আরিফা রহমান-এর বর্ষার কবিতা
একটি ঋতুর গান
থমথম শব্দ করে
ঝরছে বৃষ্টি অবিরাম
জানালার পাশে বসে
দেখছি আমি রাম।।
দক্ষিণা বাতাস এসে
শীতল করে দিল প্রাণ
ঝুমুর ঝুমুর বৃষ্টিতে তাই
ইচ্ছে করে গাইতে গান।।
কাজল কালো আঁখি দুটি
বাহিরে দিলাম মেলে
রাখাল তখন দৌড়ে যায়
ধবলী লয়ে হাতে।।
ওই দিকে কৃষক আবার
কাঁটছে ক্ষেতে ধান
ঝঞ্জায় ভিজে তারা
গাচ্ছে মধুর গান।।
বড় দাদার কান্ড দেখো
কলাপাতা মাথায় নিয়ে
আধো ভিজে ছাগল গরু
তুলছে গোহালে।।।
উঠানেতে ধান নিয়ে
বসেছিল গৃহিণী
তারপরে হলো কি
লিখি সেই কাহিনী।।।
হঠাৎ করে বৃষ্টি এসে
করে দিল এলোমেলো
বর্ষার ধারায় সব
ধানগুলো নিয়ে গেল।।
বর্ষার রূপ দেখে
নেচে উঠে খোকা খুকি
ক্রোদে ফুলে গৃহিণী
তুলে এক লাথি।।
লাথি ভয়ে তারা
নেমে পড়ে উঠোনে
পিছলিয়ে পড়ে আর
কাঁদা লাগে গায়ে।।
তাদের সেই কান্ড দেখে
মুচকি দিলাম হাসি
আমায় দেখে সে আবার
করলো এমন ভাব যেন
একেবারে কালবৈশাখী।।
টুপটাপ বৃষ্টি ঝরছে
নড়ছে গাছের পাতা
এই দিনে ক্ষেতে আবার
ছাড়ছে নতুন লতা।।
এই ঋতুতেই গাছে গাছে
আম কাঁঠালের মেলা
গন্ধে আকুল হয় মন
হাসিতে কাটে বেলা।।
আম কাঁঠাল নয়কো শুধু
ফুটে নানান ফুল
যেমন আছে গোলাপ বেলি
তাহার সাথে জুঁই।।
জুঁই ফুলই শেষ নয়
আরো আছে কদম
সব নামই কি মুখে থাকে
আছে কত ধরন।।
তাইতো বলি এমন ঋতু
আর একটাও নাই
অতি শীঘ্রই ইচ্ছে করে
আবার ফিরে পাই।।
এই ঋতুতে কত রংয়ের
গাইতে পারি গান
এই ঋতুটা চইলা গেলে
মন করে আনচান।