আইরীন কাকলী’র কবিতা
হারাবো ধোঁয়াশায়
হারিয়ে যাবো সন্ধ্যার আঁচলের আধাঁরে।
হারাবো ধোঁয়াশায়,
বেমালুম ভুলে যাবো সকল পিছুটান…
অভাবের জানলা দিয়ে ঢুকবে কুয়াশা প্রেম,
শীতের নিস্তব্ধতায় মার্জিত ভালোবাসা
প্রাণ পাবে মৌখিক মৌনতায়…
ভুলে যাওয়া বয়সের পরিসীমায়
উল্কা গতি নিদ কেড়ে নেয় স্পন্দন।
দুর্বার মরীচিকায় এক খন্ড ধূসররঙের মেঘপালক।
হয়তো মেঘের আবর্তে মাটির ঘর
সিক্ত হবে একদিন……
আর আমি হারাবো সন্ধ্যার আঁচলের আধাঁরে..
হারাবো আঁধারে মলিন মৌনতায়।
হাজার ঢেউয়ের গল্প
হাজার ঢেউয়ের গল্প মাখা জাহাজের
দেয়াল ধুয়ে যায় নোনাজলে।
পুরানো ফুলদানিতে ব্যাথার অচল আধুলি
স্তুপে স্তুপে জমেই চলেছে।
এগুলো আর ঝলমল করে না রোদেলা রোদ্দুরে।
বিষণ্ণ বিকেল পার হবার অপেক্ষায়….
সমস্ত দিনের আরাধনায় ক্লান্তিতে জাগবে
আরো একটি রাত।
কখনো সুবাসিত পূর্ণিমায় ভাসবো।
আবার কখনো
আমাবস্যার গভীর অন্ধকারের নকশায়
হবে অধীর আগ্রহী ঘুম।
ঘুমঘোরে হাজার ঢেউয়ের গল্প শুনবো;
যে গল্প যুগযুগ ধরে হারিয়েছে অমানিশায়…
যুদ্ধ অথবা ধ্বংসস্তুপের ইতিহাস
পরাজিত রাষ্ট্রের ক্ষতি পূরণ হবে না কখনো
কিন্তু বহুবছরের জীব বিবর্তনের
আদর্শ সময়ের সম্মোহিত ধ্বংস স্তুপ থেকে
বেরিয়ে আসবে ইতিহাসের ক্ষতচিহ্ন।
সে ক্ষত মেরামতের রসদ শুধু পুনরুদ্ধার করা
স্মৃতির মরিচা ধরা জাদুঘর।
গুপ্তধন খুঁজতেই পেয়েছিলো তারা
যুদ্ধের কিছু পরিত্যক্ত ইতিহাস সাক্ষী বুলেট।
যে বুলেট আর টু ট্রিগার এর মেশিন গান আজ
আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় কিছু দেশ প্রেমিক
যোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা সংগ্রামের গল্প।
আমরা অনুধাবন করি যুদ্ধ গুলো ছিলো
সভ্যতার অপরিণত ইতিহাসের রসদ।
অথবা বৈপ্লবিক পরিবর্তনের প্রভাব।
জীবন যেখানে দেয়ালে পিঠ ঠেকার মত
ঠেকে গিয়ে অভ্যস্ত
সে জীবনে মৃত্যুই অপরিহার্য অনুষঙ্গ।
Very creative writing…