কবিতা- খান মুহাম্মদ রুমেল
কর্পোরেট
পুতিগন্ধ ঝুপরি দোকানে
কিশোর ছেলেটার নিতম্ব চুলকানো হাতে
নোংরা কাপে চা খেতে খেতে
সস্তা সিগারেটের ধোঁয়া উড়িয়ে
দামি পারফিউম ছড়িয়ে
লোকেদের দৃপ্ত চলে যাওয়া দেখে
ভবঘুরে বেকার ছেলেটার
কর্পোরেট হতে খুব ইচ্ছে করে।
আকাশ
ছোট হতে হতে আকাশটা এখন
চৌকোনা জানলায় এসে ঠেকেছে
দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে ভাবি
এক সময় কি বিস্তৃত আকাশ ছিলো
চলে যাওয়া সে সব দিন এখন স্মৃতি
দূর থেকে ভেসে আসা ভাটিয়ালি সুরের মতো।
হারিয়ে গেছে আমার খোলা হাওয়া
কোনো সহৃদয়বান তার সন্ধান দিলে
সমস্ত জীবনের জোছনা দিয়ে দেবো।
রোদের আশায়
এইসব বৃষ্টি শেষে
শীত কুয়াশার কাল হয়ে
ঝরা পাতার দিন পেরিয়ে
আবার হবে পূনরুত্থান
রূপকথার ফিনিক্স পাখির!
গল্প সেদিন বলবো সব
লাল হরফের শিরোনামে।
বাঁচতে হলে ততোদিন
আজ চাই গভীর চুমু।
মেঘ পেরোনোর সঙ্গী হও
দেবোই দেবো,
রূপালি আলো রোদের দিন।
রূপকথা
ছিলো না কেউ কোথাও জড়াজড়ি, কোনোদিন
চিরকালই ছিলো সে চরম একা!
আড্ডার দিনগুলো, বেহিসাবের ক্ষণগুলো
সবই ছিলো রূপকথা!
ছিলো না কেউ কোথাও মাখামাখি, কোনোদিন
চায়ের কাপে ফুটপাতে
রেস্তোরাঁয় শীতাতপ আয়েসে
সবই ছিলো রূপকথা!
ছিলো না কেউ কোথাও গলাগলি, কোনোদিন।
বৃষ্টিতে বর্ষাতে ঝড়ো বাতাসে
তুমুল রোদ, শীত কুয়াশাতে
সবই ছিলো রূপকথা!
কোথাও থাকে না কেউ
বাস্তবতা!
আর্তি
বেদনার্ত মানুষ চায়
তার দুঃখের ভার
কেউ সবটা নিয়ে নিক!
বেদনার্ত মানুষ দেখে
চারপাশ নিকষ কালো
শূন্য সব দিক!
অবশেষে,
বেদনার্ত মানুষ বোঝে
কিছু কিছু অঙ্কের ভাগশেষ হয় না!