আরজুমুন এর কবিতা
ভোকাট্টা ঘুড়ি হয়ে ফিরতে চাই না
ভোকাট্টা প্রেমের ঘুড়ি হয়ে ফিরতে চাই না প্রিয়তম, অন্তত কাঠ-পেরেকের মতো আলিঙ্গনের চুমু খেয়ে বলো ভালো থেকো।
হয়তো আস্তে আস্তে ঘুণে ধরা কাঠমন সয়ে যাবে।
তা না হলে কীভাবে বলো মেনে নিই কাষ্ঠে লোহার বিরহ!
ফুলের মধু পান না করে, ভ্রমর কী ফিরে গিয়েছিল?
ফুলের পাপড়ি ভেঙে আত্মগোপনে পাষাণ ভ্রমর!
ফুলতো তো কাঁদবেই, কতজল গড়ালে তুমি হাত ধরবে? কতবার মরলে তুমি কাঠ-ফুলের ব্যথা বুঝবে?
যদি বিরহের যাতনা নাই বুঝো তো মেরেই ফেলো।
গোটাকয়েক বছর কেন শতজন্মেও তোমাকে ভুলবো
কেমন করে? শীলা পাথরের মতো কঠিন হয়ে, হৃদয় নিয়ে লেখো না;
অন্তত একবার কাষ্ঠে লোহার মতো চুম্বনে ভরিয়ে দাও!
তাহলেই ফুল তার নিজস্ব সৌরভ ছড়িয়ে দিবে।
.
চিরকুট বদলে কবিতা
তিয়াসের বোতলে জমিয়েছিলাম এক মহাকাল অপেক্ষা।
অথচ, তোমাকে ভাবার মতো সেই অবসর নেই
হারিয়ে গেছি সময়ের অরণ্যে, জীবন সংগ্রামে
ঐ সীমারেখায় তোমার প্রবেশ এখন নিষিদ্ধ।
মনের আঁকিবুঁকিতে নিমজ্জিত প্রণয় প্রস্থান!
অতঃপর,
বর্ষার জলে ধুয়ে মুছে গেছে, দুর্বিষহ যাতনার ক্রান্ত সময়।
এখন আমি অরণ্য সবুজ চোখে ধরি, ইচ্ছে হলেই
আকাশে ভেসে বেড়াই, সময় পেলেন লিখি
চিরকুট বদলে কবিতা।