কবিতা

রুদ্রাক্ষ রায়হান এর পাণ্ডুলিপির কবিতা

ডাক

তৃপ্তির পৃষ্ঠায় জমে থাক কলসের জল
আজকাল স্রোত নদী পুষে রাখে প্রাচীন পলল
প্রপঞ্চের দিন শেষে সূর্যকে ফাঁসি দিয়ে দাও

আগুনের বুকে পিঠে আন্দাজে আদর মাখাও
পাখি, তার পোষা বুকে নাক ঘসে গেয়ে ওঠো গান
আহ্লাদী সুর তুলে নরকের মেঠোপথে যাও

নিন্দুক স্রোতের খবর কে জানে? পুষ্পেরা-
মরে গেলে ভোর ডেকে আলো আনে কে?
আমি যাই মাসকাটা নদী কাল ডেকেছে আমাকে।

জল ঘুঘু-১

ঘুঘু তুমি ওড়ো
তোমাকে দ্যাখে কালো চোখ
খাঁচা নেই, বেঁধে রাখা কবির স্বভাব নয়

অচ্ছুত সন্ধ্যায় এতটুকু ঘরে ফেরা নেই
আগন্তুক রোদটুকু মিশে যায় দূরে
ক্লান্তির গল্পেরা বালিশের পাশ খুঁজে নেয়

ঘুঘু তুমি উড়ে এসো রাতে
রাত এলে আমিও কোমল হয়ে উঠি
অনিচ্ছুক সূর্যেরা ডেকে আনে ভোর

জল ঘুঘু-২

সরল অঙ্কের মত কিছু-
কবিতা বিছানায় চিৎ হয়ে আছে
জামা খুলে শুয়েছি তার কাছে

এইসব অন্ধকারে বিদ্যুতের-
আলো নেই এমন এক রাতে
কথা হয় মেহগনি, শিরিশের সাথে

শোনাব যদি চাও একা তুমি-
চলে এসো অন্ধকার কালো রাস্তায়
কবিতারা শুয়ে আছে ধুলোর বিছানায়

জল ঘুঘু-৩

গূঢ়ার্থে যা লুকিয়ে ছিলে-
ঘরের কোণায়
গান ধরেছে বিরুদ্ধ ব্যঞ্জনায়

বিসর্জনে যেটুকু সুখ
অল্প জানি
লুপ্ত পথে শেষ খুঁজে নেয় অরণ্যানী

তবুও কোমল বসন্ত দিন
হরিৎ পত্র
ভেতর রাজ্যে তোমার শাসন একচ্ছত্র

গন্তব্য

এক বেদুইন পাখি উড়তে উড়তে
ক্লান্তিতে মগডালে থামে, তখন-
পৃথিবীর বৃক্ষেরা পাখিবিদ্যার নামতা পড়তে শেখে।

বৃক্ষ, পাখির শরীর দেখে শিখে নেয়
তুমুল নরমেরা রাত এলে
কঠিনের বুকে বাসা বাঁধে।

আর
সূর্যের রং ছুঁয়ে
উড়ে যায় দূরে বহু দূরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *