ঈদসংখ্যার কবিতা।। মুমতা হেনা
ইচ্ছে
ধরো,
একসময় আমি
অরন্য কিংবা কবি হতে চেয়েছিলাম,
পাখি কিংবা শব্দ পেতে চেয়েছিলাম।
সহস্র বছর প্রার্থনা করেছিলাম।
এক প্রভাতে ঈশ্বর তুষ্ট হয়েছিল,
হঠাৎ স্বরুপ বদলে,
আমি অরণ্য হয়ে গিয়েছিলাম!
সবুজ ঘন গভীর অরন্য!
সে অরণ্য সাজাতে আমি
হরেক পাখির মেলা চেয়েছিলাম!
রোজ দেখতাম
ঐ আকাশে উড়ছে ওরা!
ডাকতাম…
ওরা আসতো না কাছে,
হয়তো শুনতোই না ডাক!
মাঝে ছিলো যে-
এক আকাশ তফাৎ!
আকাশ হবি?
আকাশ হবি?
নীল আকাশ,
শান্ত নীল!
সাদা মেঘের ভেলা ভাসিয়ে উড়ে যাবে দূরে
তুই তো আকাশ!
পারবেনা তোকে ছুঁতে!
বড্ড ক্লান্ত মেঘ!
অবশেষে জল হয়ে ঝরে পড়বে!
সে জলে সিক্ত হবো আমি!
আমার ও শখ জাগবে!
মেঘের অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করার শখ!
আমি ও ছুঁতে চাইবো তোকে!
খুব করে চাইবো।
আমিও ক্লান্ত হবো!
সূর্য যখন অস্তাচলে যাবে,
ক্লান্ত আমি ঝাঁপ দিবো স্নিগ্ধ জলে,
হঠাৎ সে জলে শুরু হবে জলোচ্ছ্বাস!
বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড কম্পিত হবে,
সে কম্পনে সৃষ্টি হবে
এমন আরো একটি কবিতা!
সে কবিতায় আমিও
নীল আকাশ হবো!
তন্দ্রা
শান্ত জল ছুঁয়ে আমার হংস
হবার সাধ জেগেছে,
স্নিগ্ধ জলে হিজলের ছায়া,
সে জলে অবগাহন করে
ভাসিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে
সকল দুঃখ।
শত নিষ্ঠুরতায়
ক্ষত-বিক্ষত আমার মগজ,
তন্দ্রাহীন দুই চোখ,
যে চোখ মেলেই দেখি বিভৎস স্বপ্ন!
অপেক্ষা কেবল
সে চোখে হঠাৎ
তন্দ্রা নামবে ভীষণ!