সিলেটের আঞ্চলিক ছড়া আবদাল মাহবুব কোরেশী
বদনাম
কার লগে সই মনোর কথা
কইতাম আমি কহ্
দুহাই লাগে আমার গালাত
একটু সময় বহ্।
লাগা বাড়ির সুরত আলী
করিম বেটার হালা
আক্তা আমায় ডাকিয়া কয়
কই গেলায় গো মালা।
তার কথাতে ঘাড় ফিরাইয়া
চাইলাম আমি যেই
দউকনো ঘরোর বছির মামু
কুদাম দিলা হেই।
তার কুদামে রক্ত আমার
হইলো ডরে নীল
বন্ধ হইলো জবান আমার
লাগলো মনো খিল।
বছির মামু উন্দা গরু
নাই কুনু তার কাম
ডর লাগে সই, আমার নামে
রটায়নি বদনাম।
ভাইছাবর গাই
খবর জবর ফাটাফাটি
হুনবা মদই ভাই
ভাইছাবেনো বাজার থাকি
আনরা কিনি গাই।
আজব রকম গাইয়ে তান
হুতমু চোখে চায়
সোনা রূপা কয়লা তামাক
হেজার লাখান খায়।
গোয়াল ঘরো থাকে না তাই
হাঞ্জা নিশি বুঝে না
গাঞ্জা ছিলিম বেধুম টানে
একবারও চউখ মুজে না।
সাদাও নায় কালাও নায়
মাখরা মুখা রঙ
বুজবা নে বা সোনার ভাইয়ে
গাই পালা কি ঢঙ।
বটর তলোর কিচ্ছা
আবদাল মাহবুব কোরেশী
আমার কথা হয় কি মনে
কইতুরি গো সোনারজান
বটর তলায় জর্দা দিয়া
খাইতাম যে গো মিটা পান।
মাঝে মধ্যে হুক্কা দিয়া
গড়গড়াইয়া টানে
সোনা বন্ধু কই গেলা গো…
সুর দিতে যে গানে।
বেহুস হইয়া তর গানে যে
অবশ হইতাম আমি
মনে হইতো সাত রাজা ধন
তুইযে আমার রাণী।
হেই কথা আইজও আমার
গাথিঁ রইছে মনে
তর লাগিয়া একলা একলা
আইজও ঘোরাই বনে।
সুখে আছোছ ভালা থাক
আমি রসারতল
জীবন আমার ঝরা বালু
হুকনা বটর তল।
পিরিত
কেমন টিকান কইতাম তোমায়
শরম শরম লাগের বেশ
চোখ দুইটা কি সুন্দর
কালা কালা লম্বা কেশ।
নাকটা তোমার ছুরির মতো
চিকন দুকান পাও
গলাতো নয়; মিষ্টি কুমড়া
কি আচানক গাও।
কান দুইটা গোলগাল
সাদা সাদা দাঁত
ঠুঁঠোর মাঝে খালি হাসি
কচি দুকান হাত।
তেড়াভেড়া হইয়া তুমি
যখন হাটো রাস্তাবায়
তখন আমি কই যে ডাকি
ঔ দেখ এক পরি যায়।
মনোর ভূলে মন দিয়েছি
তোমার প্রেমে মজি তাই
ডর লাগে সই, কেমনে কই
তোমায় আমি ভালা পাই।
শীত
ভাংগা ঘরোর ফাঁক দিয়ে মা
খোয়াশা যে আয়
থাকলে একান খেতা দে গো
দিতাম আমার গায়।
খেথা জিকান আছিল বেটি
তোমার বাপর গাত
কষ্ট করি ঘুমাই থাক
বন্ধ করি মাত।
ঘুম যে আমার লাগে না গো
ঠান্ডা বাতাস তাই
আল্লারেবা দয়া করো
গরিবের কেউ নাই।
মজার ছড়া