টিপু সুলতান এর কবিতা
পুরুষ
ওহ!তুমি এখনো গোলাপ হয়ে আছ
তোমার বঙ্কিম লাস্য দেহজে
পুষে রেখো বিন্দু বিন্দু-রাগ-
তুমি ঢুকে পড়ো
পুঁজিবাদী কবিতায়-কনকলতার বাগ
আমি পুরুষ- এই পরিচয়ে-
সকল নতমুখ, বৃত্তান্ত দু হাত-
তুমি নীরবে রও, তুমি ঘুমাও
পুরুষের একা দোষ-পুরুষের থাক!
রং ও শব্দ মেশানো জিজ্ঞাসা
যে কথাগুলো এখনো উঁকি দেয়-এখানে-
বসে আছি,মাথার খুলি পাশে-মুখোমুখি
সেই বহুদিন আগে,এই শহরে-আধখোলা চোখ
পড়েছিল, শার্টের আলনায় মাকড়শাজাল;
স্নায়ুর ভেতরে জমে থাকা-অলেখিত হৈম দুপুর
ফসলের আলে-নিকানো উঠানে দিগন্তফুল
যতখানি প্রশ্ন মাঝারি উত্তর-বংশলতিকার মতো;
যার মুখ দেখে ঘুম ভাঙত,সে শিল্পীর হাতে
সালতামামী-সবুজ ঘাসে ঝুটোখোলা শিশির
ধূলোর শিথানে ফুরফুরে চড়ুইয়ের পালক
-রং ও শব্দ মেশানো গোল গোল জিজ্ঞাসা-
যে সুখ মনে রাখার মতো, প্রায় খড়কুটোর চাল-
চিন্তারও বাইরে, ভাঙাচোরা দিন শেষে সন্ধ্যা
একা ভাবি-আসে নবান্ন! তারপরও বিষণ্ণ কবিতা
স্বপ্ন গোছায় নরম মন
মাটির তাওয়ায় রূটি ফাঁপা গন্ধ
কোনো একদিন আবার মনে করিয়ে দেবে
প্রেয়সীর নরম দুহাত যৌবন বুনছে
লাল পাঞ্জাবী, গোলাপের গন্ধরাশি-
প্রণয়ের এপিটাফ মাখা বনের বৃত্তান্ত,
পৌষের ঊরুতল ওম ছড়াবে সেদিন
দিগন্ত শরীর ও গোপন ভালবাসার উচ্চারণ-
এই তো চাওয়া, অস্থির জানালায়
গাছপাতা নড়লে- বুঝব-
ফজর হয়েছে, উতলে উঠছে আযানু ঘ্রাণ