বইমেলা ২০২০ আসছে প্রিন্স আশরাফ এর ভিন্নধর্মী উপন্যাস ‘রাজশহরের পরী’
বায়ান্ন ৫২ প্রকাশনী থেকে আসছে প্রিন্স আশরাফ-এর ভিন্নধর্মী উপন্যাস ‘ রাজশহরের পরী’
প্রিন্স আশরাফের লেখার মুন্সিয়ানা অনেক পাঠকের কাছে বেশ আদৃত। যদিও তিনি বেশ নিভৃতচারী এবং প্রচারবিমুখ লেখক, তবুও বই মেলায় তার লেখা বইয়ের জন্য পাঠকের ভিড় প্রমাণ করে তিনি এরই মধ্যে বেশ নন্দিত লেখক হয়ে উঠেছেন।
প্রিন্স আশরাফের জন্ম : ৪ঠা ফেব্রুয়ারী, বড়দল, সাতীরা। বাবা: ডা. সফেদ আলী সানা। মা: সাহারা খাতুন। পেশায় চিকিৎসক হয়েও লেখালেখিতে অধিক মনোযোগী।
রহস্য, থ্রিলার, হরর, অতিপ্রাকৃত, সায়েন্স ফিকশনের পাশাপাশি মূলধারার গল্প উপন্যাসেও তার দতা সমানভাবে চোখে পড়ে। শিশু সাহিত্যেও তার পদচারণা ল্যণীয়। রহস্যপত্রিকা ছাড়াও প্রথম আলো, কালের কণ্ঠসহ দেশের সবগুলো শীর্ষস্থানীয় পত্রপত্রিকাতে নিয়মিত লিখছেন।
লেখালেখির পাশাপাশি আলোওছায়া নামে সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। দৈনিক যায়যায়দিনের সিনিয়র সাব-এডিটরের দায়িত্বে আছেন। রোদ্দুর শিশু কিশোর ম্যাগাজিন সম্পাদনা করছেন। বৈশাখী টিভি চ্যানেলে নাট্যকার প্রতিযোগীতায় পুরষ্কার জিতেছেন। অনুবাদ সাহিত্যেও তার স্বচ্ছন্দ পদচারণা।
ধুয়াশা গন্তব্যে, রূ, মৃত্যুছায়া, চক্র, মূর্তিরহস্য, ছিন্নমস্থা, পিশাচসাধক, যুযুধা, দানব, নিশাচর, হিম, দস্যিপনা, অপচ্ছায়া, রক্তচক্র, একাত্তরের রঙিন ঘুড়ি, সুন্দরবনে শিহরণ, মগজ ধোলাই, অপরাধ যাপন, আগুনের ফুল, আপনালয় তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। বেহুলা বাংলা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত গুরুদাসী মা নামে ৭১টি একাত্তরের বইয়ের সিরিজে তার বইটি বিশাল বাংলা সাহিত্য পুরষ্কার ২০১৬ ভূষিত হয়েছে। দেশজ পাণ্ডুলিপি প্রতিযোগিতা ২০১৮ তে উপন্যাস কাঁটাতারে পুস্পলতা ও গল্পগ্রন্থ অন্ধের শহরে একজন আয়নার ফেরিওয়ালা সাহিত্য পুরস্কার লাভ করছেন। কিশোর কলম সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯, প্রিয় বাংলা পাণ্ডুলিপি পুরষ্কার ২০১৯, অক্ষরবৃত্ত পাণ্ডুলিপি পুরষ্কার ২০১৯ লাভ করেন।
রাজশহরের পরী থেকে চুম্বক অংশ
একদিন খুব ভোরে রাজশহরের কেন্দ্রস্থলে বিশালকার শাপলা ফুলের ভাস্কর্যের পাশের মানুষেরা দেখতে পায় শাদা শাপলা ফুলের পাপড়ির গায়ে কালোমতো কি যেন একটা ঝুলে আছে। কাছে এগিয়ে গিয়ে দেখে এক তরুণী গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায়…গলায় পেচানো ওড়না ছাড়া যুবতীর শরীরে আর কোন বস্ত্র নেই।
শুরু হয় তোলপাড়, উৎসুক জনতা মোবাইল হাতে নগ্ন মেয়েটির ফটো ভিডিও করতে উদ্যোৎ হয়, মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে খবর। আশে পুলিশ। কিন্তু একটি দেশের রাজশহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এরকম অদ্ভুত হত্যা বা আত্মহত্যার জেরে তারাও কি করবে ভেবে পায় না। ওখানকার বেচারা পুলিশ নগ্ন মেয়েটাকে একটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতেও সাহস করে না পরে এভিডেন্স নষ্ট করা হয়েছে ভেবে শাস্তির ভয়ে। ওরা উর্ধ্ধতন কর্তপক্ষকে খবর পাঠায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার কারণে খবরটা সবর্ত্র ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষত একটা যুবতি মেয়ের কাহিনী এবং সেই মেয়েটা যখন পুরোপুরি নগ্ন তখন তো রহস্যের সাথে আদিম রসও বেয়ে বেয়ে পড়ে। উৎসুক জনতার ভিড় নামে রাজশহরের শাপলা ফুলের পাশে…ফুলের বাগানে সাপের মতোই হয়ে দাঁড়ায় ব্যাপারটা…
নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাজশহরের ময়ূর জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করতে প্রশাসনকে আহবান জানায়। ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, নিপীড়নের জন্য গঠিত হয় আলাদা ইউনিট…রাজশহরের পরী নামের সেই র্যাপিড এ্যাকশন ইউনিটের কাজ সমাজের ধর্ষণের মাত্রা জিরোতে নিয়ে আসা…
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, মেয়েটার আইডেন্টি। ময়নাতদন্তে ধর্ষিত হওয়া ছাড়া তার আর কোন পরিচয় খুজে পাওয়া যায় না মেয়েটির। যেন ধর্ষণই মেয়েটির একমাত্র পরিচয়! ধর্ষিত মেয়েটির পরিচয়ের খোঁজ চলে রাজ্যজুড়ে…পতিতালয় থেকে শুরু করে মাদ্রাসায়…
উঠে এসে এক ভিন্নতর কাহিনী… মেয়র, কাউন্সিলার, পুলিশ কর্মকর্তা, গোয়েন্দা পুলিশ জড়িয়ে পড়ে ঘটনার সাথে….
লিভ টুগেদার করা এক জোড়া যুবক যুবতী আটকে যায় ঘটনাচক্রে…
ক্রসফায়ার এবং অজ্ঞাত আততায়ীর হাতে একের পর এক ধর্ষককে হত্যা এবং ধর্ষকের মৃতদেহের পাশে পড়ে থাকা চিরকুট থেকেও কোন সূত্র বেরিয়ে আসে না…
ধর্ষকের হত্যা যখন ঘটনার মোড় নেয় তখনই বেরিয়ে আসে অন্য এক কাহিনী…