গুচ্ছ কবিতা।। আনোয়ার কামাল
জীবনের যত ধূলিকণা
[মতিন বৈরাগী প্রিয়জনেষু]
অস্থির দিনলিপি পার করে দ্বিধাহীন মানুষের মতো
এক বিষণ্ন প্রহরে জেনেছি খরায় পীড়িত স্বদেশে
জীবনের যত পাওনা ছিল তার সবটুকু কী পেয়েছি?
হারানো পথের বাঁকে বাঁকে সক্রেতিসের-ক্রীত সংলাপ
আওড়ে তার কিছু কুড়িয়েছি জীবনের খেয়াঘাটে;
ক্ষতির কিছু নেই বন্ধু পথে পথে পেয়েছি যত ধূলিকণা
মেখেছি ওম মেশানো মমতায় হৃদয়ের শততম ব্যস্ততায়।
দেখা হয় দেখা হবে আবারো জীবনে সংগ্রামে পথের ধারে
গোধূলির সীমান্ত সময়ে সাথে থাকবো পুরোটা সময় জুড়ে
কেউ আসে কেউ যায় পথের সাথিরা পথেই থেকে যায়
তাকেই ভর করে হাঁটার হয় না শেষ কি শীত কি গ্রীষ্ম
আমিও তারই শেখানো পথে অবিরাম হাঁটি; পাথরে পাথর ঘষে
আগুন জ্বালাতে শিখি; অহর্নিশ ফেরি করি জীবনের জয়গান।
উপেক্ষা
আমাকে কেউ উপেক্ষা করুক— সরে যাক দূরে
রমণীর প্রেমহীন নিগুঢ় এজলাসে বহমান নদী
ভরে যাক কচুরিপানায়; ডাহুক পাখির অভয়ারণ্য হোক-
কিম্বা সারস গড়ে তুলুক সুরম্য প্রাসাদ,
তাতে আমার কোন খেদ নেই; নেই কোনো অভিমান।
আমাকে কেউ উপেক্ষা করুক- অবহেলায় মুছে দিক
ঠোঁটের কোণায় লেগে থাকা শেষ চুম্বনটুকু
আমি কিছুই মনে করবো না।
যার আঙুলের স্পর্শে আমি জ্বলে উঠি
সে যদি অবহেলা করে, করুক;
উপেক্ষার ডালি সাজিয়ে বর্ষা কিম্বা শরৎ
হেমন্তরেখা পাড়ি দেয়, দিক।
আমি কোন আভিশাপ দেব না।
আমাকে কেউ উপেক্ষা করলে করো-
যে সুধা পান করে রঙিন হয়েছি,
হোক না তা ফিকে- ক্ষতি নেই
পানের মহরতে আমি বুদ হয়ে আছি
কেউ আমাকে ভুলে থাকতে চাইলে যাও
উপেক্ষা করো, অবহেলার নাও ভাসাও ক্ষতি নেই।
অণু কবিতা
অকারণে কেউ কেউ নিরুদ্দেশ হয়
মন বলে এটা তার অচেতন ক্ষয়
২.
প্রখর রোদে রৌদ্রস্নান
কমলারোদে মুখটা ম্লান
৩.
লুহাওয়া কখনো কখনো
তোমার প্রেমের বাঁঝালো বাতাস
৪.
চলো নেমে পড়ি এই কমলারঙের রোদে
৫.
একা চলি, একা চলতেই আমার সুখ…
৬.
ঢের বেদনা নিয়ে বসবাস, বেদনা জাগাতে যেও না
৭.
সময় এখন বেজন্মার, চারদিকে ধর্ষণ ধর্ষণ খেলা
৮.
ধ্যানী যোগীর সংখ্যা কি বেড়েই চলেছে?
৯.
এখন বালিশ সময়, এসো বালিশ বালিশ খেলি
১০.
এখন হরিণ সিংহ খেলায় মত্ত কেউ কেউ
১১.
শহরময় ডেঙ্গু মহামারী, তুমি বলো কই দেখি না তো…
অসাধারণ