কাব্যশীলনের পক্ষ থেকে মাসুম আওয়াল-কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
শিশুসাহিত্যিক হিসেবে মাসুম আওয়াল ইতোমধ্যে পরিচিতি অর্জন করেছেন। মূলত লেখালেখির প্রতি দুর্বলতার কারণে সাংবাদিকতায় জড়ান তিনি। বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম জাগো নিউজ ২৪.কম এ বিনোদন বিভাগে কর্মরত আছেন তিনি। আজ তার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন মাসুম আওয়াল।
১৯৮৬ সালের এ দিনে (২৫ এপ্রিল) রাজশাহীর পদ্মা তীরের গোয়ালপাড়া গ্রামে মাসুম আওয়ালের জন্ম। তার মা গুলশান আরা ও বাবা ইজাব উদ্দীন। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে ছোট হওয়ায় বেড়ে উঠেছেন পরিবারের সবার স্নেহ-ভালবাসায়।
২০১২ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেন। এরপর অংশগ্রহণ করেন বাংলা একাডেমি তরুণ লেখক প্রকল্পে। প্রশিক্ষণ শেষ হয় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এরপর থেকেই সাংবাদিকতা করছেন।
এ পর্যন্ত মাসুম আওয়ালের ৭ টি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম কিশোর কবিতার বই ‘সবুজ ফড়িং হলুদ ফড়িং’ প্রকাশ হয় ২০০৯ সালে। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় ছড়ার বই ‘ছুটছে মজার ছড়ার গাড়ি’, ২০১৩ সালে প্রকাশ হয় গল্পগ্রন্থ ‘জটা কবিরাজ ও ভূতুড়ে বটগাছ’ এবং ২০১৪ সালে প্রকাশ হয় ছড়ার বই ‘ভূততাড়ুয়া’।
২০১৮ সালে প্রকাশ হয় ছড়ার বই ,‘আমিও ফড়িং তুমিও ফড়িং’। ২০১৯ সালে প্রকাশ হয় ছড়ার বই ‘টই টই হই চই’ ও গল্পের বই ‘আশেকীন স্যারের ক্লাসে মিষ্টি একটা পরি’।
এর সব কয়টিই শিশুতোষ গ্রন্থ। এ ছাড়া ‘ছড়াকার’ নামের ছড়া বিষয়ক ছোটকাগজ সম্পাদনা করেন। কাগজটির প্রথম সংখ্যা প্রকাশ হয় ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
মাসুম জানান, তার পছন্দের ফুল কাশফুল আর প্রিয় রং নীল। খাবারে তেমন কোনো বাছ-বিচার নেই, তবে পরিচ্ছন্ন ও সুস্বাদু হওয়া চাই। অবসরে আড্ডা দিতে, বই পড়তে ও মুভি দেখতে ভাল লাগে।
জন্মদিনের অনুভূতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কাছের মানুষ ও বন্ধুরা এ দিনে শুভেচ্ছা জানায়। অনেকে হয়ত বহুদিন পর মোবাইল বা মেসেজে উইশ করে। বেশ আনন্দ হয়।’
কীভাবে কাটাবেন এবারের জন্মদিন? বিশেষ কী আয়োজন থাকছে? এমন প্রশ্নে মাসুম বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে অস্থির হয়ে আছে বিশ্ব। অন্য সবার মতই ঘরেই কাটছে দিনগুলো। আশাকরি শিগগিরই সব সংকট কাটিয়ে দারুণ একটা পৃথবী গড়তে পারবো আমরা।’
সাহিত্য চর্চা ও সাংবাদিকতাকে ঘিরেই মাসুম আওয়ালের যত স্বপ্ন। এই লেখক ও সাংবাদিকের জন্মদিনে আবারও শুভেচ্ছা।