কবিতা

আল মাকসুদ’র গুচ্ছকবিতা

মৃত্যু এক কর্পোরেট সুখ

মহতের বিলাস ছেড়ে একটি নদীও পাহাড়ের কথা রাখে মনে
অতঃপর কে আসে? দিতে আশ্রয়…
আশালতায় বাগান বিলাসের গোলাপি আদর;
মানুষের চরম দুর্দিনে একাকী কাক উচ্ছিষ্ট ফেলে চলে গেছে
তত্ত্ব বিচারের সুফিদর্শন যদি একটুকরো সুখের প্রলেপ দ্যায়
মনসুর হাল্লাজ কবিসম্রাট!
আপনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ ভীষণ।
ভাঁড়ের পৃথিবীতে মৃত্যু এক কর্পোরেট সুখ;
রাজনীতির নীতি খসে পড়লে হাসে দুষ্টু মেকুর!
কারও পাকাধানে মই দিইনি – ডিজিটাল বিনোদনে উড়ন্ত ইঁদুর এ কথা বলে অহরহ
বিমর্ষ খোঁয়ারি একটু আশ্রয়ের আশায় ফুলতোলা রুমালে দিয়েছিলো ঘুম
মিথ্যাবাদী রাখাল আজও উদাহরণ!
পরিণামের
কর্মের
অসততার
খেয়ালিপনার…
আরও অনেক পরে আপেল সন্ধ্যায় কিংবা সকালে প্রাতরাশের টেবিলে লবঙ্গ চায়ে

অনিচ্ছাকৃত ভুলের কার্নিভালে…
সবাই সমবেত হলে, মনসুর হাল্লাজের দিওয়ান শোনাবো :
‘আমায় হত্যা করো, হে আমার বিশ্বস্ত বন্ধুজন
আমার মৃত্যুতে যে আমার জীবন…’
…মৃত্যু এক কর্পোরেট সুখ!

পুড়ছে হৃদয়ের ঘরবাড়ি ( ওয়াহিদা খানম স্মৃতি ভাজনীয়াসু )

নিঃশব্দ বিকেলে একটি বিশেষ ডকুমেন্ট পুড়ে গেলো
প্রিয় অন্তর্বাসের মতো লুকানো বিষাদ…
আন্তর্জাতিক বেহায়াপনার খপ্পরে;
হোয়াইটহাউস প্রশাসন ‘ব্ল্যাকলাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনকে ভয় পায়; জর্জফ্লয়েড একটি রাজনীতির নাম।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি
টুইটার ডিপ্লোমেসিতে পুতিন-ট্রাম্প একাট্টা
ফিলিস্তিন পুড়ছে, পুড়ে যাচ্ছে ঘরগেরস্থালির বাসনকোসন
কিছু ডকুমেন্ট; আমরা মধ্যম আয়ের দেশ!
সান্ত্বনা আছে বৈকি!
পৃথিবীর কোন গোলার্ধে একজন বাংলাভাষী মানুষ একাকী দাঁড়িয়ে
কেঁদেছিলো জাতীয় সঙ্গীতের সুরে?
মাবিয়া আক্তার সীমান্ত’র মতো?
ওয়াহিদা খানম রক্তাক্ত হয় দুর্বৃত্তের হাতে…
করুণ বাংলাদেশ!
বিশাল আকাশ একটি পেয়ালা চা খাওয়ার যাদের কাছে- তারা দুঃখ বোঝেনা মানুষের!

কবিতাকে আশীর্বাদ

আর কোনো সন্ধ্যায় কবিতার খাতা নিয়ে বসবো না
সংকটাপন্ন রাতের সিডিতে একটি প্রিয় গানের সংগ্রহ আছে
আমি সেই নিয়ে বেশ আছি।
মানুষকে ভালোবেসে ফ্রি পেয়েছি একটি ঘৃণার পাসপোর্ট!
সবকিছুকে ক্ষমা করে দেয়ার নীতিতে বিশ্বাস রেখে কী লাভ?
কবিতাকে আশীর্বাদ করি তবুও
সময়কে বুকে ধারণ করি তবুও
মুহূর্তকে ভাগ করে নিই তবুও
পরাভবকে মেনে নিই তবুও
বয়ঃসন্ধিকালের রাগ-অনুরাগ মেনে নিই তবুও;
তুমি এবং তোমরা, তোমাদের মতো অনেকের জন্য
আমার জ্যামিতিক শুভাশিস;
ঘামঝরা শ্রমিকের ভালোবাসার চেয়ে দামি কিছু নেই
প্রজাপতি সংসারে; তাই দিয়ে গেলাম একফোঁটা শিশিরের ঘ্রাণ শ্রমক্লান্ত শ্রমিকের স্বেদাক্ত কবিতা; অনুভবের গভীর বিস্ময়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *