মাংসধ্বনি ও অন্যান্য কবিতা।। অরবিন্দ চক্রবর্তী
ভাতশিল্প
আজ সূর্য উঠেছে। ঘৃণা থেকে বিরত থাকি।
অতিরটনা মনে হলেও দীর্ঘদিন তোমার তাপ পায়নি এই পরস্পর।
ক্ষমা করে দেবো। কাকে?
যাকে যুদ্ধে পাওয়া যায় না এমন বেড়ালকে হালুম করার সুযোগ দেওয়া অধর্ম।
প্রকৃত কাসন্তান, তোমাকে বোঝার ছলনা নিচ্ছি―আপাতত চলুক ঢালশুমার।
এই আমার থালা, এর সমীপে কোনো অতিরহস্য নেই। যা আছে সবই ছদ্মবেশ।
যেহেতু আঁধার আর আধার বিরাজিত সমান; ক্ষুধার আরশে ভিখারির আকাক্সক্ষা
সম্পূর্ণ মেলে ধরতে পারি?
মাংসধ্বনি
দৌড় আর গতি―আমি শুনি সংকেত।
তোমার রক্ষণভাগ থেকে অতিদূরে যে সংহিতা, তার ইন্দ্রিয়কে আমি সন্দেহ করি।
অঢেল আমাদের আকাক্সক্ষা―নিজের ভেতর কিছুই না পেয়ে ছুটে গিয়েছে
ওই প্রকট অলক্ষ্যে―
ঘটেছে অভিন্ন
দাবড় আর পলায়ন, ছুট আর হানা
অতঃপর মৃগয়ায় থাবা তারপর শিকার এরপর ক্ষুধাসাঙ্গ
কীভাবে আমরা এমন শোভা ঘ্রাণনির্ভর দেখি, তেজের স্কেল মাপি
ভাবতেই গা-কাঁটা চিত্রপট।
ধনুর্ধর, বলো তো সমীপ, ছিন্নভিন্নের আড়ালে সিংহের হাসি কতটা কেশরসুলভ!
আবক্ষ
দেখা শেষ হয় না―তবু আলাপ, তবু ঝিরি
এই অবিনাশ থেকে চোখ পিছলে যায়; তুমি চারদিক হয়ে আছ―আমাকে ঘিরে রাখে আরও
কিছু জাদুঘর!
আছ শুয়ে―এই থাকার আরামে নিদ্রায় গেছে উদ্ভিদ
―এর কোনো মানে হয়?
তোমার চোলাই আমাকে পরিবাহী ধরে―সার্চ টর্চ খুঁজি―কোন কেন্দ্র থেকে শুরু?
ওসব সুনাম বিভিন্ন হয়ে যায়―এরওর টেলিফোনে করে বৃষ্টিগুজব।
তবু এই অপলক―তোমার-আমার থেকে ছুটে যায় খরগোশ; আমাদের খেলনাপ্রধান ঘরসংসার।
চরিত্র ছিঁড়ে পড়ে―বিছানার পাখিসব উপমা হয়ে খামচে ধরে পাগলাপাগল
তখনো আমি ইহগলি ছাপাখানা―পরিত্যক্ত―ফুলবোতাম
জিহবা ঠিকরে নদী―মশলায়―এতদিন পর সাহস পেল কোনো এক দেহদ্রোহী।