কবিতা

ঈদসংখ্যার কবিতা।। তারেক হাসান

পল্লী মেয়ে

ছোট ছোট পা ফেলে সবুজের মাঠে
হেলে দোলে চলেছ আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে,
আগে তো দেখেনি অচেনায় ছিলে
ওগো!চিরচেনা পল্লীবাসিনী পল্লী মেয়ে।

হরিণীর মত মায়াবী চোখ তোমার
কপালে লাল টিপ,গালে পড়ে টোল,
ঠোঁট যেন গোলাপ ফোঁটা, মাথায় লম্বা চুল
বেনীতে লাল ফিতে, খোঁপায় জবা ফুল।

নগ্ন পায়ে আলতা লালে , চঞ্চলা তুমি
পল্লী সাজে গলায় রূপার হার,
সবুজের সাথে মিতালী তোমার
তোমার রূপে পল্লী রূপ হয় একাকার।

আমি আবারো আসিবো পল্লীর পথে
কবিতা লিখবো শত তোমায় নিয়ে,
আমি এঁকে ফেলেছি তোমার ছবি হৃদয়ে
ওগো!চিরচেনা পল্লীবাসিনী পল্লী মেয়ে

তুমি নেই বলে

একদিন তুমি ছিলে আমার পাশে
মরিবার শপথ নিয়েছিলে ভালবেসে,
রাশিরাশি ভালবাসার বাণী শুনিয়েছিলে
কখনো কেঁদে কেঁদে,কখনো হেঁসে।

এতো বেশি আবেগর ভালবাসা
প্রতিদিন আমার কাছে বিলিয়ে দিতে,
বিনিময়ে বেশি চাওয়ার ছিলনা তোমার
শুধু বিদায় লগ্নে শেষ চুম্বনটুকু নিতে।

উদারতায় তুমি ছিলে মহামানবী
স্বপ্ন ভুবনে ছোটছোট স্বপ্ন দেখার রাণী,
মুগ্ধ হয়েছিলাম বিশ্বাসের ময়দানে
বুঝিতে পারিনি শয়তানের শয়তানী।

সুখে থাকো যদি! তবে বেশ আমিও সুখী
চিরদিন দেখি যেন সেই সুখের হাঁসি,
আজ তুমি নেই বলে, ভেবো না প্রিয়-
বিরহের আগুনে পুড়ে,আমি খুব কষ্ট
আছি!!

তুমি যদি চাও

ভালোবাসার নীল চাদরে
মোড়াতে চাইবো না তোমায়,
বাম পাজরে জড়াতে চাইবো না কোনদিন!
কারণ সেখানে আজ প্রচণ্ড ব্যথা।
কুটকুট করে কামড়ে যাচ্ছে ঘুণপোকা
যন্ত্রণায় কাতর করে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই
আমি কিভাবে সইবো এত যন্ত্রণা?
শয়তান আমার পিছু লেগেছে
বারবার আত্মহত্যার দেয় কুমন্ত্রণা,
সেও আমি বুঝি, আত্মহত্যা মহাপাপ
কিন্তু আমি আর সহ্য করতে পারছিনা
কীটপতঙ্গের নির্মম আগ্রাসন।
আমাকে জীবন্ত মাটিতে পুঁতে দাও
না হয় আমার অতীতকে ফিরেয়ে দাও
ভালোবাসা চাইবো না আর তোমার কাছে
শুধু আমাকে বাঁচার স্বপ্নটুকু দাও।
অভিশাপ দেবোনা তোমায় কোনদিন
তোমার অভিশপ্ত ভালোবাসা ফিরিয়ে নাও,
আমি কথা দিচ্ছি অনেকদূরে চলে যাবো
বহুদূর, বহুদূর তুমি যদি চাও??

অবুঝ মেয়ের প্রেমে

দিন, মাস, সন ভুলে গেছি
তবে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ছিল সেদিন
রাতের বেলায় ঝড়ো হাওয়া,
আর মাঝেমাঝে মেঘের গর্জন
বারবার ভয়ে আমার বুকে
মাথা লুকিয়েছিল সেই মেয়েটি।

আবার বিজলীর আলোতে দেখি
চোখে মুখে এক বর্ণীল আকুতি,
বুঝতে পারিনি তখন মৃন্ময়ে
সে আকুতির অর্থ প্রেম নাকি ভালবাসা?

তবে অবুঝ ছিলো,আবেগর বশে
সমস্ত দুয়ার খুলে দিয়েছিলো সে,
বুঝাতে চেয়েছিলো তার চলার পথে
আমাকেই বেশি প্রয়োজন, কি ভেবে?

আমি নিজেকে বারবার সামলে নিয়ে
আবেগের মোহ বুঝাতে চেয়েছি তারে,
আমার সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ অবুঝের কাছে
তার আকুতির চোখে আমাকে বন্দী করে।

ভাবনার সময় পাইনি কোনকিছুতেই
তার ছবিখানা আটকে যায় হৃদয়ের ফ্রেমে,
ঘুমন্ত পৃথিবীর অন্ধকার রাতে হঠাৎ
মন হারাই অবুঝ মেয়ের প্রেমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *