কবিতা।। জেসমিন জেসি
অভিযোগ নেই
বহুদিন হলো, অভিযোগ নেই কোন
পাল্টে গেছে অভিমানের ভাষা
রক্ত সেতো, চাপিয়ে দেওয়া স্বজন
যেমনটা দেয় ভাষা ধর্ম জাতে।
তবুও মানুষ কৌতুহলী বড়ো
আশা করে, সময় খোঁজে
হয়তো তারা ভালোও বাসে
প্রাণ খুঁজে নেয় জীবন্ত লাশে।
আজকাল আর ঘ্রাণ খুঁজে না স্মৃতি
ভুলে গেছে সে, ঘুমের স্বপ্ন ভেবে
মোহ এখন সন্ন্যাসী পাড়া এড়ায়
নিত্য জীবন যাপনে সে বেড়ায়।
তবুও মানুষ খোঁচায় বড় জোরে
নিদ্রা হনন নিত্য দস্যিপনা
ভালোবাসার রঙ্গ লীলা খেলা
উজান স্রোতে ভাসে জীবন ভেলা।
জীবন মৃত্যু খেলা
জানি তুমি কতোটা যোদ্ধা তেজে
পরোয়া করোনা জীবন মৃত্যু খেলা
তুমি কখনোই হেরে যাওয়া শিশু নও
তবুও বলি প্রহর গুনছি প্রিয়।
ডুবে যেতে যেতে হাত বাড়িয়ে দিও
বাইছি বৈঠা যতো দ্রুত যাওয়া যায়
তুমি শুধু চোখটি মেলে দেখো
বিশ্বাস রেখো হারাতে দেবো না কভু।
খুনসুটি তো চলছে আদি থেকেই
ভেতর বাহির দুজন দুদিকে চলে
তাই বলে অভিমানের জয়!
আদ্যোপান্তে এ কি কখনো হয়?
হেমন্ত এলো বুঝি
চোখে চোখ রেখে মিথ্যা বলার
সাহস ও কারোর হয়,
সৎ ব্যবহার সভ্যতা সংস্কৃতি ভালোবাসার
তফাৎ না জানা আমি
দ্বারে দ্বারে ভালোবাসা খুঁজি।
কেউ বলেছে কালক্ষেপণ
কেউ আবার
না বলেই গেছে চলে,
কারো আবার সকাল দুপুর
বসন্তের আকাশ সৌর ঝর্ণা যেমন।
আমি ঠায় দাঁড়িয়ে দেখি
গৃষ্ম বর্ষা শরৎ শেষে
হেমন্ত এলো বুঝি,
ঋতু আসে ঋতু যায় স্মৃতিগুলো রেখে
নদীর বুকে বালির ঘর-
তবুও চলতে থাকে।
হেঁটে চলেছি
যে হাত তুমি দিয়েছো ছেড়ে
ধরনী ধরেছে সে হাত,
তুমি আমার হলে না বলেই
বিশাল ধরিত্রী আমার।
দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছো
অচ্ছুত বলে কুল-এ
বিশ্ব বলেছে যার বড় জাত
আমার কি যায় তাতে।
বলতে পারো কে বেশি ধনী
চাঁদ কি তারা রাতে?
তারাদের দেখো কারোর কোন
তোয়াক্কা নেই মোটে।
বিছায়ে দিয়েছে চাদর গায়ের
আমার পথের পানে
আমি শুধু হেঁটে চলেছি
চুপচাপ আনমনে।
আমি এখন বিশাল আকাশ
আলো আঁধারের মাঝে
তারা হয়ে ফিরে আসো
বেলা ফুরালে সাঁঝে।
সুন্দর সুন্দর উপমা, সরল শব্দ বাক্য, পরিস্কার মনোভাব। ধন্যবাদ কবিকে।