কবিতা

সুব্রত দেবনাথের তিনটি কবিতা

পথ

এ পথ দিয়ে হেঁটেছি বহুবার
কখনো দূরে কখনো কাছে।
পড়েছে বৃষ্টি ফোঁটা, লেগেছে শীত
কখনো বয়ছে বাতাস মৃদু মৃদু।
তোমার উষ্ণ স্পর্শ কখনো
শিহরিত করতো আমায়।
কত গল্প, কত কথা, হাসি, কান্না
সব মিলে মিশে এক হয়ে যেত।
সময়গুলো তখন পাশ দিয়ে বয়ে যেত
নদীর স্রোতের মত।
বুঝেও না বোঝা
ছিল একটি আর্ট,
তবুও হেঁটেছি এ পথ ধরে
পাশাপাশি বহুবার।

ভাঙ্গা ও গড়া

প্রতিবার ঠকেছি বিশ্বাস করে
কথা রাখেনি কেউ।
যতবার গড়েছি স্বপ্ন সমুদ্র পারে
ভেঙ্গেছে তা উত্তাল ঢেউ ।
গিয়েছে মারিয়ে কত শত পা
ঘুরে দেখেনি তারা,
সয়েছি আঘাতে কত শত ঘাঁ
তবুও আমি দেয়নি সাড়া।
অন্যায় তো করিনি
করিনি তো কোন পাপ
তবে, স্বপ্ন ভাঙ্গা বিশ্বাস ভাঙ্গা
এই কি সভ্য সমাজের স্বভাব?
পারিনা কি ভাঙ্গতে এই প্রথা
পারিনা কি গড়তে এক সুশীল সমাজ
যেথায় থাকবে সহানুভূতি
হবে স্বপ্ন পূরণ একে অপরের কাজ।

আত্মদহন

অহংকে দেখেছি পুড়ে যেতে চিতায় ভস্ম হয়ে
ক্রোধিত মানুষটি আজ নীরবে আছে শুয়ে।
করেছে কত পাপ না জানি কত দুষ্কর্ম
অনলের শিখায় পুড়ছে তার যত্নে রাখা চর্ম।
করেনি সে কোনদিন দান ধ্যান, করেনি উপকার কারো
দম্ভীত সুরে চাইতো সে শুধু অর্থহীন অর্থ আরো।
লক্ষ টাকার ফ্ল্যাটে তার ইম্পোর্টেড সাজসজ্জা
চার কাঁধে শ্মশানে আজ সঙ্গী বাঁশের শয্যা।
বাড়ি ছিল, গাড়ি ছিল, ছিল মণিমুক্তা মালা
আজ সে শায়িত উলঙ্গ হয়ে সইছে তীব্র দহন জ্বালা।
সবই তো রইলো পড়ে নিয়ে তো গেলে না কিছু
কলঙ্কিত নামটা শুধু রেখে গেলে পিছু।
বেঁচেছ রাতের আঁধারে করনি চিন্তা ভোরের
শুরুটা মোদের হলেও শেষটা ঈশ্বরের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *