মো. রেজাউল করিম-এর কবিতা
আলোর সন্ধানে (হাইকু)
দিবস বেলাতে
ঘন কৃষ্ণ অন্ধকার
আলো দাও, আলো।
আলোর লাগিয়া
চলছি তো চলছি, তবে
হে আগুন জ্বালো।
আলো নিল কে?
ক্ষমতার দাপট অনেক?
আমরা নিরস্ত্র?
একদিন না একদিন
ঘুরে দাঁড়াব জেনো
তখন সশস্ত্র।
দূরেই থাক
দূরে চলে গ্যাছ, দূরে দূরেই থাক।
ভুলেও তুমি কাছে এসো না, এসো না;
আমার নামটিও মুখে এনো না।
দূরেই থাক নক্ষত্র যেমন থাকে।
নিউমার্কেট কিংবা গাউছিয়ার জনসমুদ্রে
কাছাকাছি হয়ে গেলে, চোখাচোখি হয়ে গেলে
ততটা কাছে এসো না।
যতটা কাছে এলে বলা যাবে কাছাকাছি।
আমার ছবিগুলো মুছে ফেলো কম্পিউটার থেকে,
ফেসবুকের পাতা থেকেও।
ভুলে যেও সেই দিনগুলোর কথা,
যে দিনগুলো আমাদের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিতে পারে।
ভুলে যেও আমাদের মধ্যাহ্নভোজের কথা;
ব্যাটনরোজ কিংবা পিৎজা হাটের শেষ টেবিলটায়,
লালবাগ কেল্লার বিস্তৃত ময়দানে বসে গল্পের কথা
কিংবা উত্তরাঞ্চলের পথে দীর্ঘযাত্রার কথা।
আমার দেয়া বইগুলো দান কোরো গ্রন্থাগারে,
উপহারগুলো দরিদ্র কোনো শিশুকে;
স্মৃতির মিনারটা আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিও;
ভালোবাসাটুকু কাকে দেবে তা তুমি ভেবে দেখ।
তবে তোমার মস্তিষ্কের নিউরণে জমাটবদ্ধ
আমার অস্তিত্ব কীভাবে বিনাশ করবে-
তা আমার জানা নেই কিংবা নেই কোনো দাওয়াই।
এসো না তুমি মাটির শিথানে
বন্ধু আমার-
এসো না তুমি মাটির শিথানে
আমার চির শয়ানে
ফুল হাতে কিংবা দুফোঁটা অশ্রু নিয়ে।
কী লাভ তাতে আমার, কিংবা তোমার?
বোলো না কখনো-
বড়ো ভালো লোক ছিল, কিংবা মন্দ,
যে চলেই গ্যাছে-
তার কী-ই বা লাভ কিংবা ক্ষতি
জীবিতদের প্রতি করো স্তুতি, তাতেই বরং লাভ অতি।