কবিতা

অতনু তিয়াসের কবিতা

কবন্ধ ভ্রমণ

বৃত্তাবদ্ধ চেতনায় বিন্দু জাগিয়ে রেখে আকাঙ্ক্ষার মোম গলে পড়ে
রক্তে আগুন জ্বেলে স্লোগানমুখর
বিপ্লবী হাতে হাতে চেয়েছি অনন্তর মশালজীবন
যেন ন্যায্যের দাবি তুলে অক্লেশে জ্বলে উঠি সূর্যসেন

শ্রাবণের চোখ ছিঁড়ে যাওয়া রাতে আমার দু’কূল ভেসে যায়
শোকাকুল নোনতা প্লাবনে ভেজে বুকের বারুদ

অরণ্য-সংস্কৃতি মোহে সবুজের প্রার্থনায় উদ্বাহু দাঁড়াই যবে বৃক্ষস্বজন
দীর্ঘশ্বাসে ঝরে পড়ে জর্জরিত পাতা
ভূগোলের সীমারেখা ছিঁড়ে পাখির উড়াল হতেই
শিকারির তাক করা বন্দুকের নলে
শতচ্ছিন্ন ডানা খসে পড়ে

পাঠান্তরের দিকে যেতে যেতে
আমাদের রক্তে প্রবহমান অনাগত জীবনের স্রোত
ঢুকে পড়ে সাপের গর্তে জমাট প্রাগৈতিহাসিক অন্ধকারে
চৈতন্য-প্রমাদ আর প্রাণের অপচয় বিনিয়োগ করে
সভ্যতার মহাজন গড়ে তোলেন মুক্তবাজার
মানবিক মুখোশের এই হেন প্রপঞ্চ আচারে
আমি সক্রেটিস হয়ে বারবার পান করি হেমলক

তবু আসা অনিবার্য কবন্ধ ভ্রমণে।

বাড়ি যাবো

পুরুষ বেশ্যার মতো আমি এই নগরীতে আছি
ইচ্ছে হলেই পালাতে পারি না
আমাকে পালাতে দেয় না কাম

সারা দুপুর ফড়িঙের পিছে পিছে ছুটতে ছুটতে
ছোট্ট ফড়িং হয়ে ধানপাতায় ঘুমিয়ে পড়তো যে কিশোর
তার
মফস্বলের ছাদ
মধ্যরাতের চাঁদ
সুর আর কবিতার
নিবিড় আড্ডা ভেঙে যায়
সেই থেকে আমি এই নগরীতে আছি
আমাকে পালাতে দেয় না কাম
আমাকে পালাতে দেয় না সিঁড়ি

ইটের অরণ্যের সোনার হরিণ হে, আমাকে
কোন পথে নিয়ে যাচ্ছো তুমি
পাটক্ষেতের আ’ল ধরে দৌড়াতে দৌড়াতে আমি বাড়ি ফিরতে চাই
পুনই বিলের পুঁটি আর রুপালি বাঁশপাতা মাছে খালুই ভর্তি করে
ঘোর সন্ধ্যায় আমি বাড়ি ফিরতে চাই
শীতরাতের ঢপযাত্রা শেষে রাধার বিরহ আর কুয়াশায়
ভিজে ভিজে বাড়ি ফিরতে চাই

সময়, একটু পেছনে চলো
মা আমার দুধভাত মেখে অনন্তকাল ধরে বসে আছে পৈঠায়
আমি বাড়ি যাবো!

তন্দ্রা

এইমাত্র মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেল একজন প্রেতাত্মার অবশিষ্ট ছায়া
এইমাত্র চোখের পরত ফেলার যতটা সময় আমার উষ্ণ শরীর
শুঁকে শুঁকে উড়ে গেল জমাট অন্ধকার যার বিশাল হা-এর মধ্যে
একে একে ঢুকে যাচ্ছে মানুষের কোলাহল, সুবর্ণ গ্রাম, শিশু ধানক্ষেত
শঙ্খের মতো রোদ
যারপর সমস্ত আকাশ
তীব্র গর্জনে কাঁসার বাটির মতো কেঁপে কেঁপে উল্টে যাচ্ছে নদী ও পুকুর

তন্দ্রা নামের যে রঙিন মেয়েটি আমার চোখে এসে বসলো তাকে আমি চিনি
তার সাথে নিয়মিত দেখা হয় অশ্বদের আস্তাবলে
ঢেউটিন চালের সরু ছিদ্রপথে জ্যোৎস্নার আলোর সাথে
নিঃশব্দে সে আস্তাবলে ঢোকে
তখন আমি অশ্বের ভূমিকায় বিভোর- অশ্ব রাখাল

যতদূর দেখা যায় সুদর্শনচক্রের মতো ঘুরছে সৌরজগৎ
ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবী নামের গ্রহটি বিচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ছে
নেমে আসছে ঠিক আমার মাথার উপর
এটম বোমার মতো ফেটে যাচ্ছে মৃন্ময় পৃথিবী
প্রেতাত্মার ছায়ার মতো দিক্বিদিক লাফাচ্ছে কালো ধোঁয়ারাশি
একে একে গিলে ফেলছে মানুষের কোলাহল
সুবর্ণ গ্রাম
শিশু ধানক্ষেত
শঙ্খের মতো রোদ
যারপর সমস্ত আকাশ

অকস্মাৎ অশ্বেরা ডেকে উঠলো হ্রেষা
তন্দ্রা নামের রঙিন মেয়েটি চোখ থেকে নেমে পালিয়ে গেল দ্রুত
জানতেও পারিনি কখন যে হাত ফসকে পড়ে গেল
আশ্চর্য বাঁশির মতো সেই গল্পটি
‘হিরোশিমা কথা বলে’।

বাঁচার আর্তনাদ

জ্ঞানের নির্মম ভার আমাকে সইতে বলো না
আত্মায় জ্বেলে রাখা কী দুঃসাধ্য চিরন্তন প্রতীক্ষাবোধ
বরং শ্রেয়তর ফড়িংজীবন
নিরুদ্দেশ ওড়াওড়ি প্রথাগত যতিচিহ্ন ছিঁড়ে

আমাকে আস্বাদ নিতে বলো না গন্দম
আঁধারের আধারেও স্বর্গ আঁকা থাকে

জীবনের অর্থ যদি অর্থহীনতাই
তবে আরো অর্থ খোঁজা স্রেফ অর্থহীন
মুক্তির শিরোনামে আরো এক অনিবার্য ক্লেশ

দ্বিধাহীন উত্তরে বলো
হে আমার অন্তর্গত প্রশ্নবিদ্ধ বিমূর্ত বিষাদ
মানুষ কেবলই জীব- ভেতরে বাঁচার আর্তনাদ।

প্রিয় মাটি

প্রিয় মাটি, আমাকে ধারণ করো ক্ষণকাল
শুইয়ে দাও একান্ত শয্যায়
হাতে ধরে আছো যে কালো মোমবাতি
তাকে বলো, যেন অন্ধকার জ্বেলে রাখে ঠোঁটে
যেন চারপাশ ঘিরে থাকে তিমির রচিত ক্ষেত্রফল
যেন এই এক চতুর্ভুজ ক্ষুদ্র পৃথিবী
এখানে মানুষ খুব একা
একাকীত্বে আত্মার সাথে সম্পর্ক বাড়ে
অন্ধকারে নিজস্বতা উজ্জ্বল হয়

সেখানে উদ্ভিন্ন মোমের মহল ছিলো উর্বশী জ্যোৎস্নার নাচ
নক্ষত্রের নিত্য আসা-যাওয়া
এতসব আলোর উৎসব ছিঁড়ে নিঃশব্দে পালিয়ে এলাম

আজকাল মুগ্ধতায় বড় ভয়
কখন যে আনন্দে ফুরিয়ে যাই
পৃথিবীর সবক’টি শূন্যতায় পরিপূর্ণ শরাব-পেয়ালা
শূন্য করে যাবো

প্রিয় মাটি, তুমি শূন্যতা বোঝো
হাতে ধরে আছো যে কালো মোমবাতি
ঠোঁটে তার জ্বলে থাক গাঢ় অন্ধকার

আলোর সান্নিধ্যে বসে বহুকাল করিয়াছি প্রজ্ঞা আবাহন
বোধিবৃক্ষসহ তবু সিদ্ধার্থ উড়ে যায়
বইয়ের পৃষ্ঠা হতে কালো প্রজাপতিগণ হাহাকার করে করে উড়ে যায়
আমি কৌশলে একজন প্রজাপতির পা আঁকড়ে ধরে পালিয়ে এলাম
প্রিয় মাটি, ক্ষণকাল আমাকে গ্রহণ করো।

বিজোড় মানুষ

কিছু একটা বলতে চাই
ও আকাশ, ও সমুদ্র, ও নক্ষত্র, চাঁদ
প্রথম যাত্রার প্রাগৈতিহাসিক দিন যেভাবে কথা বলে
গুহাচিত্রের নীরব রেখায়

হে আমার নির্বাক কথার অভীপ্সা, বাঙ্ময় হয়ে ওঠো
কিছু একটা বলতে চাই দীর্ঘ দীর্ঘ অভিমানে স্তব্ধ পাথর
তেমন বান্ধব পেলে বুকে বুক ঘষে
আগুন বাচনে একদিন বলে উঠবো কথা;

মহামিছিলের শেষ প্রান্তে আমি এক বিজোড় মানুষ
শিখে নেব পাখিদের কিচিরমিচির।

একগুচ্ছ মেয়ে

চোখের উপর দিয়ে হেঁটে যায় একগুচ্ছ মেয়ে
বুকের উপর দিয়ে
কৃষ্ণাভ ঘাসপথ দলিত মথিত করে হেঁটে যায় রোজ
আলোর প্লাবনে আমি ভিজে একাকার!

স্বপ্নময় মেয়েগুলো বাগানের পথ ধরে যেতে যেতে একগুচ্ছ ফুল
নিঃশব্দে উঠে বসে পাতায় পাতায়…
চৈতন্যে এঁকে রাখা প্রজাপতিগুলো
ওড়াতেই-
ফুল হয়ে ফুটে থাকা একগুচ্ছ মেয়ে
হাসতে হাসতে উড়ে যায় জোনাকের পাখায় পাখায়
তারা হয়ে জ্বলে থাকে আকাশে আকাশে

কালো কালো প্রজাপতিগুলো কবিতার সন্ধানে আকাশে পাঠিয়ে
চিৎ হয়ে শুয়ে থাকি শুভ্রতা ঢেলে
আকাশপাড়া থেকে নেমে এসে একগুচ্ছ মেয়ে
ঘাসের বর্ণমালায় আটকে গিয়ে-
কেউ বা কবিতা হয়
সুরের আবেশ মেখে কেউ হয় গান
রঙের সঙ্গমে কেউ বিমূর্ত ছবি
সত্তার দ্বৈরথে বহুচারী মন
আধেক মানুষ আমি অর্ধেক কবি।

অন্ধ রাখাল

সারারাত আমার পরমায়ু চুরি করে ধূসর বিড়াল
মধ্যবিত্ত স্বপ্নগুলো পান করে নেশায় মাতাল রাত হাসে
মশারির চার পাশে
খিড়কির ফাঁক দিয়ে উড়ে আসে কালো কুয়াশার চুল
আমাকে উড়িয়ে নেয় দূর নির্বাসনে

ঘুমের অরণ্যে অন্ধ রাখাল ছায়াকে পাহারা দিই
তৃণভোজী ছায়া মাংসাশী হয়ে আমাকে আহার করে
বিজন অরণ্যের পাশে চারণভূমিতে…।

গ্রাম্যতা

উড়ে যায় ভোকাট্টা ঘুড়ি স্মরণের সীমানা পেরিয়ে…
পুরোনো অনেক কিছু মুছে যায় সংঘাতে-সংগ্রামে
কিছু তো থাকেই নামে কি বেনামে
বায়োস্কোপের পর্দায় ভেসে ওঠা কত কত মুখ
বিস্মরণের বাঁকে হারাতে হারাতে ফিরে আসে
তুলসীবেদিতে জ্বলা প্রদীপের আলোয়
প্রসন্ন মানসীর আনত প্রণাম
উলুধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে পাড়ায় পাড়ায়…
ধ্যানস্থ সন্ধ্যায় শিমুলের সাদা চুল খুলে নিয়ে
পালায় চৈতালি হাওয়া
শিমুল ফুলের রঙিন দিনের বিরহে
বাঁশবনের মাথায় চুপচাপ বসে থাকে বিষণ্ন কোকিল
ইচ্ছে উড়িয়ে নেয় বাউলুরি
আলো-অন্ধকার হাতে তিন পায়ে হেঁটে যায় বয়সী সময়

মার্বেল খেলে রাত করে ঘরে ফেরা
আমি যেন এক মুখচোরা অবাধ্য কিশোর
সভ্যতার রাগী চোখের সামনে খালি গায়ে এক পায়ে দাঁড়িয়ে
ক্ষমার অপেক্ষায়…

একবার হাসিমুখে বলে দাও পরম নিয়তি-
স্বপ্নের পায়ে আর পড়বে না মোহের বাঁধন
ফিরে আসবে সুন্দর সহজিয়া মন।

প্রক্সি

হাসির প্রক্সি দিতে এসে কেন কেঁদে ফেল বারবার
দুঃখবিলাসী হে মঞ্চকুশলী
ফেরারি বসন্তের ডাকে
জীবনমঞ্চ থেকে পরাজিত যে গেছে পালিয়ে
তোমাতে বর্তেছে তার অনিবার্য উত্তরাধিকার।

তোমাকে হাসতে হবে ঝলমলে হাসি
অডিয়েন্স হাসি ভালোবাসে।

প্রতিটি প্রস্থান-পরে
অবসরে
কেঁদে নিয়ো সাজঘরে বসে।

আমি তুমি সে

তুমি আছ, তুমি নাই!
হ্যাঁ আর না-এর মাঝে হেঁটে যাই
আদি থেকে অন্তে
সৃষ্টি থেকে ধ্বংসে
আলো জ্বালাবার কথা দিয়ে
মেতে উঠি রৌদ্রহরণে।
কাকে দিই কথা?
নিজেকে?
নাকি অন্য কারোর জন্য অন্য জীবন যাপন?
ভালোয় মন্দে
আপসে দ্বন্দ্বে
বেতালে ছন্দে
জলে স্থলে অন্তরিক্ষে নিসর্গে
চরাচরে
মহাসময়ের ঢেউয়ে
নিজের ভেতর
বিস্ময়ে খুঁজে খুঁজে অস্তিত্বের খেই
মহাশক্তির কাছে সাষ্টাঙ্গে নত হয়ে
আবাহন করি তোমাকেই-
নিরাকার আমাকেই!?

চিঠি

আঙুল কেটে লাল চিঠি লিখেছিলাম প্রতিমার কাছে
উত্তরের আশা ফুরিয়ে এসেছে
চিঠি লেখার দিন ছুটি

বেজে ওঠো খোল-করতাল-তবলা-খমক-বেহালা-একতারা
বেজে ওঠো বাঁশি কৃষ্ণ-আবেশে
দোতারা-এসরাজ-বেদেনির বিন-ডুগডুগি-খঞ্জনি
সশব্দ বিদ্যুতে হেসে ওঠো মেঘ
আনন্দ আবেগ।

পলাশ ফোটার দিন ফিরে এলে ভাবি
কতটা আগুন লেগে
কতটা উষ্ণতা পেয়ে
সুগন্ধি পাহাড় বেয়ে
নেমে যায় নদী…

প্রেমপুণ্যস্নান ভুলে
কামনার নীল পদ্ম ফুটে আছে ধ্যানে
মাঠে মাঠে শস্য বুনে
হেঁটে যাচ্ছি মহাকাল ধরে…
হৃদয় ধরছি বাজি মুক্ত বাজারে

আমি এক অরূপ পত্রকার
উর্বশীর চোখ থেকে স্বপ্ন হরণ করি
মধ্যরাতের উদ্যানে চিত হয়ে শুই
আকাশের পৃষ্ঠায় চিঠি লিখি নিজের কাছেই…

ব্যক্তিগত সংখ্যাতত্ত্ব

যদি ০’র মহিমা খুুঁজে ঘুরতে থাকো…
যদি শনিচক্রে ঘুরতে থাকো আপন আবর্তে
তবে নির্ঘাত এ কোনো নম্বর দিয়ে প্রতিযোগিতার দিন নয়
ম্লানমুখ পার হয়ে উতরে যাবার দিন ছুটি…
নিজেকেই উতরাতে হয়।
২৯ নভেম্বর জীবন থেকে মুক্তি দাও আসক্তি ২
ব্যক্তিগত সংখ্যাতত্ত্বমতে, ৯ থেকে ২ বিয়োগে সৌভাগ্যের ৭
১১তম মাস নভেম্বরে ১+১=২টি কাজ সুসম্পন্ন হলে ২৯-এর ২ ও ৯ গুণ
গুণফল ১৮ থেকে ১১ বিয়োগ, ফল হবে সৌভাগ্যের ৭
অর্থাৎ সাফল্যের ডাক…

আসক্তি ছাড়ার পর প্রবণতা আরো বেশি ঝুঁকে যাবে
প্রাতিস্বিক জীবনের দিকে
বামগুলো ডানে এসে শক্তি হয়ে সমৃদ্ধ করবে
কর্মে প্রেমে সৃষ্টিশীলতায়…

২০১১-তে অঙ্ক ৪
যোগফল ২+০+১+১=৪
সুতরাং ৪-৪=০
আবার, নভেম্বর ১১তম মাস এবং ২৯ তারিখের যোগফল ২+৯=১১
১১-১১=০
প্রিয় সিংহ, প্রবৃত্তিকে মুক্তি দাও…
খুঁজে পাবে ০ আর পূর্ণ’র মহিমা
২৯ নভেম্বর ২০১১!

গানের ইশকুল ছুটি

পায়ের তলা থেকে মুছে গেলে রাতমগ্ন ছাদ
আকাশের মন থেকে ঘুচে গেল সুন্দরী চাঁদ
আলোর পুণ্যস্নানে কী করে সিক্ত হব বলো
রাই-জোছনার মদে মাতাল এ চোখে
উড়ে আসে অপ্রেমের ধুলো।

শ্যামের নৌকাখানি ভেসে গেছে কামনার জলে
ভিড়েছে নিঃস্বপ্ন কোনো শ্বাপদসংকুলে
ছুটির ঘণ্টা বাজে গানের ইশকুলে।

কী হবে ধ্যানস্থ হয়ে প্রার্থনায়
সুরসংগত কবিতায়…
ছিঁড়ে নিয়ে নিঃসঙ্গ বেহালার তার
বিজ্ঞানের ছাত্রী তুমি
পাঠ নিচ্ছ তড়িৎ পরিবাহিতার।

One thought on “অতনু তিয়াসের কবিতা

  • গাজী আবু হানিফ

    অনেক ভাল লাগল।উপমা সমৃদ্ধ লেখা।ভাব গম্ভীর।

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *