গুচ্ছ কবিতা শ্রাবণী গুপ্ত
শ্রাবণী গুপ্ত
বরং চলো
বরং চলো
সমুদ্রে যাই
তোমার রাগের ওপর সন্ধ্যার ছায়া আসুক নেমে,
আমি অনুমান করি তোমার অনন্ত পরিধি,
অনুবাদ করি তোমার রাগ
সমুদ্রের নোনা জলে,
উদভ্রান্ত বাতাসে,
ফিরে যাওয়া ঢেউয়ে।
ছদ্ম
একটা কথা সত্যি না মিথ্যে
ভাবতে ভাবতেই বেলা ছোটো হয়ে আসে
দীর্ঘতর ছায়ারা আমাদের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটে
দলছুট পাখিরা ডানায় ভর দিয়ে উড়ে যায়….
একএক কথা একেক রকমের
প্রশ্ন নিয়ে মাথা উঁচু করে, মুখ লুকোয়
উত্তরটা কেবল লুকিয়ে থাকে ছদ্মবেশে
সত্যি আর মিথ্যের মাঝে হাইফেন হয়ে।
আবহ
এ কি বলতে চাইছো তুমি,
বাতাসের কান থেকে সরিয়ে ফেলতে চাইছো আবহ।
আমি মূর্খ নই, হয়তো
তোমার দীপ্ত চোখ আমার পড়া হয়নি কোনদিন
আমি মূর্খ নই, হয়তো
তোমার দেওয়ালে কান পাতা হয়নি কোনদিন
তবু জানি
বাতাস সরিয়ে ফেললেও তার গন্ধ থেকে যায় ফেলে আসা চৌকাঠে
এসব কথার কাছে নগ্ন হতে হতে আমি বিধ্বস্ত
হে উন্মত্ত প্রলাপ
আমাকে মূক হতে শেখাও।
চুম্বন
ভোরের শিশির থেকে কিছুটা চুম্বনজল, যদি আনো চুরি করে,যদি রাখো কাছে,
গভীরে, সংগোপনে।
আমার সে পরাকাষ্ঠা প্রাণ, আমার সে অগ্নিদগ্ধা প্রাণ, আমার সে সূর্যতপা প্রাণ, কী জানি হয়তোবা নদী হয়ে যায়, তোমার চুম্বনে।