জোবায়ের মিলন এর গুচ্ছ কবিতা
ব্লু হোয়েল
নতজানু হবার আগে, তোমাকে জানাতে চাই প্রভু
‘ব্লু হোয়েল’ গেমস’র শেষ পর্বটি পূর্ণ করবো আমি-
বর্ণিত পাপ থেকে ক্ষমা কর আমায়।
এও যেনে রাখ মাহান
শেষ দরজাটি বন্ধ হবার পূর্বেই
সমগ্র পৃথিবীতে এরূপ বহু বহু গেমস্
ছড়িয়ে পড়বে বাতাসের রন্দ্রে রন্দ্রে।
তখন একের আক্ষেপ বিদ্ধ হবে অন্যের পিঠে;
এতটা আহাজারি ঘুরে বেড়াবে যে
কারোই সময় হবে না কাউকে শুশ্রুষা দেবার।
তার চেয়েও তীক্ষè ও বিদীর্ণ হতে পারে জলস্থল,
হতে পারে বরফ-হিম
হতে পারে লাভাময়।
এ নগ্ন সময় তুমি খন্ড কর, না-হয় জনশূন্য পৃথিবীতে
তোমাকেই আর্তনাদ করতে হবে বুক চাপড়ে চাপড়ে।
ব্ল্যাকবোর্ডে লিখিত মনোলগ
কামরাঙ্গা বনে আমরা মিলিত হবো চাঁদপোয়াতি রাতে
নম্র নক্ষত্র-আলোয় ঘিরে থাকবে চারপাশ
শেগুন, কেওরা, আমলকি পাতার রস পান করব আর
সারা রাত দ্রাক্ষা ফলের গল্প শুনে পার করব
মিলনোত্তর প্রহর।
অনেক ফাল্গুন নিস্তরঙ্গ কেটেছে আমার ও তোমার
মনোলগে ভরপুর, কারা-দেয়াল চুম্বনে ভরেছে আবছায়া
আর্চারি ফলার সুচে বিক্ষত হয়েছে বাসনা মিনার-
কামের বিছানায় আমরা ছিলাম নিস্কাম মৃতদেহ
নিয়ম সূত্রে হয়েছি কেবল এপাশ ওপাশ, অনিচ্ছায়।
এ ফাল্গুনে ভোগান্তির হয়েছে শেষ, কারাফটক গলে
এসেছি আলোর উঠানে,
আলো না দেখা চোখে পড়েছে আলোর রশ্মি, মোহনায়
দাঁড়িয়েছি সে স্পাত আয়না ভেঙ্গে- যা ভাঙ্গতে পারিনি
বলেই খেটেছি কারাভোগ।
কোনো বেরী নেই পায়ে, পাঁজরে; কোনো অংক নেই
মনোগণিতের ঊর্ধ্বে- তোমার পাঁজরেও সমবিদ্রোহ বা
প্রশান্তির ঝিলিক. . .
আজ থেকে একলক্ষ বছর মিলে থাকব আমরা,
স্বমেহনে কাটাব অণুক্ষণও
জবার পাপড়ী রঙে লাল হবে আমাদের পানপাত্র
মাঝে মাঝে বিশ্রামে এসে আপেল আরক ঢেলে, স্নান
সেরে নেব, ভুলে যেতে পূর্বের বিরহ মাদল।