ঊষাতন চাকমা’র কবিতা
দুর্বৃত্ত
কলেজের যে ছেলেটি গত হলো কাল
আজ তার পিতার পৃথিবীটা শূন্য।
স্বপ্নেরা ছিল সারারাত সজীব
বিদায় বেলায় অশ্রু হয়ে ঝড়েছিল অবিরাম।
একটি ঘাতক ট্রাক এনেছে ঘোর অন্ধকার
একটি মুহূর্ত যেন তার কাছে মহাকাল
হাতের সিগন্যালের সাড়া- সাদা পতাকা
তোমার অজ্ঞতার চাকা থামাতে ব্যর্থ হয় সবসময়।
যে জীবন তোমার না
যে ট্রাক তোমার না
যে সময় তোমার না
সেসব নিয়ে তুমি এত ব্যস্ত কেন, দুর্বৃত্ত?
একটি জীবনের চাকা থমকে গেলো
একটি গাড়ির চাকা থামলো না।
আঁধারে হারিয়ে গেলো একটি তাজা প্রাণ
আলোকিত হলো না- তোমার আমার পৃথিবী।
পাহাড়ি ঝর্ণা
পাহাড় থেকে আসে নেমে রুপালি এক ঝর্ণা-
রুপের আবেশ ছড়ায় যেন নেশা জাগানিয়া
আলোর সাথে মিতালি পাতে রঙধনুর রঙে
আশা নিয়ে বসত করে রক্তকমল হিয়া।
স্বপ্ন জাগায় দূরের দেশের অতিথি প্রেমিক
আবিষ্কারের মাতালতায় অসংখ্য পথিক
চপল পায়ে গড় গড়িয়ে চলছে সে রাত দিন
তৃষ্ণা মেটায় জলের খোঁজে ক্লান্ত এক শালিক।
সবুজ দেশে নির্ভয়ে বেশ জমছে জীবন
খুশির আমেজ উথলে ওঠে এই সারাক্ষণ,
কষ্ট করে নষ্ট করো ভ্রষ্ট্র নাবিক তুমি
শ্রেষ্ঠ জনের দৃষ্টি দিয়ে ভরুক সকল মন।
বসন্তের রোদ
বসন্তের রোদে ঝলসানো মাটি-
বরষার গন্ধে উর্বরতা ফিরে পায়।
শীতে হিম হয়ে যাওয়া পৃথিবীর জল
গ্রীষ্মের খড়তাপে সবকিছু ভাসায়।
শৈশবে বাবার কঠিন শাসন
পোক্ত করে সন্তানের মানবিক ভিত।
নক্ষত্রের আলোয় মেঘহীন আকাশ-
জ্যোৎস্নায় আলোকিত প্রেমের মিথ।
বেশি কিছু চাওয়ার নেই
বেশি কিছু চাওয়ার নেই
শুদ্ধতায় আছি এই ব্যস
ভালো আছি তোমার পাশাপাশি।
রঙের জাদু ছড়িয়ে বিশ্বময়
মুগ্ধতায় তোমার আহত হৃদয়
ব্যর্থ বারবার সকল পুণ্যরাশি।
সত্য সুন্দর যেমন সহজ
স্বাধীনতা যেমন মঙ্গলময়
তেমনই আছি তোমার কাছাকাছি।
দূরত্ব হ্রাসে আঁধার ঘুচিয়ে
আলোর পথে এসো প্রিয়ে
বলি তোমায় অনেক ভালোবাসি।