সিলেট সাহিত্য উৎসব -২০১৯ সম্মাননা পেলেন কবি ও প্রাবন্ধিক শাহমুব জুয়েল
প্রকৃতি সৌন্দর্যের লীলাভূমি এবং সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশভূমি বৃহত্তর সিলেট। পীর ফকিরের তীর্থস্থল বলেও খ্যাত।অর্থনৈতিকভাবেও খুব সমৃদ্ধ অঞ্চল।
নগরবাসী ও গ্রামবাসী যোগসূত্রিতা দীর্ঘদিনের।এরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অাতিথেয়তার বন্ধনে বসবাস করে।বৃহত্তর অঞ্চলে কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো সিলেট সাহিত্য উৎসব -২০১৯
আয়োজন ও পৃষ্ঠপোষকতায় :পূথিসম্রাট জালাল খান ইউসুফী
সভাপতিত্ব করেন :কবি ও লেখক আবুল বাসার সেরনিয়াবাদ।
উদ্ভোধক : শফিকুর রহমান চৌধুরী
(সাবেক সংসদ সদস্য ও সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগ)।
প্রধান অতিথিঃকথা সাহিত্যিক সৈয়দ আনোয়ারা হক
বিশেষ অতিথিঃ কবি আসলাম সানী
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
:কবি আসলাম সানী,
কবি স.ম শামসুল আলম,
কবি আরিফ মাঈনুদ্দীন,
গীতি কবি এম আর মঞ্জু,
বিজ্ঞান কবি হাসনাইন সাজ্জাদী,
বাউল বিরহী কালা মিয়া,
মোহাম্মাদ বাদশা গাজী (সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ তাঁতীলীগ),
অধ্যাপক এম এম মুকবুলুর রহমান ও
আখলাকুল আম্বিয়া প্রমুখ।
শুক্রবার বিকাল তিনটা থেকে গান আড্ডা ও বক্তৃতার মাধ্যমে কবি মামুন সুলতানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়।সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিশেষ অবদানের জন্য জেলা ও জেলার বাহিরে এগার( ১১)জন সাহিত্যিককে বিশেষ সম্মাননা প্রধান করা হয়।
কবি ও প্রাবন্ধিক শাহমুব জুয়েলকেও প্রবন্ধ শাখায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা-২০১৯ প্রদান করা হয়। তিনি সাহিত্যের বিবিধ শাখায় লেখালেখি করছেন।এ যাবৎ তার কবিতাগ্রন্থ :কাঁচা রোদের সন্ধানে (২০১৭),
মুখোমুখি আহ্লাদী চিবুক( ২০১৭), জলসিঁড়ি পেরিয়ে বালির সন্ন্যাসে (২০১৯), গল্পগ্রন্থ :অথৈ সময়ের শ্বাস (২০১৮)প্রবন্ধগ্রন্থ: কথাসাহিত্যে রাজনৈতিক দর্শন ও বিবিধ প্রবন্ধ(২০১৯)প্রভৃতি।
তারঁ সম্পাদিত বহুল আলোচিত লিটলম্যাগ বর্ণিল দেশবরেণ্য সাহিত্যশিল্পী ও গবেষকদের অংশগ্রহণে নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে।
তিনি সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা পেয়েছেন।
ইতোমধ্যে চাঁদপুর ইলিশ উৎসব ২০১৯ এ কবিতা মনেনীত হয়েছেন। তিনি লেখালেখি করেন মানুষের জন্য। বর্তমান সমাজ, সংস্কৃতি, চেতনা, বিপর্যয়, সংকট, মুল্যবোধ ও তারুণ্যের দৃঢ়তর পদযাত্রা প্রকৃতির পরিবর্তন নানাবিধ বিষয়ও তার লেখাজোকার প্রধান অনুষঙ্গ।আশা করা যায় তিনি সাহিত্যশিল্পে ফলব্রত বৃক্ষে পরিণত হবেন।