অদ্বৈত মারুত এর গুচ্ছ কবিতা
মনবাড়ি
ঝড়ে কবলিত এলাকার মতো
আমাদের মনবাড়িও শূন্য –
ছায়াহীন ; সংসার ভারে নত।
মৃত ঘাস যেন- রৌদ্রতাপে ওড়ে
কবুতরের মতো। মোটও স্থির নয়
পৃথিবী বন্দরে বন্দরে।
চোখ বুজে আসে, মন অস্হির
নাগরিক ডাহুকের কলরবে
বাতাসে গতি অতিশয় ধীর!
রক্তপায়ী যেন- অক্লেশে
ধনবাড়ি তছনছ করে দিয়ে
ফিরে যায় সুদূর মেঘের দেশে
মেঘের আল্পনায় আকেঁ নদী
রক্ত যেন বা, বয়স নিরবধি…
যাপিত জীবন
ব্যাগটারে ট্যাগ করে
বউ বাজারে পাঠিয়ে দিলে
ফিরি খালি হাতে ঘরে
বলি, মাছগুলো গন্ধ
মাংসের দোকানটা উঠে গেছে
সবজিওয়ালা আসেনি, দোকান বন্ধ।
বউয়ের জিজ্ঞাসু চোখে
ভাত খাওয়া মেয়েটি বিমূঢ়
দরজাও ভারি হয়ে শোকে!
আমাদের যাপিত সংসারে
অর্থকষ্ট চরম জেনেও
ভিক্ষুকটা দ্বারে বারেবারে কড়া নাড়ে!
ঘোর
হয় পাখিডাকা ভোর, নেয় এ শুধুই ঘোর
অপলক চোখে লেপ্টে থাকে ঘুঘু মতো-গোল;
ডাকের লাটিম ঘোরানো সন্ধ্যায় বড়জোর
পৃথিবী পাড়ে ঘাসফুল যদি খায় দোল।
এমনই ঘোরে শহরে নগরে বন্দরে
ছুটে র্নিঘুম রাত করি পেট মোটা দড়ি
তুমি হাসো,প্রতিবেশী ডাকো। বল-অন্ধ করে,
যাবতীয় অসুখের সুখ আনে মায়াবাড়ি!
ভেঁপুরাতে আলোবাতি হাসে, পৃথিবীর পাড়ে;
জীবনের জুম চাষে চোখজুড়ে শুধু শুধু ঘোর
খাঁচার পাখির মতো শীত- শুয়ে থাকে দ্বারে
আফিম ডাহুকি এক- মায়াময় নেশাখোর!
স্বর ভাঙার গান
ঝুম বৃষ্টি! মাঝরাতে বিছানায় স্নান হতে গিয়ে
এক টুকরো বেদনা ছাড়া
কিছুই পাওয়া হলো না আজ!
তাও ভালো, যদি রোদ পাই সকালে।
সব বেদনা এক সঙ্গে শুকিয়ে নেওয়া যাবে!