উপন্যাস

নাট্যোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। পর্ব তিন

হাওয়াশূন্য স্তব্ধতায় আচ্ছন্ন বারান্দাপ্রান্ত। বিস্তৃত উঠোনও নিথর, বৃক্ষেও কোনও কম্পন নেই। কোথাও একটি কাকের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে, আকাশটিও বুঝি চটের মতো চিরে গেছে। পুকুরের জলে ঢেউও উঠছে না, শব্দও নেই। কিন্তু জানালার ফাঁকে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে কাঁপছে ননী। তার চোখে ধারালো দৃষ্টি। সর্পের সর্পিল সূক্ষ্মগতিতে, সূচাগ্রের একাগ্রতা নিয়ে, তার দৃষ্টি যেন এঁকেবেঁকে চলেছে। সেদিকে লক্ষ নেই শংকরের। শংকরের কথা শুনে ননী ঈষৎ কাঁপতে কাঁপতে, কয়েকটি শ্বাসরুদ্ধ মুহূর্ত পেরিয়ে, শান্ত হয়; যেন পাথরের প্রতিমায় নিজেকে রূপান্তরিত করল, তারপর আওয়াজ তুলল : রসের হাঁড়িতে আবার মাছি বসল নাকি গো! যদি-না পরান জুড়ায় পরানের সুখে, তবে তো সব নামই ব্যর্থ। মহাজন, আমি বলি কী, তুমি তোমার পছন্দমতো একটি নাম এখনই দিয়ে দাও, এতে বউদিরও পরান জুড়াবে, সারেন্দাও বাজাবে বউদির মনের মতো সুর। হোক-না সেই নাম : কলাবলি, লীলাবতী, রসবতী। বউদি ছাড়া যেকোনও নামে ডাকলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।

রেগে ননীর উদ্দেশ্যে শংকর বলল : তোকে না কতবার বলেছি, সব কথায় ফোড়ন কাটবি না। তাছাড়া তুই আমাকে তুমি-তুমি করিস কেন? আপনি-আপনি বলতে পারিস না! মনে রাখতে পারিস না, আমি একজন মহাজন। তারপর কমলিকার উদ্দেশ্যে করে যোগ করল : তোর সখীর আশকারা পেয়েই আজ তোর এই বাড়ন্ত।

শংকরকে শান্ত করতে কমলিকা বলল : ঠিক আছে গো ঠাকুরপো, এবারের মতো ননীকে ক্ষমা করে দাও। ভবিষ্যতে আর এমনটা হবে না। তারপর ননীর দিকে তাকিয়ে বলল : এক্ষুনি ঠাকুরপোর পা ধরে ক্ষমা চা, ননী।

এই দুর্গম ভাটিদেশের পরিবেশে কমলিকার মিহিকণ্ঠে ননী তার নাম শুনে চমকে উঠল। মনের গোপন আশাটিও যেন দমে গেল; কিন্তু নিজেকে সংযত রেখে ছুটে এল শংকরের দিকে। শংকর ভাটিদেশের নিরন্তর মরা-খরার মতো তার পা দুটি ক্বচিৎ সরিয়ে নিল। জলবিহারী ভারী হাওয়ার মতো তার মাথার কয়েকটি চুল উড়তে থাকে নিস্পন্দ বারান্দার প্রগাঢ় নিঃশব্দতায়। তার স্থির দৃষ্টি যেন ধনুকের মতো টানটান হয়ে উঠেছে। বিদ্যুচ্চমকের মতো তার দেহের ঊর্ধ্বাংশ কাঁপতে থাকে। ননী তবুও তিরের মতো মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। তারপর বলল : এই দেখুন, আমি কানে ধরলাম, উঠ্বোস্ করলাম। এমনটা আর কোনও দিন হবে না।

কমলিকা পরে আছে একটা ডুরে শাড়ি, তেমন দামি কিছু নয়, দুই হাতে চুড়ি-বালা, দুই কানে দুটি অতিসাধারণ স্বর্ণদুল। বারান্দার কাপড় শুকানোর বাঁশ থেকে একটা গামছা তুলে নিয়ে শংকরের উদ্দেশ্যে কমলিকা বলল : যাও ঠাকুরপো, এই নাও গামছা, স্নান সেরে এসো। তারপর ননীর উদ্দেশ্যে যোগ করল : ননী, তুই ঘরে যা। গিয়ে আহারের ব্যবস্থা র্ক, আমি ভাত-তরকারি বেড়ে দিচ্ছি। সর্বশেষে শংকরের উদ্দেশ্যে বলল : এখনও দাঁড়িয়ে রইলে যে ঠাকুরপো! তাড়াতাড়ি করে স্নান সেরে এসো। তুমি ফিরে এসে দেখবে, ননী খাবারের সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করে রেখেছে।

স্নানের উদ্দেশ্যে যেতে যেতে শংকর বলল : হায়-রে আমার পোড়াকপাল, বউদি না থাকলে আমার যে কী হতো! এই সংসার পঞ্চভূতে খেত।

ভরদুপুরে, পুকুরপাড়ে একাকী বসে আছে ননী। শংকরের ব্যবহার ও তার বলা শেষ বাক্যটি ননীর হৃদয়ে কেটে বসে আছে। জলের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার ইচ্ছে হচ্ছে শংকরের কাছে ছুটে যেতে, কিন্তু কীভাবে যাবে, এই পথের সন্ধান তার জানা নেই, তাই হয়তো সে জলের দিকে তাকিয়ে নগ্ন হাতে জল নাড়তে নাড়তে স্বগতোক্তির মতো বলতে লাগল : আমার দেহেও একটি পুকুর আছে, তবে তা শুকিয়ে গেছে; এতে এতটুকুও জল নেই।

জলে তরঙ্গ উঠছে। একটি নয়, পর-পর বেশ কয়েকটি। ননী বেশ অবাক হয়ে সেদিকেই স্নেহ-মমতা-প্রেমের ভিজে দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল; চোখে প্রত্যাশার লোভ খেলে ওঠে আবার ছাই হয়ে নিভে যায়। জলের নিস্পৃহ আচরণে ও নকল বিস্ময়ভরা বিহ্বলতায় সে যেন দুর্বোধ্য অভিমানে নিজেকে গুটিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছে। প্রেমপ্রত্যাশার লোভ কী অফুরন্ত! নাকি সাময়িক ঘটনা মাত্র! কিন্তু সে তো ভালোবাসার কাঙাল! ননী জলের দিকে তাকিয়ে স্বগতোক্তির মতো বলতে লাগল : আমার কাঁধ দুটি কেন কৃষ্ণের বাঁশির মতো বাঁকা হল না! কৃষ্ণলীলা কেন শিখিয়ে দিলেন না অর্জুন! তার কারণেই তো কৃষ্ণের জলেতে জন্ম, জলেতে বাস।

ননী জানে, এই বিশ্বসংসারে একজন ছিলেন ঘর-ভাঙার জন্য উৎকণ্ঠিত, আর অন্যজন ছিলেন ঘর-বাঁধার জন্য আগ্রহী। একজন বীর্যপ্রাচুর্যে হাঁপিয়ে উঠতেন, আর অন্যজন সৌন্দর্য-প্রাচুর্যের প্রেমের কশাঘাতে নিজস্বতা বজায় রক্ষার্থে অসহায় ছিলেন। একজন ছিলেন উজানের মোহিনী অঙ্গরাগে রঞ্জিত, আর অন্যজন অজানা-অচেনা ভাটিদেশের মোহমুগ্ধ হৃদিচত্বরে মোহবন্দি। কিন্তু দুজনই ছিলেন বর্ষণ-মুখর-শ্রাবণ-দুপুর, পরশ্রীকাতর, ঈর্ষাপরায়ণ; আর তাদের চতুষ্পার্শ্বে দানা বেঁধে উঠেছিল ইন্দ্রিয় লালসার লোলুপতা, অসংখ্য অজস্র আহ্বানের দেওয়া-নেওয়ার খেলা। ননী এক মনে বলতে থাকে : ভাটিদেশের মানুষ আমি। জলের মাছের জীবন কেন হল না আমার? মাছের জীবন নিয়ে জন্ম হল না কেনই-বা আমার? ভাটিদেশ হচ্ছে জলের মা; তাই তো তার বুক চিরে চলাচল করে মাছ। তবে কেন আমি জলের মাছের জীবন পেলাম না? আমার গায়ে জলের গন্ধ, মাছের গন্ধ; মাছের জীবন কেনই-বা হল না আমার? ঝড়ের অন্তরে ফুঁসে ওঠা জল আমাকে দাঁড় করিয়ে দিতে পারত কি জীবনের সবচেয়ে কঠিন বাস্তবতার সম্মুখে?

জলমুকুরে প্রতিফলিত হতে থাকে ননীর পূর্ণাবয়ব। জলে ভেসে চলা মাছগুলো যেন তারই নিদারুণ নৈকট্যে। বিস্ময়াবিষ্টের মতো মাছগুলোকে ঘিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার মন। তখনই জলের ভেতর থেকে ভেসে এল : সর্বনাশ ননী, তোমার মনে সৃষ্টি হওয়া উত্থান-পতন থামাও।
একটু সামনের দিকে ঝুঁকে, নিজেকে জলের ভেতর বিসর্জন দিতে দিতে ননী বলল : কেন কেউ আমার মনের গতি বুঝতে পারে না? এক-একবার মনে হয় এই ভাটিদেশ ছেড়ে অনেক—অনেক দূরে চলে যাই।

বিস্ময় কটাক্ষে কায়া বলল, মনের গতি না-বোঝাতে পারলে কি ভাটিদেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়! তুমি কেন বুঝতে পারছ না, ননী, আমি তোমার বন্ধু। তোমার একমাত্র অকৃত্রিম বন্ধু। বলো, আমার মতো তোমাকে আর কেউ ভালোবাসে? আমি যে তোমাকে জন্মজন্মান্তর অনুসরণ করে চলেছি। প্রাণের বন্ধু ব্যতীত আর কেউ তা কি করে?
ননীর শরীরটা হঠাৎ কেঁপে উঠল থরথর করে। কাঁপন যখন থামল তখন সে বলে উঠল, হয়তো-বা না। কিন্তু তুমি আমার বন্ধু নও। আমার বন্ধু আমার বিবেক, আর সেই মনীষীরা যাঁরা আমার পূর্বে প্রেমের অন্বেষণ করেছেন।

মৃদু হেসে কায়া বলল, তা-ই? এইসব মনীষীর সংসর্গে এযাবৎকাল পর্যন্ত তুমি কোনও প্রেম আহরণ করতে পারলে?
সম্মতিসূচক ঘাড় নেড়ে ননী বলল : আমার সমস্যার সমাধান আজও অবধি কেউ দিতে পারেননি, তা সত্য। তবুও সময়ই তা বলে দেবে।
অনুতপ্ত কণ্ঠে কায়া বলল : সময়, সময় তো এক জীবন্ত চমক মাত্র, যেন অন্ধাহত কৃষ্ণচুম্বন, যেন অসন্তুষ্ট উৎসাহের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাসের অপূর্ব এক ভাস্কর্য। যেন দেয়ালে সাঁটা মারাত্মক জটিল এক বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনটিকে দেখে কেউ-বা টেনে ছিঁড়ে নিয়ে মেঝেয় পড়ে-থাকা নোংরা তুলতে চায়, আবার কেউ-বা তার দিকে তাকিয়ে মুখ টিপে হাসে। আচ্ছা, তোমার মনে কি কোনও টান ধরেছে?

একটি প্রকাণ্ড মাছের আস্ফালন শোনা গেল পুকুরের জলে। মনে হল অজস্র মায়ামাছ ঢুকে গেছে ওর পেটে। এসব কল্পনা করতে করতেই ননী বলে উঠল : হ্যাঁ, আমার মনে টান ধরেছে। অবহেলায় আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। আকাশের ক্ষীপ্রগতির উন্মাদিনী বিজলির কষায়িত লীলার মতো আমার অন্তরে আর্তনাদ সৃষ্টি হয়েছে। সত্যের জন্য মানুষ নিজেকে কীভাবে বিপন্ন করেছে, কতখানি অগ্রসর হয়েছে, কোথায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে থেমে গেছে, এসব আমার জানা আবশ্যক।
কায়ার ব্যথিত কণ্ঠ প্রকাশ পেল, এটি কী বলছ ননী! জীবন নিয়ে খেলা শুনলেই আমার বুক কেঁপে ওঠে।

শিলাবৃষ্টির শব্দের মতোই ননীর অন্তরাত্মা চিৎকার করে উঠল, বলল : আমি এই দেশ ছেড়ে চলে যাব, চলে যাব অনেক দূরে, সেখানে তুমিও আমাকে খুঁজে পাবে না। চলে যাব বহু—বহু বহু দূরে।
মনের হাসিটা মুখের বিস্তৃত করে কায়া বলল : এটি তোমার অহংকার, ননী! তুমি, একমাত্র তুমি, সমগ্র ভূমণ্ডলে একমাত্র তুমিই সত্যের সন্ধান করার জন্য বহু দূর চলে যাবে—এটি তোমার দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। আমার কথা শুনবে?
কাঁধে চাপড় মেরে ননী বলল, বলো। শুনছি।
তোমার মুখে প্রকাশ পেয়েছে অতীব আশ্চর্যের কথা। কিন্তু মনে রেখো : দান, তপঃ, শৌচ, ধ্যানেরও কোনও অর্থ নেই। মৃত্যুতেই সবকিছুর বিনাশ হয়ে যায়।

কায়ার কথা শুনে ভুরু কুঁচকে গেল ননীর। সে জলের দিকে নতমুখে বলল, বস্তুবাদী কথা! কিন্তু জীবনের উত্থান-পতনের কঠিন বাস্তবতার সামনে আমি দাঁড়িয়ে আছি। এখন ভাটিদেশের জল আর দেহে মাদকতার জন্ম দেয় না, বরং মাছের গন্ধে আর রুপোলি আঁশের মিষ্ট সৌরভে আমার মনারণ্যে ক্রমান্বয়ে দূরত্ব ঘনিয়ে উঠছে। আমার কাছে দেহের চেয়ে মনই বেশি টান ধরে। কিন্তু আমার সোহাগ? মনের বলিষ্ঠতা চিরকালই থেকে যায় অপূর্ণতার পরিপূর্ণতায়!

নানা রকম দৃশ্য মাথায় নিয়ে কায়া বলল : মনে শুধু আকাক্সক্ষা ও ভাষা থাকলেই হয় না, দেহেও থাকা চাই শক্তি ও সাহস; থাকা চাই সম্ভোগের অকুণ্ঠ তাগিদ; ভোগ করার নির্লজ্জ দক্ষতা। আর মনে জাগিয়ে তুলতে হয় কৌমপ্রাচীন শুদ্ধ কামবাসনা। আর তা করতে না পারলে অপূর্ণতার পরিপূর্ণতাকে স্পর্শ করে বন্ধচোখে কল্পনার দেহকে হাতড়ে ফিরতে হয়।
ননী একটু ঝুঁকে, একটি হাত বাড়িয়ে জলের বুকের ওপর রাখল। তারপর বলতে লাগল : একটি দেহে যে মনের সন্ধান পাই, তা কি কৌমপ্রাচীন শুদ্ধ কামবাসনারই ইঙ্গিত, নাকি লালসা ও ভোগের অন্ধ আস্তানা? কিন্তু সঠিক দেহ না পেলে যে মনের নিবৃত্তি ঘটে না!

সারা মুখে হাসির তরঙ্গহিল্লোল ভেঙে কায়া বলল : এই যুগে দেহ ও মনকে পৃথকীকরণ করার একটি সত্তা আছে, যা দিয়ে অনেক দিনের সম্পর্ককেও ভাঙা যায়।
শুনতে শুনতে বিভোর হয়ে রইল ননী। একটুক্ষণ চুপ করে থাকার পর বলল, তাহলে কি কল্পনার মন দিয়ে দেহের স্বাদ মেটাব? মন তো বাসনারই উৎস। উৎসকে বাদ দিয়ে সম্পর্ক কীভাবে টিকে থাকে?
গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে কায়া, তারপর বলল, দেহভোগের মাধ্যমেই তো মনের অতৃপ্তি বাসনার তৃষ্ণা কেটে যায়। এই যুগে এ-ই-তো সুখী হওয়ার একমাত্র পথ।
ননী যেন ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে এক ভগ্নস্তূপে, আচমকাই বলে উঠল : সুখী হতে চাইলে কি মনকে করতে হবে বোবা, অচেতন, বধির! কিন্তু তুমি জানো, মন বাদ দিয়ে নির্দয় সঙ্গমে মানুষ হয় দুঃখী। হয় চির-অসুখী। জীবন হয় বিকৃত।

মুক্তকণ্ঠে কায়া বলল : ননী, তুমি নিজের সর্বনাশ করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছ, দেখছি। এখনও বলছি, আমার কথা শোনো। তুমি কল্পনাকেই ভালোবাসো, অন্যকিছু খুঁজে কোনও লাভ নেই। মনের প্রশান্তির সন্ধান করলে বেদনা বাড়বে বই কমবে না। দেহকে মাপো, মাপকাঠি নিজের অধীনে রেখে। মনে রেখো, দেহই শান্তিময়, কল্যাণময়ী। বর্ণপ্রহারে ছিন্ন, কৌমঘৃণায় বিক্ষত মানুষ যা পায় না, বারবার পেতে চায় সেই তাকেই।
যাও, যাও, আমার কাছ থেকে চলে যাও। আমার সঙ্গে এসো না তুমি আর। আমাকে অনুসরণ করা বন্ধ করো।

একটু দূরে গিয়ে তলিয়ে যাওয়া আগে, কায়া বলতে লাগল : তা কি হয়, ননী? আমি যে তোমার সত্তাকে সর্পিণীর আলিঙ্গনে জড়িয়ে আছি। আমি যে তোমার সঙ্গেই চলেছি। আমি যে তোমার চিরসুহৃদ! জন্মজন্মান্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *