কবিতা।। সৌম্য সালেক।। ফেব্রুয়ারি কবিতা উৎসব সংখ্যা
শেষ রাতের পালা
ধীরে ধীরে শান্ত হয় অফুরন্ত খরা
ঘুমের কোমল স্নানে শুদ্ধ হলে রাগ
ধাবনের ভার ছুটে
মেলে ধরে নিশীথগন্ধা …
ফুলেরা ভাের ভালােবাসে
আলােতে ঢেলে দিও শ্বাস
বাতাস ছড়াবে গান
নদীর নরম চালে আরাে ছােটে
মাঘের নিঃশ্বাস
হিম আর হিম
রাশি রাশি স্বপ্নমিছিল এসে
কেটে দিলাে সবটা সেলাই
রাতের অল্প বাকি — জাগতে যদি ওহো রে সানাই …
নির্লিপ্ত আমার মুখেরা
শােকাতুর চোখ পেতে নির্লিপ্ত আমার মুখেরা
লুপ্তপ্রায় গীতিকা হয়ে বাঁচে
এমন দিনকাল দেখে একটুও সাড়া নেই
ক্ষোভ নেই
প্রীতি নেই প্রভুদের নজর কুড়াতে
কবি — নির্বাক আমার মুখেরা আছে
শরবিদ্ধ পাখিটির মতাে নিজের রক্তাক্ত বুক চেয়ে
দেখে যান, একবার দেখে যান ..
গত বসন্তের গান
একদিন দাড়াবাে না আর—মেঘা
ওঁতপাতা তাতারের মতাে লােভাচোখ—সঙ্গবিলাসী
কোনাে অপেক্ষা নেই—মেঘা
হাঙ্গরের রক্ত শোকে কেঁপে ওঠা সিন্ধুর মতাে শাপে
যে খুনে রক্তপাত—বুকেহাত বিচ্ছেদি
যে সুরে মৌতাত—বিষম আহাজারি
আমার আবৃত প্রেম পরম মহাকর্ষ
দেখিস ভাঙবে না—মেঘা
কখনাে কালীন হ্যামারে …
অস্তিত্বের আপ্তবাক্য
জানি খােয়া যাবে যৌনতার ঘর, ব্যর্থতায় পড়ে যাবে দেহ
কেন রােজ রোজ নেশা করি ক্লান্তিহীন কামনাবীজ…
যেন আলােকের ফুল হয়ে ফুটি—মৌতাতে
যেন অস্তিত্বের নভােনীল ব্যাপে—শিশুদের অনাবিল স্বর
যেন আচ্ছন্ন অমালিক রাত—ঘােরঘুমে স্বপ্ন হয় খুব