ছোটগল্প

ছোটগল্প।। রহস্য।। আজাদ মন্ডল

হ্যলো রুমি?
অরু পরে ফোন দে, ঘুমচ্ছি।
কিসের ঘুম? এগারোটা বাজে?
এগারোটা বাজুক না তেরটা বাজুক, ঘুমচ্ছি ব্যস।রাতভর কি চুরি করিস?
হ,গতরাতে একটা নীল তিমি চুরি করেছি, দেখবি আয়।
দেখতে হবে না, দুপুরে বাসায় আসতে পারবি?
বলতে পারছি না, যদি একটা হেলিকাপ্টার পাঠাতে পারিস, বিবেচনা করবো।
তারমানে আসবি না?
উপলক্ষ্য কী?
আমার জন্মদিন।
তাহলে যাবো না।
কেন?
মিথ্যা উৎসব!
মানে?
কোনদিন দেখা হলে, বুঝিয়ে বলবো।

রুমি পট করে কললাইন কেটে দিলো, ঘুমের সময় আজাইরা ডিষ্টাব। কিসের জন্মদিন? কাজের কাজ নাই অকাজ নিয়ে ফাউ ফাউ উৎসব! শালার মানুষের মাথার সমান যদি মৌমাছিদের মাথায় বুদ্ধি থাকতো, তবে মনে হয় বেশি ভালো হতো। অত্যন্ত পৃথিবী গ্রহে এতো ফাউ ফাউ উৎসব হতো না। নিশ্চিত প্রকৃতি জীবের মাথায় বুদ্ধি প্রদানের ক্ষেত্রে চরম ভুল করে ফেলেছেন!

শামসুজ্জামান খান রুমি, বাবা মা নাই। অরুনিমার বাবা রুমির আপন মামা। ঘূর্ণয়মান পৃথিবীতে রুমির অপনজন বলতে ঐ একমাত্র মামাই আছেন। সমস্যা হচ্ছে , সম্প্রতি মামা তাকে বাসা হতে বের করে দিয়েছেন। কিন্তুু কেন? এতিম ভাগনেকে বাসা হতে বের করে দেওযার পিছনে মামা যুক্তি দেখালেন, রুমির এম এ রিজাল্ট হয়ে গেছে, সুতুরাং এখন তার উচিত হবে নিজের খাবার নিজে যোগার করে খাওয়া। পুরুষ মানুষের পরগাছার মতো জীবন যাপন অতিশয় আপত্তিজনক এবং লজ্জকর ব্যাপার।

মামা, একটু ভদ্রভাবে যুক্তি দেখিয়ে রুমিকে বাসা হতে বের করে দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেও, আসল কারণ ছিলো অন্য! মামার ধারণা আর কিছুদিন রুমি তার বাসায় থাকলে সে ফুল পাগল হয়ে যাবে! আর যদি হাফ পাগল থাকা অবস্থায় রুমির কাঁধে বাস্তবের করাল যোয়াল তুলে দেওয়া যায় তবেই যদি ওর মাথা ঠিক হয়! কষ্ট করে আয় রোজগার করে যখন নিজের চরকায় নিজে তেল দিতে হবে, তখনই রুমির এলোমেলো, আজগবি কথাবার্তা আর কাজকর্মেও ভূত মাথা হতে চীরতরে বিদেয় হবে এবং তাতেই সবার মঙ্গল।

রুমিকে বাসা হতে বের করে দেওযার পর তার মামারই মন খারাপ হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। আপন ভাগনে তার উপড় এতিম। রুমি ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষ পড়ার সময় হতে তার বাসায়। স্ত্রী একমাত্র মেয়ে ভাগনে আর তিনি চার জনের ছোট্ট সুখের সংসার। নিজের সিরামিকের ব্যবস্যা, আয় রোজগার প্রথম শ্রেণীর। রুমি ইন্টারমডিয়েটে খুব ভালো রিজাল্ট করে যেদিন তাদের পা ছুঁয়ে সালাম করেছিল সেদিন রাতেই তারা পরামর্শ করে ফেলেছিলেন, তারা ঘরের ছেলে ঘরেই রেখে দিবেন। কিন্তুু শেষ পর্যন্ত তারা রুমিকে বাসা হতে বের করে দিলেন, এর চেয়ে দুঃখজনক বিষয় আর কী হতে পারে?

মামা কর্তৃক এতিম ভাগনেকে বাসা হতে বের করে দেওয়ার দুই একটি কারণ দেখানো যাকঃ

একদিন সকালবেলা সবাই নাস্তার টেবিলে, রুমিকে দেখে মামার মনে হলো সে গভীরভাবে চিন্তিত মামা ভাবলেন বাবা মায়ের কথা চিন্তা করছে হয়ত, এই অবস্থায় রুমিকে সান্তনা দেওয়া একান্ত কর্তব্য,

কিরে, কী চিন্তা করিস?
বিশেষ বিছু না মামা।
শোন, বাবা মাকে নিয়ে চিন্তা করিস না, আমরা তো আছি।
মামা, বাবা মাকে নিয়ে চিন্তা করছি না।
তবে কী নিয়ে চিন্তা করিস?
পৃথিবী গ্রহের জন্মের ইতিহাস নিয়ে চিন্তা করছি মামা!
কী?
মামা, আজ হতে প্রায় সাড়ে চারশো কোটি বছর আগে আমাদের এই পৃথিবীর জন্ম হয়েছিল।
হাঁ, তাতে চিন্তা করার কী আছে?
কী বলেন মামা? তখনকার পৃথিবী আজকের পৃথিবীর মতো ছিলো না!
না থাকলে নাই! আমরা ছোট বেলায় যেই পৃথিবীকে দেখেছি সেই পৃথিবীই তো আজকে নানাভাবে বদলে গেছে?
মামা আমি ঐ বদলের কথা বলছি না!
তবে, কোন বদলের কথা বলছিস?

মামা শুরুতে পৃথিবী ছিলো প্রচন্ড উত্তপ্ত আর আকাশ ছিলো পরিপূর্ণ বিষাক্ত গ্যাসে, তারপর একসময় নানান কিছুর বদল হলো, পৃথিবীও বারিধারায় শীতল হলো।
আরে বাবা,পৃখিবী উত্তপ্ত বিষাক্ত ছিলো ঠান্ডা হয়েছে, তবে আমাদের সমস্যা কী?

মামা আমি চিন্তা করছি ঐ শান্ত শীতল পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের উৎপত্তি হয়েছিল কিভাবে? আচ্ছা মামা, আপনার কী মনে হয়? স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ময়লা আবর্জনা হতে কী প্রাণের সৃষ্টি হতে পারে? কিংবা পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ ঘটেছে বহির্জগত হতে, এমনটাও কী হতে পারে?

রুমির কথা শুনে টেবিলের সবাই সেদিন বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছিলেন, কী বলছে রুমি? বিজ্ঞানীদের চিন্তা ওর মাথায় কেন? সারাক্ষণ বই পড়ে পড়ে ওর আকাশের ঘুড়ি যে অন্য আকাশে চলে গেছে, এতো বড় ধরণের চিন্তার ব্যাপার। মামা রুমিকে বেশি কিছু না বলে কেবল বলেছিলেন, বাবা বিসমিল্লাহ বলে খাবার শুরু করো। কিন্তুু রুমি সেদিন তার মামাকে আরো নানা ধরনের অদ্ভুত অদ্ভুত কথা শুনালেন, শেষে যখন সে মামাকে বললেন, বুঝতে পেরেছেন তো মামা? মামা আশ্চর্য হয়ে, মাথা ঝাঁকিয়ে বাধ্য হয়ে কেবল বলেছিলেন বুঝতে পেরেছি বাবা, আজব কারবার আজব কারবার!

তবে সেদিন সেটা মামার মুখের কথা হলেও তার অন্তরের কথা ছিলো ভিন্ন, সে মনে মনে বলে রাখলেন, বাবা নিঃসন্দেহে তুমি চমৎকার একটা ছেলে, তবুও আমার বাসার ভাত আর তোমার কপালে নাই এবং সেটাই সবার জন্য বেশি মঙ্গল হবে।

এরপর রুমির এম এ পরীক্ষার রিজাল্টের দিন মামা মামির পায়ে যখন সালাম করলো,তখন মামা নিজের মনের অনিচ্ছা সত্ত্বেও রুমিকে বললো সে আর তার বাসায় থাকতে পারবে না। মামার হঠাৎ এরূপ সিদ্ধান্তে প্রথমে রুমি ভরকে গিয়েছিলেন, পরোক্ষণে সে মনে মনে যুক্তি দাঁড় করেিয়ছিলেন, যদি এক প্রকার চরমজীবী নলকৃমি সমুদ্রের তলদেশে গভীর ফাটলে ২৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা সহ্য এবং ফাটল হতে নির্গত ভয়ঙ্কর রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিকে অপেক্ষা করে বেঁচে থাকতে পারে, তবে সে কেন সহজভাবে বসবাসের তুল্য পৃথিবীতে নিজের চেষ্টায় বেঁচে থাকতে পারবে না?

তারপর রুমি সেদিনই মামার বাসা হতে বের হয়ে প্রথমে এক বন্ধুর মেসে উঠেছিলেন, পরে বন্ধুর সহায়তায় তিনটি টিউশনি জুটিয়ে আজ ছয়মাস হলো সে দিব্যি বেঁচে আছে।

সমস্যা হলো মামা যে উদ্দেশ্য নিয়ে এতিম ভাগনেকে বাসা হতে বের করে দিয়েছিলেন, তার সেই উদ্দেশ্য সফল হয় নাই।মামা একদিন রুমির মেসে এসেছিলেন ভাগনের মনোজাগতিক চিন্তা চেতনার উন্নতি স্বচোক্ষে দেখার জন্য, তার ধারণা ছিলো বাস্তবের নির্মম কষাঘাতে রুমির এলোমেলোর চিন্তা ভাবনার হয়ত ইতি ঘটেছে, কিন্তুু কয়লা শতবার ধুইলেও যে ময়লা যায় না রুমি তার বাস্তব প্রমাণ হিসেবে তার মামার নিকট প্রমানিত হয়েছিল।পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি খুব সম্ভবত পানিতে হয়েছে, প্রাণের টিকে থাকার জন্য পানির কোন বিকল্প নাই, দুটি হাইড্রোজেন এবং একটি অক্সিজেন পরমাণু নিয়ে গঠিত হয় পানির অণু, ইত্যাদি ইত্যাদি আরো যে কতকিছু পানি নিয়ে রুমি তার মামাকে বলেছিল,মামা সেদিন ভাগনের মুখের দীর্ঘ বক্তব্য শুনে কেবল দীর্ঘশ্বাসই ছেড়েছিলেন না, সে মনে মনে আল্লাহ পাকের নিকট এতিম ভাগনের হয়ে ক্ষমা চেয়ে শূূণ্যহাতে বাসায় ফিরেছিলেন।

আজ রবিবার, টিউশনি থেকে রুমির ছুটির দিন, সপ্তাহের এই একটি দিনে রুমি মেসে খুব আয়েশ করে ঘুমোয়, কিন্তুু অরুর ফোনকলে আজ তার আয়েশি ঘুমের ব্যঘাত ঘঠলো, ফোনের সুইচ অফ করে বিছানায় এপাশ ওপাশ করে মানুষের জন্মদিন নিয়ে চিন্তা করতে লাগলেন, মানুষ ঘটা করে যে জন্মদিন পালন করে এর হেতু কী? যেকোন জীবের জন্মের সাথেসাথেই তো তার জন্মক্ষণ অতীত হয়ে যায়! অতীত হয়ে যাওয়া সময় বা ক্ষণকে মানুষ কিভাবে জন্মদিন বলে পালন করতে পারে? রুমি এরূপ আরো কিছু তার দৃষ্টিতে রহস্যময় বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করলেন, যেমন পৃথিবী গ্রহের যাবতীয় কিছুই নশ্বর, এর ব্যবহার্য শক্তি শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সবকিছুর অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে, আর তাই যদি হয় তবে মানুষ শুধুশুধি কেন সর্বক্ষণ আমার আমার করে হানাহানি, যুদ্ধ বিগ্রহ করে? কেন? কেন?

রুমি, তার মামার কথায়, ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো অযুক্তিক চিন্তা ভাবনা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন মনে নাই, তার যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন বেলা পাঁচটা বাজে, ঘুমানোর জন্য লাঞ্চ করা হয়নি, ফোনের সুইচ অন করে সে অরুর দশবার কল করার সংকেত দেখতে পেল। নাহ্ মেয়েটাতো খুবই বিরোক্তিকর, অযুক্তিক কমৃকান্ডে তাকে নিয়ে টানাহেঁচরা করে!

রুমি সন্ধ্যা সাতটার দিকে মোড়ের চায়ের দোকানে গেলো হালকা খাবার খেতে, দোকান ভর্তি মানুষের সমাগম। দোকানের এককোণে টিভিতে বাংলা সিনেমা চলছে, সেইদিকে প্রায় সব মানুষের চোখ। এতো মানুষের জমায়েত দেখে হঠাৎ রুমির মাথায় একটি কৌতুহলের উদয় হলো, পৃথিবী যে নিজ অক্ষ আর সূর্যের চারপাশে অনবরত ঘুরছে এ সম্পর্কে তারা কী জানে? সে একজন বৃদ্ধ মানুষকে টার্গেট করে তার পাশে যেয়ে বসলেন,

চাচামিয়া ভালো আছেন?

রুমির সংশয় ছিলো, বৃদ্ধ চাচার টিভি হতে ধ্যান ভঙ্গের কারণে তার প্রতি রাগ করবেন কিনা? কিন্তুু বৃদ্ধ চাচা সেরকমটি করলেন না, বরং সে শান্তভারে প্রশ্নের উত্তর দিলেন, তবে উত্তর তার হতাশায় মোড়ানো,

এই আছি কোন রহম, গরিবের আবার থাহুন, বাঁইচ্যা মইর‌্যা আছি বাবা।

রুমি বৃদ্ধের উত্তরে খুব একটা অবাক হলেন না, পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে একটি অর্থনীতিক বেইজের দরকার হয়, সেই বেইজ যার যত স্ট্রং সে ততবেশি স্বচ্ছল, বৃদ্ধ চাচার মনে হয় অর্থনীতিক বেইজ ততটা স্ট্রং নয়। সে বৃদ্ধকে আসল কথা বললেন,

চাচামিয়া, পৃথিবী সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?

পিতিবি সম্বন্ধে আবার কেমন ধারণা থাকবো? দুনিয়ার সব দ্যাশেতো এহন কেবল হাউমাউকাউ!তামাম দুনিয়া ভইরা মারামারি কাটাকাটি খুনাখুনি, দেহোনা আফগানরা শ্যাষ অইলো,সাদ্দাম গেলো এখন আবার ধরছে রোহিঙ্গাগো, আর তার ঠেলায় আমাগো জান যায় যায!

চাচা আমি কোন দেশের কথা বলছি না।
তয় কিয়ার কতা কও?
চাচা, পৃথিবী যে অনবরত নিজ অক্ষে আর সূর্যের চারপাশে ঘুরছে তা কী আপনি জানেন?
রুমির প্রশ্ন শুনে বৃদ্ধ একটি বিড়ি ধরাইলেন, ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে সে বললেন,
বাবা তুমি কী করো?
টিউশনি করি চাচা,
পড়ালেহা?
মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি,
ও এই জন্যিতো ভাতরে কওয়া শিখছাও অন্ন বুঝি নাই চাচা?

আমারে জিগাইলা দুনিয়া ঘুরে আমি তা জানি কিনা? তারমানে দুনিয়া ঘুরে, তয় বাবা দুনিয়া ঘুরবো কেমনে? যদি তাই অইতো তয় আমরাও ঘুরতাম না?
চাচা, পৃথিবী না ঘুরলে দিন রাত আর বিভিন্ন ঋতুর পরিবর্তন হতো না, এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে।
আরে রাহো তোমার বৈজ্ঞানিক কথা, তাইলি উপরওলার কোন কামকাজ নাই, তার কাম খালি নাক ডাইকা ঘুমান তাই না?
চাচা, আপনি আমার কথা বিশ্বাস করলেন না?
বাবারে যা দেখি না তা বিশ্বাস করি কেমনে?ঐ দেহো আকাশ দিয়া উড়োজাহাজ যায়, আমি তো হেই রহস্যই বুঝবের পারি না,
চাচা এরও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে,বলবো?

না, তোমার কষ্ট করা লাগবো না, তুমি কেবল আমারে এই ব্যাপারডা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেও, এই যে মতিমিয়ার দোহান ফুটপাতের উপড়ে এর কারণ কী? মানুষ জনের হাটার রাস্তায় দোহান কেন?

চাচা এর আবার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী? এ তো মানবসৃষ্ট সমস্যা?

হা হা হা, বাবারে এ সমস্যা মানুষ তৈরী অইবো ক্যা? যুদ্ধ গ্যাছে আজ কয়বছর অইলো? এতোবছর পরেও ঐ দেহো আমার মতো বুইরা রিক্সা চালাইতেছে, ঐ দেহো এক বুড়ি ভিক্ষা করতেছে, এইসব তোমার কাছে রহস্য মনে অয় না? এর ব্যাখ্যা কী? তোমার চোহের সামনে দুনিয়ার রহস্য থুইয়া তুমি ঘুরতিছাও যতসব অদেহা আজাইরা রহস্যা নিয়া?

বৃদ্ধের কথা শুনে রুমি আর বসে থাকতে পারলেন না, দুঃস্বপ্ন দেখে মানুষ যেমন চমকে উঠে সেও সেভাবে চমকে উঠলেন, দৃষ্টিলোকের নানারূপ রহস্য রুমির মধ্য এতেদিন সুপ্ত অবস্থায় ছিলো, সেই জাগতিক সুপ্ত রহস্য তার অন্তকোণে বৃদ্ধের কথায় যেন মহাবিস্ফোরণ হলো।

রুমি অদৃশ্য অস্থিরতা অনুভব করছে।হঠাৎ করে অরুর জন্মদিন তার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে।

রুমি দোকান হতে একুশটি তাজা গোলাপ আর বেশ কিছু চকোলেট কিনে মামার বাসার উদ্দেশ্য হাঁটতে আরম্ভ করলেন তাতে করে একটি ব্যাপার সে গভীরভাবে উপলব্দী করলো অরুদের বাসার দিকে সে যতই হাঁটছে তার অন্তনিহিত অস্থিরতার পরিমাণ যেন ততই কমে যাচ্ছ…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *