জন্মদিনে মামুন মুস্তাফার কবিতা
মৃত ইতিহাস
দৃশ্যের নিকটে এসে এ কেমন হৃদয়যাপন!
অর্থাৎ কেবল তুমি না জেনেই সাজাও সংসার,
একটি বিশ্বস্ত যুগের সঙ্গে মিলিয়েছি নিজেকে
বেড়ে গেছে দেনা, পড়ে আছে পথে শুধু ক্ষুণ্ন ক্রয়;
সুগম আর সুলভ এই ভেবে থেমে গেছে সব
কার কাছে যেতে চাও? পায়ে পায়ে নেমে গেছে সন্ধ্যা,
কবরী পূর্বেই প্রস্তুত, ত্রস্ত ভেঙেছে ফুলদানি
ভুলেও নেবে না কেউ; এ যাত্রাপথ শুধু একার!
এখন বিপন্ন এই ব্যক্তিগত অসীম আকাশ
অবাঞ্চিত পিপাসা বাড়ায় ধরো মৃত ইতিহাস।
অন্ধ অতীত
দাড়িয়াবান্ধার ছকে তোমাকে পেলাম
দাবার গুটির চালে হারালাম সবি
এখন ছুঁয়ে যাই ক্রীতদাস শরীর
ভূমিপুত্রের চীৎকারে বিকীর্ণ প্রাণ
অভিশাপ খোঁজে: স্রষ্টা ও দ্রষ্টা
দুজনেই আজ অন্ধ অতীত! কখনো
বীজমন্ত্র জপ করতে করতে
উৎক্ষিপ্ত করেছি অগ্নিবাণ নতুন
সূর্যের জ্বালামুখে; তুমি কি সেই?
আর কোনো প্রশ্ন নয়
দাবার ছকে বন্দি রাজা-প্রজা
দাড়িয়াবান্ধায় গত হয়েছে দেবত্রর মাপজোখ।
সর্বনাম
যাত্রাপথের রেখাটুকু মুছে গেল ঝড়ে
ল্যাম্পপোস্ট টুকরো টুকরো
নিভে আসা বাতির টিমটিম
ক্রমাগত সর্বনাশ ডাকে;
আর অক্ষমের আড্ডা
উর্ধ্বে তুলে ধরে এক দ্রাক্ষা তরুণীর নাম!
অসভ্য শেয়ালের গালে তখন
সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া কবিতার বেদনা
উৎকীর্ণ এক পতিত রমণীর বিষাদ
আমি তখন ডুবে যাওয়া ব্যথিত সর্বনাম।