কাব্যশীলন সংবাদ

ঢাকায় সাগরকন্যা’র পাঠ আলোচনা অনুষ্ঠিত

গত ১৮/১/২০২০ ইং তারিখ বিকেল ৪.০০টায় সাহিত্যবিশারদ সুহৃদ চট্টগ্রাম কর্তৃক আয়োজিত কবিতা ক্যাফে (ঢাকা) ছোটো কাগজ ‘সাগর কন্যা’ কবি আল মাহমুদ সংখ্যার পাঠ আলোচনা কবি ও প্রাবন্ধিক ইলিয়াস বাবরের সঞ্চালনায় এবং কবি মাকিদ হায়দারের সভাপতিত্বে কবি আল মাহমুদের কবিতা আবৃত্তি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাগরকন্যা সম্পাদক মোস্তফা হায়দার। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কবি জাহিদুল হক বলেন “কবি আল মাহমুদ দেহ নিয়ে ব্রাম্মনবাড়িয়ায় শুয়ে থাকলেও কবিতায় উপমার সৌন্দর্যের হাত ধরে বাংলাসাহিত্যে আজীবন বেঁচে থাকবেন। কবির শ্রেষ্ঠ কাজের অংশ সোনালী কাবিনের সনেট,প্রকাশিত বই ‘কালের কলস ‘ যেমন চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়েছিল গৌরবের সহিত তেমনি তরুণদের ভাবনায় ‘সাগরকন্যা’র এবারের আয়োজনও তার শ্রেষ্ঠত্ব বহণ করছে বলে আমি মনে করি। কবি আল মাহমুদ সৃজনলীলায় বেঁচে থাকবেন পাঠকদের হৃদয়ে। ” অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কবি ও কথাসাহিত্যিক আলমগীর রেজা চৌধুরী বক্তৃতায় বলেন ” কবি আল মাহমুদ সোনালী কাবিনের ‘ নদীর ঢেউয়ের মতো বল কন্যা কবুল কবুল ‘ বহমান স্রোত আর ছোটো গল্প জলবেশ্যার হাত ধরে কবিতাময় পাঠকের সংসারে বেঁচে থাকবেন প্রজ্জ্বলিত এক শিখার মতো।” বিশেষ অতিথি কবি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রেজাউদ্দীন স্টালিন বলেন” কবি আল মাহমুদ যাপিত জীবনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কবিতা কানন গড়তে দৃঢ়তার সহিত সম্মুখে হেঁটেছেন। তার কবিতা, গল্পে, উপন্যাস কিংবা প্রবন্ধে সব বিষয়ের অবতারণাই প্রমাণ করেছে কবি পাঠককে আত্মস্থ করতে সৃজনে মনোনিবেশী ছিলেন বলে কবির প্রজন্মরা আজ সাগরকন্যা য় অত্যন্ত মন খোলে ভালোবাসা প্রকাশ করায় কবি আল মাহমুদের জীবন সার্থকতা পেয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। ” অনুষ্ঠানের বিশেষ আলোচক কবি ও সাংবাদিক জাকির আবু জাফর বলেন” যে কোন প্রকৃত কবি তার পরবর্তী সময়ে বেঁচে থাকেন তার সৃজনে। যে সকল কবি তার সময়ে উপেক্ষিত হয়, সে সকল কবি নিশ্চিত পরবর্তীতে টিকে থাকেন কবিতার প্রকৃত সত্যের কাছে। কবি আল মাহমুদই তেমন হতে চলেছেন সাগরকন্যা’ র কবি আল মাহমুদ সংখ্যা য় তরুণদের নিত্যনতুন যাপন করা বিশ্লেষণপ্রক্রিয়ার চুলছেঁড়া নিরীক্ষার হাত ধরে। ” প্রধান আলোচক কবি ও সম্পাদক শাহীন রেজা বলেন ” কবি আল মাহমুদ’র মৃত্যু বিশ্বাসের কবিতাটি সাগরকন্যা’র প্রায় লেখককে আচর করতে পেরেছে বলে কবি আল মাহমুদ তার বিশ্বাসে সফল। তরুণরা সাগরকন্যায় কবিকে বিশ্লেষণ করেছেন আপনক্রিয়াশীলতার চুম্বকলীলায়। কবি আল মাহমুদ বেঁচে থাকবেন তরুণদের হাত ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মন্তরে “।এ জন্য সাগরকন্যা ‘ পরবর্তী কাজের শুরু নমুনা বলা যায়।তাই সাগরকন্যার তরুণ লেখিয়ে বন্ধুসহ সম্পাদনা পর্ষদকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে মেঘ না চাইতে বৃষ্টির মতো এসে হাজির হন ওপার বাংলার কারুভাস সম্পাদক মানসী কির্তনীয়া,
তিনি কবি আল মাহমুদ ও সাগরকন্যা’র আল মাহমুদ সংখ্যার ভূয়সী প্রশংসা যেমন করেন তেমনি তার দায় ও ভালোবাসা থেকে করা কারুভাষ কবি আল মাহমুদ সংখ্যা র কথা বলতে ভুল করেননি। সভাপতি তার আলোচনায় বলেন- “একজন কবি বেঁচে থাকেন তার পরবর্তী প্রজন্মের তরুণদের যাপন ও লালনের মাধ্যমে। কবি আল মাহমুদ তার সৃজনক্ষমতায় বেঁচে থাকবেন। তার প্রমাণ সাগরকন্যার এবারের আয়োজন। পূর্বজ তথা অগ্রজদের প্রতি তরুণদের এভাবে শ্রদ্ধাবোধ আমাকে প্রাণিত করেছে। সাগরকন্যা পর্ষদও লেখকদের অভিনন্দন জানান তিনি।”
উক্ত অনুষ্ঠানে স্মৃতি কথা ও অনুভূতি প্রকাশ করেন নতুন এক মাত্রা সম্পাদক ও আল মাহমুদ গবেষক কবি ফজলু্ল হক তুহিন, লেখক ও চিত্র শিল্পী শামসের তাবরীজি, কবি কামরুজ্জামান,কবি ফরিদ ভূঁইয়া,কালের ধ্বনি সম্পাদক কবি ইমরান মাহফুজ, জলধি সম্পাদক কবি নাহিদা আশরাফী,ঘুমন্ত সিংহ খ্যাত কবি পলিয়ার ওয়াহিদ ও আল মাহমুদ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় ছড়াকার আবিদ আজম। বক্তাদের কথামালার ফাঁকে ফাঁকে কবির কবিতা আবৃত্তি করে অনুষ্ঠানকে পূর্ণতা দান করেন আসি বৃত্তিশিল্পী প্রান্তিক হোসাইন,তাহসিন জামান ও মো: ইসহাক আলী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন – কবি ও সম্পাদক সাহিদা সাম্য লীনা,কবি ও কথাসাহিত্যিক সানাউল্লাহ সাগর, স্বপ্নীল প্রান্তর সম্পাদক গল্পকার আমির সোহেল, দেয়াঙ সম্পাদক কবি মাহমুদ নোমান,কাঠ পেন্সিল সম্পাদক সীমান্ত আকরাম,বাবুই সম্পাদক মুহাম্মদ নাজমুল হাসান, কবি ও প্রকাশক খালেদ রাহী, ঝাড়বাতি সম্পাদক কবি ও নাট্যকার তাপস চক্রবতী,কবি আহমেদ ইউসুফ,কবি নুরুন্নাহার ডলি,কবি আলোক আজম, কবি ও গল্পকার প্রদীপ প্রোজ্জ্বল, কবি শাদমান শাহিদ,,কবি হাসিবুল ইসলাম, কবি ও ঔপন্যাসিক মোস্তফা মাহাথির,কবি আরিফ শাওন, কবি হাসান মাহফুজ, কবি হেলাল উদ্ধীন, কবি ভ্ক্ত কাজী মনীষা জামিন, উজ্জল, পিংকি, আহমাদ বেলাল, মুহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, হাসান রুহুল সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *