কাব্য কবির এর গুচ্ছ ছড়া
হেমন্তের নিমন্ত্রণ
হেমন্তকালে এসো বন্ধু আমাদের গাঁয়ে,
দুই জনে ঘুরবো আমরা চড়ে ডিঙি নায়ে।
নতুন চালের ভাঁপা পিঠা ভাগ করে খাবো,
হাতে হাত রেখে দুজন ঘুরতে মাঠে যাবো।
বাতাসেতে ঢেউ তুলে দেখবো নাচে ধানে,
মনটা তোমার উঠবে ভরে ভাটিয়ালী গানে।
শিশির ভেজা হলুদ গাঁদার মালা দেব গলে,
দুপুরবেলা কাটবো সাতার দুজন দিঘির জলে।
হেমন্তে এসো তাড়াতাড়ি বন্ধু আমার বাড়ি,
না আসিলে তোমার সাথে সারা জীবন আড়ি।
শান্ত ঋতু হেমন্ত
নতুন চালের পিঠা তৈরি
ঘরে ঘরে নেমন্ত,
এলো বুঝি এই বাংলাতে
শান্ত ঋতু হেমন্ত।
ফসলের ঐ মাঠে দেখি
চাষী ভাইয়ের হাসি,
রোজ সকালে ঘাসের বুকে
শিশির রাশি রাশি।
মধুমাখা এমন রূপ
লাগে বলেন কেমন তো?
আমার কাছে ভালো লাগে
শান্ত ঋতু হেমন্ত।
মায়ের মুখ
মনটা আমার ভালো নেই
কেমন জানি করে,
বারে বারে মায়ের কথা
মনে আমার পড়ে।
মনটা আমার যায় যে ছুটে
সবুজ শ্যামল গাঁয়,
গাঁয়ে বসে ডাকে আমায়
খোকা বলে মায়।
আদর করে মা যে কবে
খাওয়াবে দুধ ভাত,
পাতালপুরির গল্প বলে
কাটিয়ে দেবে রাত।
অনেক দিন তো হয়ে গেলো
দেখিনি মায়ের মুখ,
মায়ের কথা পড়লে মনে
কষ্টে ফাটে বুক।
ক্ষুধার্ত মানুষ
অনাহারী রাস্তাঘাটে ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদে,
কেঁদে কেঁদে কষ্টে ওরা বুকে পাথর বাধে।
কোথায় পাবে সুচিকিৎসা, কোথায় পাবে ভাত,
ক্ষুধা পেটে নিয়ে ওরা দিন কে ভাবে রাত।
কোথায় পাবে স্নেহের পরশ,কোথায় পাবে জামা,
সবার মতো নেই তো ওদের ভালোবাসার মামা।
পথের মাঝে ওদের বাড়ি, পথেই ওদের ঘর,
এই পৃথিবীর সকল মানুষ ভাবে ওদের পর।
রোগে,শোকে বৃষ্টিতে ভিজে কাটে ওদের দিন,
রাতের বেলা ওদের বুকে বাজে কষ্টের বীণ।
বুকে ওদের কষ্টের পাঁহাড়, কষ্টে ফাটে বুক
এই পৃথিবীর কোথায় পাবে এক মুঠো সুখ।
হেমন্তের নিমন্ত্রণ
হেমন্তকালে এসো বন্ধু আমাদের গাঁয়ে,
দুই জনে ঘুরবো আমরা চড়ে ডিঙি নায়ে।
নতুন চালের ভাঁপা পিঠা ভাগ করে খাবো,
হাতে হাত রেখে দুজন ঘুরতে মাঠে যাবো।
বাতাসেতে ঢেউ তুলে দেখবো নাচে ধানে,
মনটা তোমার উঠবে ভরে ভাটিয়ালী গানে।
শিশির ভেজা হলুদ গাঁদার মালা দেব গলে,
দুপুরবেলা কাটবো সাতার দুজন দিঘির জলে।
হেমন্তে এসো তাড়াতাড়ি বন্ধু আমার বাড়ি,
না আসিলে তোমার সাথে সারা জীবন আড়ি।