বেলি জুঁই।

খুক ডাকে
আয় চাঁদ
আয়
আঁধারের জামা খুলে
খোঁপা বেঁধে তারা ফুলে
ছড়া গান গেয়ে গেয়ে
আকাশের মই বেয়ে
আমাদের
ছোট এই
গাঁ’য়।
খুকু ডাকে
আয় চাঁদ
আয়
পুকুরে সাঁতার কেটে
সারারাত হেঁটে হেঁটে
ঘুরেফিরে গ্রাম দেখে
চোখেমুখে খুশি এঁকে
ফিরে যাস
সকালের
নায়।

ছোট্ট মেয়ে টুপুর
পায়ে দিয়ে নূপুর
ক্যাসেটে সে গান ছেড়ে
নাচে সকাল দুপুর।

টুপুর যখন নাচে
বানর এসে কাছে
ক্যাসেটটাকে অফ করে
লাফিয়ে উঠে গাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *