শাম্মী সকাল এর কবিতা
ভালোবাসি তোমায়
ক্লান্ত শরীরের সমস্ত ঘাম দিয়ে
ভালোবাসি তোমায়,
ক্রন্দনরত চোখের সমস্ত অশ্রু দিয়ে
ভালোবাসি তোমায়।
রাগান্বিত মনের সমস্ত রাগ দিয়ে
ভালোবাসি তোমায়,
ঈর্ষান্বিত মনের সমস্ত ঈর্ষা দিয়ে
ভালোবাসি তোমায়।
বিচিত্র মনের অদ্ভুত সব খেয়াল দিয়ে
ভালোবাসি তোমায়,
বাংলা ব্যাকরণের সমস্ত বিশেষণ দিয়ে
ভালোবাসি তোমায়।
হৃদয়ের সব অনুভূতি দিয়ে
ভালোবাসি তোমায়,
পৃথিবীর সমস্ত ভাষা দিয়ে
আমি ভালোবাসি তোমায়।
শেষ বেলার গল্পে
তোমার শেষ বেলার গল্পে আমি ফিরবো
কোন দখিনা বাতাস হয়ে –
জানালার দাপটে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির ফোটা হয়ে
অবেলার রেডিওতে ভলিউম দিয়ে,
তুমি শুনবে বিরহের গান
আজকের সব অবসাদ সেদিন খুঁজে পাবে প্রাণ।
তোমার শেষ বেলার গল্পে আমি ফিরবো
অনুশোচনার বান হয়ে –
স্মৃতি বিজড়িত কোন গান হয়ে
মেঘ হবো তোমার পুড়ো আকাশে গাঢ় অন্ধকারে
পাবে না খুঁজে সেদিন আর এই আমারে।
তোমার শেষ বেলার গল্পে আমি ফিরবো –
ভালোবাসার ছায়া পথে রেখে যাবো ভালোবাসার বীজ
বেড়ে উঠবে লতা গুল্মের মত ধীরে ধীরে
আমি ফিরবো তোমার শূন্যতা ঘিরে
এতোটা আবদার নিয়ে-
যে তুমি নিজেই যাবে হারিয়ে।
নাইবা তুমি এলে
নাইবা তুমি এলে,
ডায়েরীর ভাজে ভাজে লিখে রাখবো আমার চাপা অভিমান,
জানালার গ্রীল ধরে বেসুরো গলায় গাইবো বিরহিণীর গান।
নাইবা তুমি এলে,
গোধূলির আকাশে লিখবো তোমার অপড়া চিঠি,
মনের সব কথা বলবো তাদের কাছে
সাঁঝের লগ্নে যারা জ্বলে মিটিমিটি।
নাইবা তুমি এলে,
তাঁরাদের সাথে ভাব লুটাবো বলতে মনের যতো ব্যথা,
চাঁদের মতো প্রিয়তম কেনো করে রাখো আমায় একা!
নাইবা তুমি এলে,
কাঁদবো গোপনে বর্ষার মতো অঝোরে,
জানোনা তো তোমায় রেখেছি বুকের বা’পাশের পাজরে।
নাইবা তুমি এলে,
কবিতায় ছুড়ে দেবো অবুঝ হৃদয়ের ব্যক্ত গল্প,
পড়ে নিও হাতে সময় যদিও তোমার বড় স্বল্প।
চাইনা হতে
আমি চাইনা হতে সুনীল আকাশ
চাইনা হতে মেঘ,
চাইনা হতে তোমার গ্রীষ্মের
কাঠ ফাঁটা আবেগ।
আমি চাইনা হতে রাঙা গোলাপ
ব্যাকুল করা সৌরভ,
চাইনা হতে ফুলের রাণী
বিশ্ব জোড়া যার গৌরব।
আমি চাইনা হতে নীল সাগর
চাইনা হতে জল,
চাইনা হতে প্রেমের জলের
ঢেউয়ের টলমল।
সুন্দর সাবলিল ভাষায়