শিল্প-সংস্কৃতি

কথা সাহিত্যিক সৈয়দ নূরুল আলমের ৬২তম জন্ম দিনে কাব্যশীলন এর শুভেচ্ছা।

কথা সাহিত্যিক সৈয়দ নূরুল আলমের ৬২তম জন্ম দিনে কাব্যশীলন এর শুভেচ্ছা। ১৯৫৮ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার, কাশিয়ানি থানার, চাপ্তা গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা সৈয়দ জহুর আলী এবং মা জাহানারা বেগম। তিনি গ্রামের রাতইল নায়েবুন্নেছা ইনস্টিটিউশন থেকে এসএসসি, বরিশাল বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এছাড়া ঢাকা ল’কলেজ থেকে এলএলবি এবং ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ থেকে ডিএআইবিবি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরির মধ্য দিয়ে ১৯৭৯ সালে তিনি কর্ম জীবন শুরু করেন। এবং অতি সম্প্রতি তিনি উপ-মহাব্যবস্থাপক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অবসর গ্রহণ করেন। চাকরিকালিন শ্রীলংকা ও ভারতের পুনে থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সৈয়দ নূরুল আলম গল্প-কবিতা-প্রবন্ধ-উপন্যস-বুক রিভিউ লিখলেও, কথাসাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৪টি। একটি কবিতার এবং বাকি সবগুলো গল্প-উপন্যাস। ১৯৮৬ সালে রুনা প্রকাশনী থেকে তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘যুদ্ধের ছবি’ প্রকাশিত হয়। সে সময় ‘যুদ্ধের ছবি’ শিরোনামের গল্প নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হচ্ছে, যুদ্ধের ছবি (গল্পগ্রন্থ), ভালবাসা ( প্রাঃ) লিমিটেড (গল্পগ্রন্থ), বনের বাতাস (উপন্যাস),পাথর মেয়ে (উপন্যাস), একাত্তরের শিশু ( কিশোর গল্পগ্রন্থ), একুশের গল্প (সম্পাদনা), মেঘের মতো মেয়েরা (উপন্যাস), তিন গোয়েন্দা (কিশোর উপন্যাস), এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা (কিশোর উপন্যাস), ইচ্ছে করে আকাশ ছুঁই (গল্প গ্রন্থ), ঢেউ ওঠে ঢেউ ভাঙে (কবিতা), আগুনরঙা মেয়ে (উপন্যাস), ছোটদেরবন্ধু বঙ্গবন্ধু (জীবনী গ্রন্থ) ও বঙ্গবন্ধুর বেড়ে ওঠা (জীবনী গ্রন্থ)।মধুমতি নদীর পাড়ে, সবুজ-শ্যামল গ্রামে বেড়ে ওঠা সৈয়দ নূরুল আলমের লেখায় প্রকৃতি যেমন উঠে এসেছে, একই ভাবে উঠে এসেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। তাঁর বেশির ভাগ লেখাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। তখন তাঁর যুদ্ধে যাওয়ার বয়স হয়নি, ১২-১৩ বছরের কিশোর অপলক চেয়ে থেকেছে, তাদের বাড়িতে লুকিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, বাড়িতে জমা করে রাখা অস্ত্রের প্রতি। সেই থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ তাঁর মনের ভেতরে একটা জায়গা করে নিয়েছে। তাইতো ‘এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা’ উপন্যাসে তের বছরের জামাল চরিত্রটা হয়ত লেখক নিজেই। সৈয়দ নূরুল আলম বিভিন্ন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাহিত্য সংগঠন অধিকোষের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং দীর্ঘদিন ওই সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি অধিকোষের উপদেষ্টা এবং পদক্ষেপ বাংলাদেশ, ঢাকা মাহানগর কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। লেখালেখির জন্য সম্মাননা ও পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন কবি জসিম উদদীন পুরস্কার, রাজশাহী সাহিত্য পরিষদ থেকে সম্মাননা, জাতীয় পর্যায়ে বিকাশ পুরস্কার, অধিকোষ পুরস্কার ইত্যাদি সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ব্যক্তিজীবনে জনাব আলম একজন হাসি-খুশি, স্বল্পভাষী, বিনয়ী মানুষ। সৈয়দ নূরুল আলমকে কাব্যশীলন এর পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *