ছড়া

গুচ্ছ ছড়া।। ইমামুদ্দীন ইমন

বিজয় দিনে

পাক বাহিনীর হিংস্র থাবা
আজও পড়ে মনে,
আঁধার দেখলেই আঁতকে উঠি
কাঁদি ক্ষণে ক্ষণে।

পেট পুড়ে আজ খাবো যে ভাত
ঠিক করেছিনু মনে,
খাওয়া শেষে মুখ রাঙাবো
সুপারি আর পানে।

খুশিতে ছোট সুর দিছিল
পুরনো সেই গানে,
শেষ না হতেই লুটিয়ে পড়লো
পাকিদের স্টেনগানে।

বঙ্গ কন্যা নাচে যে আজ
বিজয়ের সেই গানে,
আমার মনেও সুখ জমেছে
বিজয়ের এই দিনে

মায়ের স্বপ্ন

জন্ম আমার তোমার কোলে
অচেনা এই ভুবনে,
তোমার স্বপ্ন আমার মাঝে
বাসা বাঁধে গোপনে।

খোকা তোমার বড় হবে
আসবে দেশের কাজে,
দেশ-মাতাকে সাজাবে সে
নিত্য নতুন সাজে।

পথহারা মানুষ গুলো
পাবে পথের দেখা,
হতাশ হওয়া তরুণ বুকে
জাগবে নতুন রেখা।

কষ্ট আমি পাই নি কভু
তোমার ছায়ায় মাগো,
এমন ছেলে জন্ম দিতে
সব জননী জাগো।

নারী

কখনো তুমি মাতারূপী
কখনো ঘরের বউ,
কখনও তুমি বোন বা কন্যা
আপন জনের কেউ।

মায়ের কাছে সবাই ঋণী
একথা সবাই জানে,
স্বামীকে যে মানতে হবে
একথা ক’জন মানে?

কলির যুগে অনেক নারী
করছে অনেক কিছু,
বলতে গেলে যুগ বলে যায়
আমি আছি তার পিছু।

চার দেয়ালে বন্দী হয়ে
আর কতকাল থাকবো,
দয়া করে আমায় ছাড়ো
জগতে চোখ রাখবো।

চলার পথে তাদের দেখি
নেই কোন আজ বাধা,
প্রেমানলে পুড়তে তারা
হয় কখনো রাধা।

বাবা

বাবা তুমি মহা মানব
আমার দুটি চোখে,
সত্য বলার সাহস তুমি
আমার কচি বুকে।

বাবা তুমি চোখের আড়াল
মনের আড়াল নও,
সত্য পথের দিশা তুমি
আমার পাথেয় হও।

বাবা তোমার আদর্শটা
মনে প্রাণে মানি,
আল্লাহ রাসূল তাহার পরে
তোমায় বড় জানি।

বাবা তোমার কোমল মুখে
স্বর্গ আমি দেখি,
তোমার কথা ভেবে আমি
কাব্য শত লিখি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *