খান মুহাম্মদ রুমেল এর কবিতা
ভালোবাসা সমীপে
এক পশলা বৃষ্টির ফরমাশ দিয়ে বসে আছি আজ কতোদিন!
তোমার ইঙ্গিত না পেয়ে এখনো পৌঁছলো না আকাশের ঝর্ণাধারা!
মেঘমালা যে ফিরে যাচ্ছে
আবার হিমালয়ের কোলে
তুমি দেখেও কেন দেখছো না?
তোমার খেয়ালি আচরণে উষর হলে প্রেমভূমি
তার দায় কে নেবে বলো?
তারচেয়ে অনুমতি দাও মেঘেদের-
নেমে আসুক জল টলোমল।
আঁজলা ভরা বৃষ্টিজল হাতে দাঁড়াবো দুয়ারে।
আসবে তো?
দুঃখ নদীর পাড়ে
মেঘ রঙ মেয়ে একটা নদী নেবে?
পাহাড়সম নয়
ধীর গতির ছলাৎ ঢেউ খেলে যেখানে।
রূপালি আলোর ঝলক
তোমার নাকের নোলক বলে বিভ্রম জাগানো জল।
যে নদীর স্রোতের আওয়াজ
তোমার হাসির মতো
রেশমি চুড়ি রিমঝিম।
যেখানে মাছরাঙা অপেক্ষায়
তোমার আমার যুগল পদছাপের।
তেমন একটি নদী তোমাকে দিতে চাই।
দুহাত বাড়িয়ে আছি-
একটু এগোও নারী।
তোমাকে
মেঘ আকাশে সূর্য হাসে
তোমার কথা মনে ভাসে।
আশ্বিন মাসের অঝোর ধারা
তোমার কথা ভেবেই সারা ।
থাকো নাহয় আর কিছুক্ষণ
হেসে উঠুক সকল ভুবন।
হোক না সব সাদা কালো
তবুও
উজাড় করে বাসবো ভালো।
কথোপোকথন
- কবিতা লিখে কি পাওয়া যায়?
- রাজ দরবারের সম্মান!
- না সেদিন আর নেই।
- নারীর ভালোবাসা?
নিযুত ভক্তের হাততালি! - না সেদিন আর নেই।
- খ্যাতি যশ এসবতো পেতে পারো?
- না সেদিনও আর নেই!
নারী এখন নিয়ন আলোয় মুগ্ধ।
কবির খ্যাতি যশ সে তো কবেই গিলে খেয়েছে পুঁজিবাদ! -তাহলে কেন লেখো কবি?
-এই যে তুমি কবি বলে ডাকলে!
সেই কারণে লিখি। - আর লিখি কবিতার দহন থেকে মুক্তির আশায়।
- কবিতার দহন থেকে তোমার মুক্তি নেই কবি!
আমি আজীবনের দণ্ড দিলাম।