কবিতা

আশ্রাফ বাবু’র কবিতা

চন্দ্ৰ-সূর্য অবাক

পুনরায় হাত দেই হস্তক্ষেপ হয়েই পড়ে আছি চন্দ্র-সূর্য অবাক
কী উদিত হবে ভাবের ভানে হতবাক হয়ে,
হস্তক্ষেপ করি তুমি সত্য মিথ্যার রূপান্তর।
যখন ঘুরতে থাকো, তখন বাতাস!
বিপরীত মানুষ শব্দের কাণ্ডপৃথিবীতে ঘোরে
গৃহে গৃহে পর্যায়ক্রমে সময় ঘরের হাতছানি
কী কাণ্ড বাতাস বহে?
শহরে সদরে,
কালচার তুমি, চেয়ে দেখো এমনভাবে কথা বলো!
যেন জেনে যায় দেখে যায় চেয়ে থাকা মানুষগুলি

এমনভাবে চেয়ে থাকে লোকে বোঝে কোনও দুঃখ নেই, যেন বোঝে, তুমি একটা শুদ্ধ সমাজে বাস করো,
মনে মনে চুমু খেলা
খেয়ে পরে আমি সেই দুর্ভাগা এ দেশে কেউ একজন। পুনরায় হাত দিই, আবার থামে।

আমার জগত

সারা জীবনের অনশন সুখের প্রত্যাশায়!
সীমাহীন দৃষ্টি থেকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে অনুভব
জীবনের সাড়া পাই বা না পাই
লেপ্টে আছি বিছানায় ক্লান্ত চোখ নিয়ে
যখন ক্লান্ত স্বপ্ন ঘুমোতে যায়।

উত্তরের হাওয়া এসে মূল্যবোধ নিয়ে টানাটানি করে কীভাবে উধাও হলো প্রশ্ন করি না-

শেষ না হওয়া অপেক্ষা নিয়ে
শীতার্ত মন জীর্ণ জীবনে স্বর্গের উদ্যানে
আর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে আমাদের মাঝখানে।
দেখতে হুবহু একমুঠো ক্ষোভের সফর,
আমি পথের কারিশমায় মুগ্ধ আমার জগতে!

যেখানে আমি স্বপ্ন বুনন করেছিলাম,
সেই আতঙ্কের দিনগুলো সেইসব ঘ্রাণ নিয়ে।
ইদানীং আমরা সবাই রূপকথায় দগ্ধ,
কৈফিয়তহীন বিচরণ
গায়ে মেখে প্রান্ত হতে প্রান্তর করছি ধারণ।

জলফোটা গাল বেয়ে ভালোবাসা

পৃথিবীতে এমন কোনো ইতিহাস নেই চিরস্থায়ীভাবে একদিন খুব ছোট্ট কারণে মরে যাবো,
ঘুমিয়ে যাওয়া চাঁদকে ডাক দিয়ে।
খুব সামান্য আয়ু নিয়ে এসেছি
তোমাকে ভালোবেসে মরে যাবো।

আমার জীবনপত্র উচ্ছ্বলিয়া মাধুরী করেছ দান,
রয়ে যাক আদরে
জলফোটা গাল বেয়ে ভালোবাসা,
মায়াজাল, বলো প্রেম কি বড় ধরনের অপরাধ?
তাকেই খুঁজতে চেয়েছি,
যার কারণে আমার পৃথিবী হবে সুন্দর,
ঘুমিয়ে যাওয়া চাঁদকে ডেকে ঘুম দিলাম!

তাকে কখনো ঘৃণা করো না অসুন্দর বলে
সে বেসেছে ভালো অন্তর দিয়ে,
সুন্দর সৃষ্টি করা নয়, প্রদত্ত!
তারপরেও ঘুম কিন্তু বিক্রিত অনেক দিন থেকে।

চক্ষুর আড়ালে জমানো

একটি সময়ের সীমানায় অতপর দাঁড়িয়ে
হাজার বার নিজেকে প্রশ্ন করি ভাবিয়ে,
উত্তর সমাধান যা পেয়েছি কিছুটি বোকামী
যখন হৃদয়হীন সমাজ বিচারে আমি আসামী।

মেঘাচ্ছন্ন আকাশের সীমানা যেমন বুঝি না
হয়তো বুঝতে দিচ্ছো নাও হতে পারে সীমানা,
যদি জানতাম কী লুকিয়ে রেখেছো তোমার আড়ালে, মেঘের যেমন ছায়া, শীতল সূর্যেরও আলো জড়ালে, অজুহাত অবশ্য একটা আছে আমার সন্তান সহধর্মিণী ভাবছো অথবা বলছো যদি দেখতে একটু …
প্রশ্ন থাকতো না, সমাজকে দায় দিতে না
দেও সহমত থাকুক বা না।

মেঘ এসে আকাশ কি বৃষ্টিহীন হয় না?
সব বোঝো যোগফল যদি হতো ভালো
নক্ষত্রের সাথে সময় বিচ্ছিন্ন সমাজ।

হবে না স্রোতের গতি থামানো
বোবা সমাজের চক্ষুর আড়ালে জমানো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *