কবিতা

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল এর গুচ্ছ কবিতা

আগুন নেভানোর দোয়া

বন্ধ করেন এই সব লাল-লাল ইয়ার্কি-ফাজলেমি, চ্যানেলের লাইভ শো,

বন্ধ করেন আগুন নিয়ে খেলা, জলন্ত অগ্নিপুজা

এবং তথাকথিত তদন্ত কমিটি!

এ কমিটি দিয়ে কিছুই হবে না নকশা পাশ করা কর্মকুত্তাদের।

বন্ধ করেন অকেজো ফায়ার সার্ভিস তথা দমকলবাহিনীর অগ্নিনির্বাপণের তৎপরতা।

জলেও আগুন জ্বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবনে আগুনের আড়ৎ।

লেলিহান শিখা বখতিয়ারের ঘোড়া লাফাচ্ছে, উড়ে যাচ্ছে আগুণের পাখি।

মিকাঈলের মেঘ থেকে এখনই নামবে রহমতের প্রবল বৃষ্টি।

টের পাচ্ছি- আগুনের পরশ পাথর, আগুনের আনন্দ, অগ্নি উৎসব!

জাহানামের আগুনের গোলা রূপান্তরিত হচ্ছে দোজকের অগ্নিতে

আগুনের চিৎকার!

মশকরা রাখেন- সিলিন্ডারে রক্ষিত কার্বন ডাই-অক্সাইড নজল,

আফনাদের তামশা রাখেন- কেমিক্যাল পাউডার,

ওয়াটার মিস্ট এক্সটিংগুইসার।

পাপিষ্ঠ পৃথিবীতে সব ছাই-কয়লা হলেই নিভে যাবে শান্ত আগুন-

রক্ষা পাবে ইব্রাহিম।

প্লিজ, আমাকে আগুন নেভানোর দোয়া পড়তে দিন, পাঠ করতে দিন প্রার্থনা!

শুটিং’এর ঘোড়া

রূপালি দিনের প্রাক্তন নায়িকা এখন বোরখা পরে, পরবাসে। বিদেশে বেবি-সিটিং করে লালন করছে নাত-নাতনি। বড় নাতনির প্রশ্ন- ‘নায়ক কী তোমার বয় ফ্রেন্ড ছিলো’? তসবিতে চুমু দিতে দিতে সন্ধ্যাকালীন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেঃ ‘বোইনরে, বাংলা সিনেমা! সেখানে সবাই বয় ফ্রেন্ড! একের ভেতর সাত!

প্রযোজক এবং পরিচালক

সঙ্গীত পরিচালক

নৃত্য পরিচালক

মেকাপম্যান

এমন কি সুযোগ পেলে কখনো কখনো টি বয়ও বয় ফ্রেন্ড।

একবার শুটিং’এর ঘোড়াটিও লাফিয়ে উঠেছিলো’!

নাতনী চোখ দুটি মার্বেলের মতো চকচক করে বলে- ‘কী বলো দিদা? আমাদের সময় উল্টো! মারিয়া, ক্যাথি, ইন্দিরা, সুনিয়া, সিলভিয়া সবার একজনই (গোপন) বয়ফ্রেন্ড! একের ভেতর পাঁচ।

এবং সে একবার ক্যাম্পাসে আমাকে দেখেও ঘোড়ার মতো লাফিয়ে উঠেছিলো!

অবলম্বন

দড়ি বেয়ে বেয়ে একবার আকাশে উঠেছি, রশি অবলম্বনে।

চাঁদ অবলম্বনে জোছনায় ঝুলে থাকি হ্যাঙ্গারে-

আবার ঘুম অবলম্বন ছাড়াই স্বপ্ন দেখি।

ঝাংলা-মাচা অবলম্বিত লতিয়ে থাকা লাউডগা নির্ভর করে নিশ্চয়তা

ধান অবলম্বনে ভাতে,  নদী অবলম্বনে বেঁচে থাকে বেদেরা,

মিথ্যা অবলম্বনে মানুষ আর পবিত্র থাকে না।

নিউজ ইউক অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে- শিল্পকলার প্রতিবেদন,

পক্ষাবলম্বনে বন্ধুত্ব আর বিদেশি গল্প অবলম্বনে নাটক,

কিন্তু নিয়ম অবলম্বনে কেউ নিয়ম মানে না!

ঋতু অবলম্বনে নারীরা রক্তাক্ত হয়; শাড়ি-ছায়া অবলম্বনে বাড়ে উত্তেজনা-

কামকলা চিন্তাসূত্র কল্পনা অবলম্বনে ভার্চুয়ালে…

যুবক মেতে উঠে স্বরমাত্রিক মাস্টারবেশনে!

আগুন নেভানোর দোয়া

বন্ধ করেন এই সব লাল-লাল ইয়ার্কি-ফাজলেমি, চ্যানেলের লাইভ শো,

বন্ধ করেন আগুন নিয়ে খেলা, জলন্ত অগ্নিপুজা

এবং তথাকথিত তদন্ত কমিটি!

এ কমিটি দিয়ে কিছুই হবে না নকশা পাশ করা কর্মকুত্তাদের।

বন্ধ করেন অকেজো ফায়ার সার্ভিস তথা দমকলবাহিনীর অগ্নিনির্বাপণের তৎপরতা।

জলেও আগুন জ্বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবনে আগুনের আড়ৎ।

লেলিহান শিখা বখতিয়ারের ঘোড়া লাফাচ্ছে, উড়ে যাচ্ছে আগুণের পাখি।

মিকাঈলের মেঘ থেকে এখনই নামবে রহমতের প্রবল বৃষ্টি।

টের পাচ্ছি- আগুনের পরশ পাথর, আগুনের আনন্দ, অগ্নি উৎসব!

জাহানামের আগুনের গোলা রূপান্তরিত হচ্ছে দোজকের অগ্নিতে

আগুনের চিৎকার!

মশকরা রাখেন- সিলিন্ডারে রক্ষিত কার্বন ডাই-অক্সাইড নজল,

আফনাদের তামশা রাখেন- কেমিক্যাল পাউডার,

ওয়াটার মিস্ট এক্সটিংগুইসার।

পাপিষ্ঠ পৃথিবীতে সব ছাই-কয়লা হলেই নিভে যাবে শান্ত আগুন-

রক্ষা পাবে ইব্রাহিম।

প্লিজ, আমাকে আগুন নেভানোর দোয়া পড়তে দিন, পাঠ করতে দিন প্রার্থনা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *