ফাহিম ফিরোজ-এর কবিতা
বেরসিক বক্স
রিংবদলের সূর্য ডুবে যায়। জীবন নিয়ে পালাও। জ্যাতা থাকাই আসল রুস্তম। সরো; ডলাডলি পর্ব কেড়ে নিছে করোনার পাইপ। লাইফ সব ওখানে চিপায়
হুড়মুড় করে যায় অন্ধকারে। মশাই,
কি করি বলুন উপায়! ভাবীসাব, খুব নিরুপায়!
আছিলো ছিলো, আগে যা গরম পরম সময় —ওটুকুই সান্তনা নিয়ে থাকো। যে ক’দিন শ্বাস রয়। ভাগো, বাঁকো এখন; কখন কার শ্বাসনালি চাপ খায়— এ নিয়ে দাদী, কাকীমারা মগজ থেকে খেদায় বালিশ।
হুদামিছা কেন কানের কাছে এত বক্ বক্? সোনার পালংক, ব্যাংকক
—কিছুতেই মন নেই আজিকার দিনে। সরো, যা কবার কইয়ে দিছি বাছাধণ, খাস বাংলায়! কান্দো ক্যান?
কষ্টের ফোটায়ও লুকিয়ে থাকে মহা ভাইরাস! মামীমা, কোথায় রয়না সে? নাক, কান চোখ, মুখের ছেঁদায় দমান্তর, ঝাঁকান্তর। দুলাভাই, পায় পড়ি ওটাকে বুঝান। বিয়াই, বাঁচান…সরান!
বুক; আমারও কাটা, পুরোন টানে। আছিলো আছিলো বসন্ত খুব। ছিলরে নদীর ঢেউ, পাখির গীতালি। নিছি নিছি মসজিদ শপত। হঠাৎ সব হয়ে গেলো এলোমেলো পাগলের চুল। সাধ্য নেই গুছানো কারো।
লতিফা+ রমিজ। উভয়ই অভয়ে ডিলিট করি। আহ—চোখ মারে, আড়ে, বেরসিক বক্স!
(আছিলো-ছিলো। ভাবীসাব-বৌদি। রয়না-থাকেনা।দুলাভাই-বোনের বর। কান্দো-কাঁদো। দাদী-পিতার-মা।আহ-আসো।)
কাগজের ঘর
মাথা ঝারা দিলেই কয়লা বের হয় নাকে-মুখে…
পা’র নখে, ঝোঁকে ঢুকে হিমবাদী হাওয়া
কান দিয়ে বের হয়। মাসি, আমি কী আছি রে!
রইছি রইছি ঠিক, টিক্ বিয়াইন?
রেডিমেট খাটের উচ্চতা নিয়ে নভো ছোঁয়া
মিছাই প্রয়াস! কই যামু, পাবো খোয়ানো অতীত?
কইল কইল তাই অনীল চাকমা
বুঝোনা শেখ পো? শূন্যে কাগজের ঘরে থাকো
সালান্তর… কালান্তর!
নোট= রইছি- রয়েছি। মিছাই-মিথ্যাই, কইলো-
বলল। শেখ পো- শেখের ছেলে। কই যামু- কই যাব।
হাওয়া, হাওয়া
নারীর খাওয়ার ভংগীমা নিয়ে
নদী পেরোবার প্রস্তুতি তোমার।
মন রয় কাঠবাঁধাই সিন্দুকে আজ; এই তীর, হয়ে আছে তাশ জেতারই অধীরতা; তবু চলে লম্বা ব্রীজ তৈরির কৌশল। দুই দিকে ঝরে পবনে, মাছিতে স্বরমালা।
আয়ূকাল, কালো মাথায়
লেইপা, মেইলা দেয় চুনের প্রলেপ— কালো হয় সাদা; কয় কয় ব্রীজ তাতে কিরে? মনোলোকে শ্বেতই আসল!
তবু নির্মানে রইমু অটল। ঠোঁটে, যদিও সেলাই আসমানের নির্দেশে!
বাবা আসমান, তুমি আর
কতই দেখাবে খেল?
তার চেয়ে মুখে ঠেলে দাও মৃত্যু! অপেক্ষার আরেক নাম
গরম সিদ্ধডিম। মুখে ঢুকে, নাক- কান দিয়ে ধূয়ার কুন্ডলী।
আসবোনা; ফুইলা রইছো তাই— দু’ গালে সুপারি তুলে। সেদিনও চন্দ্রাবতীর মন্দিরে বরষা মেখেছো ! আগর সুবাসে, শত পাখিঠোঁটে ফুটিয়েছো বাদল গীতিকা! কি কইছো হুনি সেই দিন, জালিয়া পাড়ার রাংগা বৌদির নিকট? আমলীগঞ্জের মেরী সিস্টারের কাছে, ভাংগা মেলামাইন থালা হয়ে? কোনদিন একটি দেইনি ফুল সত্য;
কিন্ত এরচেয়ে বড় কিছু
সামনে রয়েছে…। এই তটে পড়ে আছে শুধুই পা, ঐ তীরে রেখে দিছি যত্ন করে পানাকার মাংসখানি!
নোটঃ লেইপা-লেপ দেওয়া। মেইলা-মেলে দেওয়া।রইমু-থাকবো। ফুইলা-ফুলে, ফুলিয়ে।