লন্ডনে লাবনী বড়ুয়ার ‘সপ্তসুরে বাঁধন-হারা’
লন্ডনের রিচমিক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বৃটিশ-বাঙালি সংগীতশিল্পী লাবনী বড়ুয়ার একক সংগীতানুষ্ঠান ‘সপ্তসুরে বাঁধন-হারা’। কবি ও আবৃত্তিশিল্পী তানজিনা নূর-ই সিদ্দিকীর উপস্থাপনায় গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় বাংলা সংগীতের স্বর্ণযুগের কিংবদন্তিদের। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মঞ্চে আসেন লাবনী বড়ুয়া। একে একে পরিবেশন করেন বিবিধ বর্গের উপশাস্ত্রীয় সংগীত, নজরুলগীতি, গজল, রাগপ্রধান এবং জনপ্রিয় আধুনিক বাংলা গান। এ সময় তবলায় পিয়াস বড়ুয়া, কী-বোর্ডে শ্রী সুনীল যাদব এবং অক্টোপ্যাডে রিজান আহমেদ সহযোগিতা করেন। সন্ধ্যার বিশেষ চমক ছিল ইউক্রেনীয় সংগীতশিল্পী একা কাটেরিনার সঙ্গে বাংলা গানের সমবায়ী পরিবেশনা, যা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। সংগীত অনুরাগীরা মনে করেন, প্রবাসে শিকড়ের সঙ্গেও মেলবন্ধনের এক উজ্জ্বল প্রয়াস প্রতিভাত হয়েছে লাবনীর অনুষ্ঠানে। চিত্রশিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মী নাজিয়া আমিন বলেন, ‘লাবনী বড়ুয়ার মতো শিল্পীরাই যেন প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির আলো জ্বালিয়ে রাখছেন।’ গ্লো-উইম্যানের প্রতিষ্ঠাতা স্নিগ্ধা মিষ্টি বলেন, ‘এ ধরনের
আয়োজন আরও বেশি করে করা প্রয়োজন। এসব উদ্যোগ আমাদের আত্মপরিচয়ের স্বাক্ষর বহন করে।’ সংগীতশিল্পী লাবনী বড়ুয়া বলেন, ‘এমন ভালোবাসা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে। ভবিষ্যতে বাংলা সংগীতকে আরও বহুদূর পৌঁছে দিতে চাই।’ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত চিরঞ্জীব চক্রবর্তী, সৌধের পরিচালক ও কবি টি এম আহমেদ কায়সার প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সব্যসাচী সংগীতশিল্পী সঞ্জয় দে, উপশাস্ত্রীয় শিল্পী ফারজানা সিফাত, আবৃত্তিশিল্পী পপি শাহনাজসহ অনেকেই।
লাবনী বড়ুয়া ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যে ‘বৈশাখী স্টার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন। ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় অ্যালবাম ‘মেঘলা ছেলে’। ২০১৪ সালে হাউস অব কমন্সে ‘হান্ড্রেড ইয়ার্স অব টেগর’ অ্যালবামে অংশগ্রহণ করেন।