কবিতা

নাসরিন কাজীর কবিতা

হরেকরকম কষ্ট
কষ্টের ও কষ্ট পেতে বড্ড কষ্ট হয়
বুকের ভেতর জমাট বাঁধা হাজার কষ্টের ঢেউ
সেই ঢেউয়েরই তালে জীবন স্রোতে ভাসি।
জীবন নামের রেলগাড়িটা অনেক ভালোবাসি।
সাদা কালো লাল নীল হরেকরকম কষ্ট নিয়ে
ফেরি করে ছুটে গিয়ে দিকবিদিকে যাই এগিয়ে।
এমনি করে যায় ফুরিয়ে ভালোবাসার স্বপ্ন আমার
সুখের কথা ভেবে আমি কষ্ট ভুলে হাসি আবার।
স্বপ্নপিয়াসি ডানা মেলে শূণ্যে যাওয়া উড়াল পাখি,
ফিরে আসি ধানসিঁড়িটির তীরে-ভালোলাগার মাখামাখি।
সব কষ্ট ভুলতে আমার স্বপ্ন দেখা বারেবার,
বুকের ব্যথা ভুলে আনন্দের জোয়ারে ভাসবো আবার।
নীল খাম
বহুদিন ধরে আর নীল খাম আসেনা।
হলুদ গাঁদার খবরাখবর নিয়ে।
খোলা চুলে কিশোরীর ভাঙা হাতের লেখা।
পথ পানে চেয়ে থাকা দুরন্তপনা কিশোরের কাছে
আর আসেনা কোন লেখা।
বহুদিন ধরে ডাকপিয়ন ও আসেনা
হাতে চিঠির ভাঁজের গোলাপের ঘ্রাণ আর পাইনা।
লেখার সাথে সখ্যতা গড়ে ভেসে উঠেনা
অবুঝ বালিকার রাঙা ঠোঁটের মিষ্টি অনুভূতি।
বারবার খুঁজে ফিরি সোনালী অতীত গুলো।
বইয়ের ভাঁজে গুজে রাখা সেই চিঠিগুলো।
অনেক মায়ার জালে জড়ানো মনের কথা,
স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে আছে ডায়েরির পাতা।
নিরাপত্তাহীনতা
তুষের আগুনে জ্বলছি সদা
সারাক্ষণ মাথায় ঘুরপাক খায়।
কোথায় গেলে পাবো শান্তি?
কোথায় একটু স্বস্তি ভাই!
আজব ভুমিতে কেমন গজব
দিনে রাতে ঘটে যায়।
এতো বিশৃঙ্খলা এতো অরাজকতা
কিভাবে হয়ে যায়!
নারী বলো শিশু বলো
কেউ আজ বাদ নাই।
চলছে নির্যাতন চলছে অত্যাচার
নিরাপত্তা কোথায় পাই।
শান্তি চাই
এ কেমন ঝড়োমেঘ
উলটপালট করে দেয় সব।
বারবার বয়ে যায়
কেমন উতালপাতাল হাওয়া!
একবার নয় ঘটে বারবার
বিষাদে মন আতংকে হারায়।
নিরাপদ পৃথিবীর মাঝে
বাঁচার তো শুধু অভিপ্রায়।
হাত মিলিয়ে বিশ্ব সাজাই
এমন ছিলো চাওয়ার
সকল ঝড়ের হোক অবসান
শান্তি আসুক আবার।
ক্লান্ত আমি
আমি কিছুপথ হেটে হেটে
এখন তো অনেক ক্লান্ত।
তুমুল ঝড়ের সাথে
আমার হাজারো মোকাবিলা আজ শান্ত।
আকাশ পানে হাত বাড়াতেই
কেটে গেছে ঘুড়ির সুতা,
সূর্য টাকে ও দেখবো ভেবে
মেঘের আড়ালে ঢেকে গেছে সেটা।
জোনাকিরা ও আজ কেমন চুপচাপ!
পাখির কিচিরমিচির ও ছন্দ হীন।
দখিনা দুয়ারে বসে সময় ফুরায়
অতৃপ্ত বেদনায় রাতদিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *