কবিতা

জিন্নাত আরা রোজী’র কবিতা

পথের দিশা খুঁজি

বার বার চেয়েছি যেতে
কিন্তু আজো হয়নি যাওয়া
চুকে গেছে সব লেনাদেনা
পথিকের ভীরে পথ হারিয়েছি।
পথের দিশা খুঁজে।

নদী ভাঙনের শব্দ শুনে
থমকে দাঁড়াই নদীর পারে
খেয়া পার হবো কেমন করে
ভাবি নদী তটে বসে।
বুকের সাম্পানে জল থৈথৈ
খড়কুটো খুঁজে পাই কই।

মাঝি দাঁড় টেনে যায় উদাস মনে
ভাটিয়ালি গান গেয়ে।
আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনি
গোধূলির আবির্ভাবে।

জোয়ার ভাটায় নদী মিশে যায়
বুকের গহীনে জাগে মরু বালুচর
আকাশে উড়ে শঙ্খচিলের সারি
এখনি আঁধার নামবে জানি।

তরুনের আহবান

যতই আসুক বাঁধা
যতই ছুটুক তুফান,
হারবো নাকো মোরা
জীবন গড়ার অঙ্গীকারে
আমরা হবো নির্ভীক।

আমরা দামাল
আমরা উচ্ছল
আমরা তরুন
সোনার জীবন
গড়বো মোরা
সোনার বাংলাদেশে।
সত্যপথে চলবো মোরা
সত্যের সন্ধানে।
শিক্ষা,সততা, ভালবাসা
এটাই হোক মোদের প্রচেষ্টা।

জীবনের আহবান
সত্যের জয়গান
গেয়ে যাবো মোরা চিরকাল
জানি সত্যই হবে চির অম্লান।
সত্যই হবে জীবন চলার পাথেয়।
শক্ত হাতে ধবরো মোরা
সোনার বাংলার হাল।

বহ্নি শিখা

মহাসংকটেও যাইনি হেরে,
নব নব দীপ শিখায় উঠেছি জ্বলে
জীবন নামের এই খেলা ঘরে।
নয়নে আমার বসন বাঁধিয়া
কুঞ্জ বন সাজাই আরতি দিয়া।

অনন্ত যৌবনা রুপ মনোহর
পরম সুন্দর মোর অঙ্গে,
দিপালী উৎসবে নাচিছে হিয়া রঙ্গে।
তুমি চেয়ে দেখো আমার নয়নে
আলোক শিখা বহিছে সারা অঙ্গে;

সেই তো চলছি জীবনের ছন্দে ছন্দে,
যতই আসুক বাঁধা, বিপত্তি কিম্বা দুর্যোগ।
আলোর বহ্নি শিখা হয়ে জ্বলবো,
ঝকঝকে সূর্য উঠুক আমার আঙিনা জুড়ে।

কবির কথামালা

কবি তার কবিতা লিখে
ভালবাসায়, আত্নায়, অনুভবে
সেখানে কখনো বয়ে বেড়ায় মিতালি
আবার কখনো বিদ্বেষের ছোঁয়া।
ভালবাসা, বিদ্বেষের ভাব গুলো
প্রতিটি চরণে, চরণে ছন্দে-ছন্দে ব্যক্ত করে।

মানবের তরে বিলিয়ে দেয়
তাঁর হৃদয়ের গচ্ছিত কথা কথামালা।
দেশ প্রেম, মানব প্রেম, অব্যক্ত ভাষা
কবিতায় তুলে ধরে প্রশান্তির স্বাদ গ্রহন করে।

কবিতার মাঝেই তাঁর বসবাস অন্তকাল
হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা জানায় কলমের ছোঁয়াতে।
শতশত পুষ্প ফোটে হদয়ের মাঝে অভিরাম,
তার গন্ধ ছড়িয়ে -ছিটিয়ে য়ায় প্রতিটি মানব হৃদয়ে
কবিতার ছন্দ আনন্দ দেয় বইয়ের পাতায় যাতায়।

তাইতো কবি স্বর্গ রচে হৃদয়ের গভীরে
প্রকাশ করে কথা মালার যাদুতে বইয়ের ভাঁজে-,ভাঁজে।
সেই স্বর্গ সুধার মাঝেই ফোটে আলোকছটা।
শতসহস্র বানীরুপ নেয় প্রেম পূজায়।
তাইতো কবি লিখাতেই পায় পরিপূর্ণ তৃপ্তি।

স্বপ্নের হাত ধরে

সেই তো চলেছি যবে
ক্ষয়ে কিম্বা জয়ে
কারো অনুকম্পায় নয়,
নিজ সমত্বে নিজ দায়িত্বে
অধিকারী হতে জানি
যৌক্তিক শক্তিই সম্বল।
পারি নিজেকে সামলাতে।।

সবুজ বনানীর সাথে মিতালি করে
শিশির ভিজা ঘাসে পা ফেলে,
কিম্বা প্রচন্ড খরতাপে,
উদাসী চড়ের বুকে নৌকা ভাসিয়ে
পারি ঝড়-বৃষ্টির বেগ সামলাতে।

মনকে বুঝাই অংক কষে কষে,
যদিও আঙ্গুলের ভাঁজে ভাঁজে
লুকিয়ে আছে আহ্লাদি অনূভুতি,
স্বপ্নেরা দানা বাঁধে হৃদয়ের গভীরে
অভিমানে কতদিন গেছে কেটে
এখন শুধুই চলবো স্বপ্নের হাত ধরে।
রক্তচক্ষুকে ভয় না করে, ইচ্ছেকে সঙ্গী করে।
ফেলে আসা আলো আঁধারে যাক ভেসে,
নতুন করে শুরু হোক শুভযাত্রা, শুধু জয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *