অণুগল্প

৭টি অণুগল্প ৷ সাইফ বরকতুল্লাহ

আগুন


আগুন, আগুন, আগুন। মুহূর্তেই পুড়ে গেল শরীর। অথচ কী স্বপ্ন ছিল তার। মাটিতে পড়ে থাকা শরীরটা আগুনে পোড়ছে। চিৎকার। চারদিক থেকে লোকজন চলে এল। পরিস্থিতি ঠিক বিভৎস। কাছে আসতেই স্পষ্ট দেখা গেল তরুণীর শরীর ঝলসে দিয়েছে আগুনে। ডাগর ডাগর চোখ দুটো জলে ভরে গেছে। শরীরে কামিছে আগুনে পোড়ার গন্ধ। পায়জামা ছেঁড়া। অ্যাম্বুলেন্স এসে দগ্ধ তরুণীকে নিয়ে গেল মেডিক্যালে। নিষ্ঠুর পিশাচররা তখন উল্লাসে নৃত্ত করছে। পৃথিবী পাথর হয়ে গেছে।

বিষণ্ণ রাত


বিষণ্ণ রাত। চাঁদের আলো নেই। মৃত্যুর শোকে পৃথিবী। বাতাস পাথর হয়ে ঘুমাচ্ছে।

কিছু নেই


আমি নেই। কেউ নেই। কিছু নেই।

আবছায়া জীবন


চায়ের ঠোঁটে বয়ে চলা। আবছায়া জীবন।

পঞ্চবটি


পঞ্চবটিতে রাস্তার পাশে গেলেই দুই পাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার। ব্যাঙ, ঝিঁঝিঁ পোকার চ্যাচামেচি। যেন থামতেই চায় না রাতের অন্ধকারে পোকামাকড়ের ডাকাডাকি। সামনে বিশাল ক্ষেতের দিকে তাকালেই দেখা যায় অনেক দূরে সামান্য আলোর বিন্দু। উদাসী রাতের নিঃস্তব্ধতায় হেঁটে যাই…।

মার্চের শেষ সন্ধ্যা


কালবৈশাখী ঝড়। প্রচণ্ড বাতাস। বৃষ্টি, সঙ্গে শিলা। রেডিওতে খবর, ঝড়ে নিহত তিন। প্রেমিকার বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড। আমি আকাশ দেখি। এভাবেই কাটল মার্চের শেষ সন্ধ্যা।

প্রতিবাদ


আর কিছুক্ষণ পর মৃত্যু হবে। সময়, কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। দগ্ধ শরীর যন্ত্রণায় কাঁদছে। দুর্বত্তদের আগুনে পোড়া জীবন মৃত্যুর শেষ সীমানায়। পোড়া মুখ থেকে উঠে আসা শেষ উচ্চারণ, ‘আমি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাব শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত। আমি সারা বাংলাদেশের কাছে বলব, সারা পৃথিবীর কাছে বলব এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য…।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *