কাব্যশীলনের পক্ষ থেকে অন্যতম কবি জাহিদুল হক-কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
কবি জাহিদুল হক। উনিশ শ ষাটের দশকের শেষ ভাগে তাঁর শিল্প জীবন শুরু করেন। পিতা মাতা উভয়ের দিক থেকেই। ক্ষয়িষ্ণু ও শিক্ষিত এক সামন্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পিতা-ডা. মোহাম্মদ নুরুল হক ভূঞা, মাতা জাহানারা খাতুন চৌধুরী। পিতা ছিলেন সরকারি চাকুরে, একজন চিকিৎসক। পিতার বদলির চাকরি কারণে দেশের অনেক গুলো স্কুলে এবং শেষে ফেনী কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাবজেক্ট মাস্টার্স করেন। তাঁর শিকড় কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার আকদিয়া গ্রামের বিখ্যাত ভূঞা বাড়িতে। র্কমজীবনে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব। দীর্ঘদিন র্জামানির কোলোনে রেডিও ‘ডয়েচে- ভেলে’র সিনিয়র এডিটর ও ব্রডকাস্টার হিসেবে কাজ করেন। প্রাচীন জাতীয় দৈনিক ‘সংবাদ’-এ কাজ করছেন সিনিয়র সহকারী সম্পাদক হিসেবে। কাজ করছেন উপ-মহাপরিচালক (অনুষ্ঠন) হিসেবে বাংলাদেশ বেতারে। তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিল্প বাড়ি নামের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে যাচ্ছেন। তাঁর প্রথম কবিতার বই প্রকাশ হয় ১৯৮২ সালে ‘পকেট ভর্তি মেঘ’ শিরোনামে। ১৯৮২ সালের পর থেকে তিনি লিখে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে প্রকাশ হয়েছে দশটি কবিতার বই পাঁচটি উপন্যাস। কবিতা সমগ্র ও গল্প সমগ্র। তিনি কালজয়ী গীতিকার। তাঁর লেখা বেশকিছু গান আছে। একজন কবি কেবল একটি মুগ্ধকর পঙক্তি লিখেও স্মরণীয় হতে পারেন। পৃথিবীতে এমন দৃষ্টান্ত আছে ভুরিভুরি। জাহিদুল হক তাঁর ‘আমার এ দু’টি চোখ’ গীতিকবিতার জন্য স্মরণীয় হয়ে রইবেন সন্দেহ নেই। এই গানটির জন্য শিল্পী সুবীর নন্দী জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১৯৭৮ সালে রেডিওতে রেকর্ডকৃত গানটি পরে ‘মহানায়ক’ ছবিতে যুক্ত হয়। গানটির সুর করেছেন শেখ সাদী খান। পরবর্তীসময়ে জাহিদুল হকের লেখা আরও বেশকটি গান শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। যেমন: ‘কথা দাও, কথাগুলো ফেরত নিবে না’, ‘যে দেশে বাতাস স্মৃতির স্পর্শে ভারি’, ‘তুমি চলে গেলে এ শহর কেন কাঁদে’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের গীতিকার তিনি। এছাড়া একজন গল্পকার হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি আছে। কবিতা লিখে পেয়েছেন ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ ও সংগীত বিভাগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া বিশেষ সম্মাননা সহ অনেক পুরস্কার। বাংলা একাডেমির একজন সম্মানিত ‘ফেলো ‘ এই কবি ইউরোপ ও এশিয়ার প্রধান নগরীগুলো ভ্রমণ করেছেন।
কৃতজ্ঞতা, কবি ফারুক সুমন কবি তারেক হাসান ও মেহেদী হাসান সোহান