সাঈদ আজাদ আসছেন বইমেলায় তার বিষন্ন জোছনা উপন্যাস নিয়ে
ভালোবাসা! অদেখা অমূল্য অনুভূতি। ভাগ্যবান সে, সত্যিকারের ভালোবাসা জীবনে যে পায়!
মানুষ মাত্রই ভালোবাসার কাঙ্গাল। কেউ বুঝতে শেখার পর থেকে খুঁজতে থাকে ভালোবাসাকে। কেউ ভালোবাসা পেয়েও অবহেলায় এড়িয়ে যায়। কেউ বুকের মধ্যে প্রবল তৃষ্ণা নিয়ে প্রতীক্ষায় দিন গোনে, কখন ভালোবাসা তার বুকের দরজায় কড়া নাড়বে।
বিষণ্ণ জোছনা হয়তো ভালোবাসার গল্প। হয়তো স্বার্থের গল্প। হয়তো পাওয়া না পাওয়ার হিসাব মিলানোর উপাখ্যান।
বিষণ্ণ জোছনার ম্লান আলোতে ভালোবাসার স্বরূপ খুঁজে বেড়ায় বায়জিদ। জামান। ভালোবাসার অপেক্ষায় দিন কাটে জোনাকির। সায়রার। আম্বিয়ার। তৌফিকের। তারা কি পায় তাদের আকাঙ্ক্ষিত সেই আস্বাদ?
বিষণ্ণ জোছনা কজন অসুখী মানুষের গল্প। ভালোবাসা প্রত্যাশী কজন মানব- মানবীর প্রতীক্ষার গল্প।
সাঈদ আজাদ, জন্ম ১৮ আগস্ট, কুমিল্লা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। স্বপ্নচারী একজন মানুষ। বর্তমানে তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যডারে কর্মরত। ভালোবাসেন শব্দ দিয়ে স্বপ্ন বুনতে। সমাজের অবহেলিত প্রান্তিক মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, আশা-হতাশা, স্বপ্ন-ভালোবাসা নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন। প্রথম বই, গল্প সঙ্কলন- নিসিন্দার ফুল। বইটি ইতোমধ্যে পাঠক মহলে সমাদৃত।
তাঁর প্রথম উপন্যাস অগ্নিপ্রভাত। উপন্যাসটি, তরুণ কথাশিল্পীদের অপ্রকাশিত প্রথম উপন্যাস হিসাবে শব্দঘর-অন্যপ্রকাশ এর কথাশিল্পী অন্বেষণে সেরা নির্বাচিত হয়েছিলো। উপন্যাসটি ইতোমধ্যে বিদ্বৎসমাজের নজর কেড়েছে। সাঈদ আজাদের ভাষা সহজ এবং নির্মেদ। তাঁর রয়েছে সাবলীল গল্প বলার দক্ষতা। শুধু ভাষার বিচিত্র কারুকার্য নয়, তাঁর লেখায় আছে নিটোল গল্পও। শব্দের যাদুতে তিনি পাঠককে অতি সহজে আপন করে নিতে জানেন। বিষণ্ন জোছনা তার দ্বিতীয় উপন্যাস। এ উপন্যাসে তিনি কয়েকজন মানুষের ভালোবাসার স্বরূপকে প্রকাশের চেষ্টা করেছেন।