কবিতাবিশেষ সংখ্যা

কবিতা।। খান মুহাম্মদ রুমেল।। ফেব্রুয়ারি কবিতা উৎসব সংখ্যা

ক্ষুধা

গ্লাস ভর্তি অন্ধকার হাতে
দাঁড়িয়ে থাকে কেউ নির্লিপ্ত
সুবিধাজনক সময়ে
খেয়ে নেবে সবটুকু আলো।

কি নিদারুণ আক্ষেপ দেখো
দর্শকেরা সব অপেক্ষায়
আঁধারের নাচ দেখার
অথচ একটু আড়ষ্টতা ভাঙলেই
তাড়ানো যায় কুচক্রী তমস।

তবু কেউ হাত বাড়ায় না
তোলে না প্রতিবাদের স্বর।
এসো আমরা অগ্রগামী হই
ভুল পথে যেনো নতজানু না হই।

ভুলের পাহাড় অনেক জমেছে অনেক
আলসেমি ভেঙে পথে নামি চলো ক্ষনেক।

একদিন নয় কোনো দিন

এইসব ভালোবাসা বাসি ছেড়ে
একদিন যাবো চলে অনেক দূরে।
ঘাসের ডগায় লেগে থাকা শিশির
ডাকছে আমায় দেখতে রূপ নিশির!

শীতের কুয়াশা বলছে কানে কানে
অভিমানী বালক-
কিসের অপূর্ণতা ছিলো তোমার
দিই নি ভালোবাসা সকল করে উজাড়!
তবে কেন ছিঁড়লে বাঁধন নাড়ির!
এখন যখন শূন্য চর্তুপাশ
তুমি এসো বালক অপেক্ষায় দূর্বাঘাস।

সেই যে গাছের কোঠায় লুকোনো
পাখিরছানা পুকুরের কচুরিপানা
কাউকে দিই নি মালিকানা!
বালক তুমি এসো, প্রাণখুলে বসো।

শিহরণ জাগে শৈশবের ডাকে
তবুও ফেরার উপায় নেই কোনো
বালক আটকে গেছে, শহরটা খুব বুনো।

শিশির দূর্বাঘাস সবাই অপেক্ষায়
অকারণ, বালক ডানা ঝাপটায় ।
ফেরা হয় না তার সোনালী ধানের গ্রামটায়।

পিছুটান স্রোতের

সবুজ ঘাস খিমচে ধরে পা
এইখানে ছিলে তুমি
বলে কানে কানে
আজ যখন শেষ হলো সব
তুমি এলে কাঁধে নিয়ে শব?
তিনিতো চেয়েছিলেন কতো করে
তুমি এসো সোনালী রথে চড়ে!
আমরা কি ছিলাম না অপেক্ষায়?

শুকনো পাতারা শোনায় মর্মরে
তোমাকে তো ধরেছি অন্তরে
কেন তুমি গেলে চলে সব ছেড়েছুঁড়ে

-আমার যে কাজ অনেক

  • কতো খুঁজেছি ফেরার পথ
  • কৈফিয়ত দিচ্ছো?
  • তুমি চাওনি বলেই ফেরোনি।
  • আজতো ঠিকই ফিরেছো
    এই মৃত্যুর উৎসবে!
  • অভিশাপ দাও আমায়
    বৃক্ষের ছায়া যেন না পাই।
  • এ কি বলো বালক!
  • তুমি ছেড়ে গেলেও অপলক
    আমরা তোমার কল্যাণ চাই।

এরপর মোটর ধাবমান শহরমুখী।

বুক বিছিয়ে পরে আছে সবুজ ঘাস
সোনা হয়ে ছড়িয়ে আছে পাতার শ্বাস
জলপাই তলা প্রতীক্ষায় ঝিরঝির বাতাস
নরম আলোয় অপেক্ষায় কুয়াশা আকাশ।

সবাই জানে,
পলাতক বালক অপরাধী মনে তৃষ্ণা পোষে।
তারা তাকে ক্ষমা করে দেয়
ক্ষমা করে দেয়।
দিতে হয়।

কারণ,
বালক ভুল করেছে করছে এখনো
তবে ভালোবাসে সে ছায়াময় তনু !

বিকোয় সবই

তুমি যখন একটি শব্দের জন্য
জীবনবাজি পণে মত্ত
অগোচরেই বিকিয়ে গেছে
যা কিছু আলো আর সত্য।
এবার তুমি
ঠেলা সামলাও নীতিবাক্যের
পুঁজির অশ্লীল শরীর মুখ ভেংচি দেবে
পাশে পাবে না কাউকে সাক্ষ্যের!

ঘামগুলো শ্রমগুলো সব
জমা দাও পুঁজির হাঁপরে
সততার নুন তোমার
শুকিয়ে বিলীন চেতনার চিৎকারে !

এইখানে নীতির খোলসে
অসভ্যতার চর্চা হয় রোজ
তুমি আমি ডেকে আনি
অনাবিল হতাশার খোঁজ।

তোমার আমার মাথা বিক্রি হয়
আলো আঁধারি টেবিলে রঙিণ সাজে
দেখি না জানি না বুঝি না বেদনা বাজে!

একদিন চিৎকারে ফালা ফালা হবে
অশ্লীল অসভ্য ইতর অন্ধকার সব
তৈরি হচ্ছি কেবল সুন্দর আসবে কবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *