ধর্ষকের মুখোশ খুলে দিতে প্রিন্স আশরাফের রাজশহরের পরী আসছে
অমর একুশে বইমেলা ২০২০ এ আসছে একটি অজ্ঞাত ধর্ষণ এবং সেই ধর্ষণকে ঘিরে গড়ে ওঠা উপন্যাস ‘ রাজশহরের পরী।’
একদিন খুব ভোরে রাজশহরের কেন্দ্রস্থলে বিশালকার শাপলা ফুলের ভাস্কর্যের পাশের মানুষেরা দেখতে পায় শাদা শাপলা ফুলের শাদা পাপড়ির গায়ে কালোমতো কি যেন একটা ঝুলে আছে। কাছে এগিয়ে গিয়ে দেখে এক তরুণী গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায়…গলায় পেচানো ওড়না ছাড়া যুবতীর শরীরে আর কোন বস্ত্র নেই।
শুরু হয় তোলপাড়, উৎসুক জনতা মোবাইল হাতে নগ্ন মেয়েটির ফটো ভিডিও করতে উদ্যোৎ হয়, মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে খবর। আশে পুলিশ। কিন্তু একটি দেশের রাজশহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এরকম অদ্ভুত হত্যা বা আত্মহত্যার জেরে তারাও কি করবে ভেবে পায় না। ওখানকার বেচারা পুলিশ নগ্ন মেয়েটাকে একটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতেও সাহস করে না পরে এভিডেন্স নষ্ট করা হয়েছে ভেবে শাস্তির ভয়ে। ওরা উর্ধতন কর্তপক্ষকে খবর পাঠায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার কারণে খবরটা সবর্ত্র ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষত একটা যুবতি মেয়ের কাহিনী এবং সেই মেয়েটা যখন পুরোপুরি নগ্ন তখন তো রহস্যের সাথে আদিম রসও বেয়ে বেয়ে পড়ে। উৎসুক জনতার ভিড় নামে রাজশহরের শাপলা ফুলের পাশে…ফুলের বাগানে সাপের মতোই হয়ে দাঁড়ায় ব্যাপারটা…
নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাজশহরের ময়ূর জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করতে প্রশাসনকে আহবান জানায়। ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, নিপীড়নের জন্য গঠিত হয় আলাদা ইউনিট…রাজশহরের পরী নামের সেই র্যাপিড এ্যাকশন ইউনিটের কাজ সমাজের ধর্ষণের মাত্রা জিরোতে নিয়ে আসা…
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, মেয়েটার আইডেন্টি। ময়নাতদন্তে ধর্ষিত হওয়া ছাড়া তার আর কোন পরিচয় খুজে পাওয়া যায় না মেয়েটির। যেন ধর্ষণই মেয়েটির একমাত্র পরিচয়!
ধর্ষিত মেয়েটির পরিচয়ের খোঁজ চলে
রাজ্যজুড়ে…পতিতালয় থেকে শুরু করে মাদ্রাসায়…
উঠে এসে এক ভিন্নতর কাহিনী… মেয়র, কাউন্সিলার, পুলিশ কর্মকর্তা, গোয়েন্দা পুলিশ জড়িয়ে পড়ে ঘটনার সাথে….
লিভ টুগেদার করা এক জোড়া যুবক যুবতী আটকে যায় ঘটনাচক্রে…
ক্রসফায়ার এবং অজ্ঞাত আততায়ীর হাতে একের পর এক ধর্ষককে হত্যা এবং ধর্ষকের মৃতদেহের পাশে পড়ে থাকা চিরকুট থেকেও কোন সূত্র বেরিয়ে আসে না…
ধর্ষকের হত্যা যখন ঘটনার মোড় নেয় তখনই বেরিয়ে আসে অন্য এক কাহিনী…
গল্পটির এই ফেইসবুক পোস্ট পড়ে সত্যিই মর্মাহত হলাম। পুরো গল্পটি পড়তে খুব ইচ্ছে।
গল্পের লেখক প্রিন্স আশরাফ ভাইয়াকে স্যালুট জানাই এমন বাস্তব চিত্র চমৎকারভাবে তুলে আনার জন্য।
On of the perfect novel by Prince Ashraf Vai