গল্প।। দেহমায়া।। পারভীন সুলতানা
এখানে সকাল-দুপুর কী বিকেল সব কিছু বড় নরম আর মায়ার আলোতে লেখা। ভোরের সবুজ ইউক্যালিপ্টাস, ক্যামালডুনেসিস, শাল, মিনজুম আর ওরিকুলেফোরমিস বৃক্ষের ন্যাড়া মাথা টপকে টপকে কখন যে দুপুর রচনা করে টেরও পাওয়া যায় না! আর দুপুর মানেই খানিক বাদে বিকেলের দিকে ছুটে যাওয়া সবুজ হাওয়ার গান। পাহাড় আর বনভূমি চৈত্রের তেজি রোদই হোক কিংবা পাগলা হাওয়ার মেঘ ভাঙ্গা তুফানই হোক সব কিছু সামলে নেয়। পাহাড়ি লাল মাটি মুখিয়ে থাকে শাল, গজারির নতুন কিশলয়ের চোখ ফোটাতে। এখানে লোভী বন বাবুরাও সুবিধা করতে পারে না। পাহাড়ি সংঙ্ঘ বেশ শক্তিশালী আর তৎপর। র্গিজার ফাদার পিটার স্যামুয়েল, হাই স্কুলের হেড স্যার মুখতার উদ্দীন, দশভূজা পুরান কালি মন্দিরের পুরোহিত অখিল ঘটক এদের র্ধম আলাদা হলেও পাহাড়ি বলশাল ব্রিং( প্রাকৃতিক শালবন) নিয়ে কারো সাথে কোন আপোস করে না। সবাই যে যার মতো ধম্ম-কম্ম পালন করে। পাহাড়কে পাহারা দেয়। শীত বিদায় নিয়েছে কেবল। পাহাড়ের বাতাসে বসন্তের যৌবন ছলকে পড়ছে। পাতায় পাতায় লাবণ্যের মাখামাখি। বনের আঙিনায় নতুন রঙের আয়োজন। দিপালী দাঁড়িয়েছিলো গির্জার কাছাকাছি। বিধান ভেতরে আছে। ঈশ্বর জানে বেটা কখন বেরোয়! দিপালী অপেক্ষা করে, যদি বিধান এসে ওকে দেখে। আজ ফাদারও আছে গির্জায়। বড় ভালো মানুষ ফাদার! দেখা হলে কত দরদ দিয়ে কথা কয়! কয়জন এমন সদালাপ করে দিপালীর সাথে! পাাহাড়ে রং লাগলে কী! দিপালীর মন ভালা নাই। ওর রাঙ্গানো ঠোঁট, দীঘল কালো চোখের দিকে অনেকদিন ধরে মনোযোগ দেয় না বিধান। আগে হাসপাতালের বাইরে অনেকটা সময় দিপালীর জন্য খরচ করতো বিধান। এই যে দিপালী এখন গির্জার বাইরে অপেক্ষা করছে বিধান জানে না সিটা? উজিয়ে ওঠা অভিমানটা ঢোক গিলে ভেতরে পাঠিয়ে দিয়ে ফের গির্জার দিকে তাকায় দিপালী। কেয়ারি করা ক্যানা গাছের গোছালো রাস্তার শেষ প্রান্তে গির্জারটা। টালি দেয়া গির্জার ছাদটা মাধবী লতা আর গির্জার বাগান বিলাসের গুচ্ছ গুচ্ছ রঙিন ফুলে পবিত্রতার ছবি হয়ে আছে।দাঁড়ায়ে থাকতে থাকতে দিপালীর বিরক্তি ধরে- হেই গো কতটা বেইল হলো ও এখানে দাঁড়ায়ে!
বিধান এ বেলা গির্জার বার হবি না, নাকি! আজ রোববার। বিধান প্রার্থনার দিনটার জন্য শনিবারের সন্ধ্যে থেকে অপেক্ষা করে। হাসপাতালের চাকরির বাইরে ওর অনেকটা সময় এখন পাদরী স্যামশনের সাথে কাটে। পাদরী বাবা ওর হাসপাতালের কাজটাও জুটিয়ে দিয়েছে। ছোট বেলা থেকে ফাদারের সাথে গির্জার এটা-সেটা করতে করতে ও মাতা মেরীর প্রেমে মজে গেছে। তা যাক, মেরীর সাথে দিপালীর বিরোধ নাই। যদিও অন্য নারীর মতো মা মেরীরও স্তন আছে। তবে বিধান মা মেরীর বুকের দিকে নিশ্চয় খারাপ দৃষ্টিতে তাকায় না। দিপালী ওর নিজের দুধদেখার জন্য কামিজটা দুই তর্জনীতে সামনে টেনে মুখটা ছুঁচোলো করে নিচের দিকে তাকালে থুতনি গলার সাথে লেগে যায় ওর। আর তাতে চোখের সাদা অংশ ডুবে কালো মনি দুটো মারবেলের মতো নিচের দিকে গড়ান মারে। নিজের বুক দেখার অপচেষ্টায় চির ধরায় বাতাসে গুতো মেরে উড়ে যাওয়া এক ঝাঁক বন তিতির। হাওয়া কাঁপিয়ে চলে যাওয়া পাখিগুলোর চাঞ্চল্যে দিপালী তার অচঞ্চল স্তন দেখার উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। বরং আরো সামনে এগোয়। গির্জার ঢুকবে নাকি এ-ও ভাবে একবার। পবিত্রগ্রন্থ পাঠ করা ফাদারের ঠোঁট থেকে লাফিয়ে পরা শব্দগুচ্ছ এক অব্যাখ্যাত শান্তির তরঙ্গ ছড়িয়ে দেয়। পাদরীবাবার সাদা আস্তিন ওকে সেখানে যেতে উসকায়। তবে ভেতরে না যাওয়াই ভালো। এ নিয়ে ফাদারেকে আড়ালে আবডালে কেউ কেউ হয়তো কথা শোনাতে পারে। প্রার্থনা শেষে সবাই চলে গেলে দিপালী এইখানে দাঁড়ায়ে বিধানের অপেক্ষা করে এ নতুন নয়। বিধান যে তাকে এড়ায় এটা না বোঝার মতো বোকা নয় দিপালী। অথচ দিপালী ছাড়া বিধানের এক সময় একরকম চলতোই না। এক উঠানে ওদের মুখোমুখি ঘর ছিলো। দিপার মা কাছিম রানলে তার সুঘ্রাণ বিধানদের ঘরে উড়াল মারতো। খালি সুবাস নয় কটরাতে করে সালুনও দিয়ে আসতো দিপালী। বিধানের বইয়ে মলাট লাগবে। দিপালী লাগিয়ে দেবে, ওর শার্টের বোতাম ছেঁড়া? ডাকে দিপালীকে। বিধানের সবজি বাগানের বেড়া ভেঙ্গে গেছে? দিপালী বাঁশ কেটে, বেত বুনে বেড়াও সারাই করে দেয়। দিপালীর হাতের কাজ এ তল্লাটে সবার চেয়ে সেরা। তাতে কিছু এলো গেলো! দিপালী জানে পাহাড়ি না হলি ও এখানে টিকতেও পারতো না। ওরে কেউ কিছু কইলে পাহাড়ি সংঙ্ঘে তলব পড়ে তার। স্বয়ং ফাদার ওর হয়ে কথা কন, বিধানও ছায়া দেয় দিপালীকে। বিধানের একটু আদর -সোহাগের জন্য দিপালী তড়পায়। ক্যানে বিধান সেইঠে বুঝে না! অবুঝ কষ্টে মেয়েটা নিভৃতে ভাংচুর হয়। গিরজার চাতাল ঝাট দিতে আসা বিন্দু একঝলক দেখে ফেলে ওকে। বিন্দুর জিব্বাকে ডর দিপালীর। ফাদারের ভাষায় ও বেটি শোভনতার সীমা লঙ্ঘন করে। বিন্দু ওকে কিছু না বল্লেও এমন এক শরিরী ভঙ্গি করে যে দিপালীর মাথায় চিড়িক করে রক্ত ওঠে যায়। তখন ভেতর থেকে কে একজন- বিন্দু বিন্দু করে ডাকলে গলাটা কার এ ভাবনায় মজে যাওয়ায় উজিয়ে ওঠা ক্রোধ আর গোস্বা স্তিমিত হয়ে যায় ওর। নাহ্ দিপালীকে এখন যেতে হয়। মনে পড়ে মা ওকে ছররা থেকে জল আনতে পাঠিয়েছিলো। ঘড়াখান সে টিলার কাছে থুয়ে এসেছে। এ জন্য পুরো দায় বসন্তের রং ছড়ানো বাও আর বিধানের। আপাততো বিধানের আশা বাদ দিয়ে মায়ের ফরমায়েশে মনোযোগ দিতে জল আনতে ছররার দিকে হাঁটা দেয় দিপালী।
মাগনতি নগর গাঁয়ে আজ ভোর হয়েছে ওয়াচিল ক্রেতা পূজার প্রার্থনার সুরে। পাহাড় আর অরণ্যের দেবী মনে হয় গোসসা করছে, ফলনে ইবার জৌলুস নাই। অন্যান্য বারের মতো ফসল তেমন ভালো হয় নাই। এ ধারণা একা দিপালীর নয় মাগনতিনগর গ্রামের ছেলে-বুড়ো সবার। সে জন্য ওয়াচিল ক্রেতা পুজার আয়োজন শুরু আজ থেকে। হাওয়ার সাথে যোগসাজশ করে অরন্য দেব গান গায়। পাতার সাথে পাতা ঘসা খেয়ে ঘিষাং ঘিষাং সুর ওঠে। সুর ওঠে দিপালীর মনেও। কাল রাতে বিধান ওদের বাড়ি গিয়েছিলো। বেশিক্ষণ না থাকলেও মেলা দরদ নিয়ে কথা কইলো মায়ের লগে, দিপালীর লগে। আগের দিনের মতো রঙ্গও করলো ওর ছোট বোন গিদীতার সাথে। দিপালীর শিকারি চোখ রসই থেকেই টহল দেয়। দেখে বিধানের চোখ গিদীতার কোন কোন অঙ্গে ভ্রমন করে। নাহ বোনের কাঁচা যৌবন নিয়ে নয় বরং ওয়াচিল ক্রেতা পুজোর আচার –বিধি সম্পর্কে মায়ের কাছ থেকে তথ্য জেনে নিচ্ছিলো বিধান। যদিও এ বিধি গির্জার বা চার্চের নয়। গ্রামের কামাল বা ঠাকুরের। ওয়াচিলক্রেতা একান্ত মান্দিদের ধর্ম পুজা। তবে সালগুরুয়া, ওয়াচিল ক্রেতা, দেন বিলসিয়া কিংবা মান্দিদের অন্যান্য উৎসবে খেরেস্তানরাও আনন্দ-ফূরতি করে। মূলত এই বংশাল ব্রিং বা প্রাকৃতিক শালবনের অধিকার সমস্ত আদিবাসির। কত কিসিমের গাছপালা আর জীবজন্তুর সাথে আদিবাসিরা আপন বসত তৈরি করেছে। বাঙ্গালিরা, বাইরের লোকেরা গায়ের জোরে ব্রিং এর বহু ক্ষতি করেছে। জোর করে গাছ কাটা, মান্দি আর আদিবাসিদের গরু-ছাগল ছুটিয়ে নেয়া। এরপরই না পাহাড়ি সঙ্ঘ গড়ে তোলা হয়। তবুও সুযোগ পেলে বদমাশেরা হামলা করতে মুখিয়ে থাকে। এ সবব ভাবতে ভাবতে দিপালী মন্ত্র পড়ার মতো আওড়ায়-
আব্রি গাপা আসংও
রংথি মিথি গিসিমও
রামা রিয়ে রমা চুম
দাও দে রংথি মাইনি রামা…
আমাদের পাহাড়ি গ্রাম আজ মৃত স্তব্ধ। অথচ অতীতে রূপকথার মতো সুন্দরী ছিল এই গাঁ… । দিপালীর এসব ভাবনায় চির ধরায় বোন গিদীতার কথা- হেই দিদি, আইজ রাইতেও বিধান দাদা হামরার বড়িত আসবেক। গিদীতার খুশি মাখা মুখ দিপালীকে সংশয়ে ফেলে। বারতা শেষ করে চলে যাওয়া বোনের নেচে ওঠা ঝমক দেখে ও। ষোল শেষ হওয়া সতেরর নবীন যৌবন ছলকাচ্ছে দেহে।উজানো দুধের সুঢৌল ফুল্ল বাহার আর লালাভ ঠোঁটের বোনটাকে অচেনা লাগে। বিধানের এ বাড়ি আসা নতুন লয়, কাইলও এক ঝলক আইসা চইলা গেলো। দিপালীকে বলে গেছে আইজও আসবে। থাকবে কিছু সময়। তাহলে সত্যি সত্যি আসবে ও? ঝুট-মুট সংশয় বাদ দিয়ে পুরনো খুশি রঙা দিন মেরামতে বরং মনোযোগি হতে চেষ্টা করে দিপালী।
আইজ মস্ত চাঁন উঠেছে আসমানে। বিধানের আসার কথা ওর ছোট ভাইও বলে গেছে। বিধান আসছিলো ওয়াচিল ক্রেতা পুজা দেখতে। ওরা এ পাড়া ছেড়ে দক্ষিণের বাড়ি গেছে মেলা দিনের কথাও নয় সিটা। বেশি দূরাও নয় ওদের বাড়ি। এ পাড়া ও পাড়া। ছররা থেকে জল আনতি গেলে, গির্জার গেলে, মিশনারী হাসপাতালে গেলে ওদের বাড়ি ডিঙ্গায়ে যাইতে হয়। দিপালী আইজও ছররা থেকে জল আনতে গেছলো দুপুরে। সুনসান দুপুরে বিধানদের বাড়ির কাছে গিয়ে ওর লোভ হয় বিধানকে এক ঝলক দেখার। ঘরে অবশ্যি ঢুকে নাই। জানলার ফাঁক দিয়ে দেখলো ,বিধান কারপাস তুলো দিয়ে ঘষে ঘষে সাধুদের কালো কালো আইকনগুলো সযত্নে মুছতে মুছতে মন্ত্র পড়ছে-‘হে প্রভু, হে সরব পাপহর ,আমার অন্তরের সমস্ত পাপ দূর কর হে পিতা…। আইজ রোববার। বিধান চার্চে গেল না যে বড়! এই কথাও না ভেবে পারেনি দিপালী।
তবে বিধান এলো। একটু রাত করেই এলো। দিপালী কাছিমের মাংস রেঁধেছে বন আলু পুড়িয়ে। বিধানের পছন্দের। বড় তৃপ্তি নিয়ে হাত চেটেপুটে খেলো বিধান। খাওয়ার পর বাইরের মাচানে পা ঝুলিয়ে আগের দিনের মতো গপ্পো জমলো। হো হা হি হি…হলো যথেষ্ট। ফেরার সময় মেলাটা রাইত হয়ে গেল। দিপালী বললো-চলো তুমার সাথে একটুখানি পথ আগাই। বাড়ির কেউ আপত্তি করে না এতে। বিধান ঘরের ছেলের মতো। আর দিপালীর ছোট বেলার খেলা সাথীও বটেক। রাত-বিরাত হলেও দিপালীকে নিয়ে ডরেরতো কিছু নাই! যদিও দিপালীর ডালিম রাঙ্গা গায়ের রঙ, ডাগর চোখ কিন্তু এ রূপের কাঙ্গাল কে আর! ওর কৃত্রিম স্তন নিয়ে এ তল্লাটের কোন যুবার মাথা ব্যথা নাই। সবাই বুঝলেও তা বুঝতে চায় না। চান্দের আলো ফরশা হলেও গাছপালার অহম ভেদ করে যে আলো এখানে প্রবেশ করেছে তা ঝাঁঝরি কাটা কুচি কুচি। দিপালীর ফরশা মুখে সে আলোর পশর বাড়তি নান্দনিকতা রচনা করলে বিধান না তাকিয়ে পারে না। এই সঘন পথ চলা ব্যাকুল করে তোলে দিপালীকে। বিধানের হাত নিজের শক্ত আঙ্গুলে জড়িয়ে ধরে কাঙালের মতো। বলে-বিধান হামাক তুই আর ছোট কালের মতো ভালাবাসিস না, লয়? রোববার মেলাটাক্ষণ তোর লাগি দাঁড়ায় থাকলাম গিরজের বাইরে। কই একবারও আইলি না তো! বিধানের চান্নি রাইতের মোহ লাগা ঘোর দিপালীর পুরুষালী আঙ্গুলের খস খসে রশে ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে গেলে ও ঝটিতে দিপালীর হাতটা ছাড়িয়ে নেয়। বিধানের এই প্রত্যাখ্যান সপাৎ করে লাগে দিপালীর বুকে। তীরলাগা হরিণীর মতো কষ্ট করুণ চোখে বিধানের দিকে তাকায়- হামাক আর ভাল্লাগে না তোর, লয়? গাছ-গাছরার আড়াল আবডালে জ্যোৎস্না এড়ানো রাতের স্বরচিত অন্ধকারে বিধান খানিকটা সাহসী হয়ে ওঠে-তোরে আমি মায়া করি মেলা, ভালোও বাসি কিন্তুক সিটা পিরিতি লয়। রাতের পরিপাটি নিরজনতা ছিঁড়ে-খুড়ে দিপালী তীর বেঁধা হরিণীর মতো আর্তনাদ করে ওঠে- কেনে পিরিতি বাসোস না ক আমারে? কিসের খামতি আমার ! দুধ আলতা রঙ, চোখ, ঠোঁট কোনটা সুন্দর লয় আমার? দিপালীর ব্যাকুল গলা বিধানকে আরো ত্রস্ত ,আরো ভিতু করে তোলে। দিপালীর মরিয়া হয়ে ওঠা আকুলতাকে ডিঙ্গিয়ে, ওর সঘন সান্নিধ্য প্রত্যাখ্যান করে বন শিউলির ছায়া সমাচ্ছন্ন অন্ধকারে দাঁড়িয়ে অকপটে জানায়- হামাক ভুল বুঝোস না, আমি মরদ, আমার তো একটা টগবগা শরীর লাগেরে! বাতাসের গায়ে ঠেলা মারা বিধানের উড়াল মারা কথাগুলো বোধগম্য হলে দিপালী ক্রুদ্ধ তেজে ফেটে পড়ে- শরীর! রাতদিন তুই যে গিরজায় পইড়া থাাকোস, তর যে পরম ঈশ্বর, যারে না তুই না দেইখেও অন্ধের মতো ভালোবাসোস তার শরীর আছেরে বিধান? দিপালীর এই আরতনাদকে বিধান ফু মেরে উড়িয়ে দেয়- ইসব পাগলামী ছাড় আর মেলা রাইত হইছে ঘরে যা। হামাক আগায়া দেয়া লাগবেক না। বিধান দিপালীর সমস্ত্য প্রত্যাশার আয়োজন টপকে রহস্যময় আলো অন্ধকারের পথে হারিয়ে গেলে নির্জন বন মধ্যে একজন বুহন্নলা দাঁড়িয়ে থাকে একাকি।