নাট্যোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। শেষ পর্ব
- নাট্যোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। পর্ব ছয়
- নাট্যোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদচৌধুরী।। পর্ব দশ
- নাট্যোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। পর্ব এক
- নাট্যোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। পর্ব সাত
- নাট্যোপনাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। পর্ব চার
- নাট্যোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। পর্ব পাঁচ
- নাট্যোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। পর্ব তোরো
- নাট্টোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। পর্ব আট
- নাট্টোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। পর্ব নয়
- নাট্যোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। পর্ব তিন
- নাট্যোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। পর্ব দুই
- নাট্যোপনাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। পর্ব এগারো
- নাট্যোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। পর্ব বারো
- নাট্যোপন্যাস।। জলের ভেতর জলের বিসর্জন।। ড. মুকিদ চৌধুরী।। শেষ পর্ব
রাধারমণ-সংগীত
এমনও মায়ারও কান্দন আর কাইন্দ না রাই বিনোদিনী
এ-গো এমনও কান্দনে না আর আইব শ্যামচাঁন গুণমণি
তুমি না ছিলে গো রাধে, আয়ানেরও ঘরণী
কোন্ ভাগিনার প্রেমে মন মজাইয়া গো হইলায় কলঙ্কিনী
ও তুমি কার লাগি কান্দায়া কান্দায়া পোহাইলা রজনী
এ-গো গেলে কালা আর আসব না, সে কথা কি তুমি জানো না
ভাইবে রাধারমণ বলে শুনো গো বিনোদিনী
ও-গো কালার প্রেমে আছে বাঁধা ষোলো’শ রমণী।
ঘেটুনাচ পরিবেশন করল ননী ও তার দল। এই নাচের কারণে শংকরের হৃদয়ের মধ্যে হিমেল হাওয়ার মতো আনন্দ গভীর হয়ে দানা বাঁধতে থাকে। এ-যেন পরিপূর্ণ আনন্দ। ভাতের ফেনের মতো উপচে পড়া আনন্দ। এত আনন্দ তার কোথায় ছিল? তার প্রাণে কি এত আনন্দ থাকতে পারে? সে কি অলৌকিক সুখে সুখী? তার রক্ত-মাংসে যেন পুতুলের নাচ শুরু হয়েছে। পরিতৃপ্তিতে ভরে যাচ্ছে তার হাসি। সে যেন নিজ মনেই হাসছে—আহ্লাদে, মায়ায়। তার দেহ শিহরিত। শরীরের যৌনবোধ উন্মেলিত। কিন্তু ননী? সে আপন মনে বলতে থাকে : বউদির স্মৃতি এখনও আমার মনে উত্তপ্ত। কমলিকার চলে যাওয়ার দৃশ্যটি তাকে ভীষণভাবে পীড়ন দিচ্ছে। ননীর কাছে এই স্মৃতি যেন আশ্চর্য এক জটিল প্রতিবাদের উৎসভূমি। কেন স্মৃতি মনে জ্বালা ধরায়? ননীর মন অভিমানে প্রসন্ন। তার অভিমান আস্তেধীরে ধারালো হতে লাগল। অন্তর্জগৎ কি লীলায় চঞ্চল হয়ে ওঠে? অন্যায় কাজের জন্য কাউকে যদি ঠেলে দেওয়া হয়, তাহলে সে কী করবে? কমলিকার প্রতি যে-ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ননী মেনে নিতে আজও পারছে না। কমলিকার প্রতি রায়বাহাদুরের ঘটনাটি তার অন্তরে বিষযন্ত্রের মতো ক্রমশ জাগ্রত হয়ে উঠছে। তার হৃদয় অবিশ্রান্তভাবে তোলপাড় করে চলেছে। সে ভয় পাচ্ছে না। অন্যদিকে, কমলিকার বিদায়দৃশ্যটি সে কোনও মতেই মেনে নিতে পারছে না।
রাত্রি অন্ধকার। রায়কুটিরের পশ্চাদ্বর্তী বাঁশবন থেকে শিয়ালের ডাক ভেসে আসতে থাকে। ডেকে ডেকে আবার থেমে যায়। বাঁশবনের ঈশ্বর হয়তো-বা নিশীথের নিস্তব্ধতা পরিমাপ করছেন। ননী গবাক্ষের অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে ছিল, সেদিক থেকে চোখ ফিরিয়ে সে একটি আপ্তবাক্য উচ্চারণ করল : লোভ থেকে কি মানুষের মনে ভীতি জন্মায়?
রায়বাহাদুর বললেন : তোমার তো চরম অনুভূতি লাভ হয়নি, তাই ভয়। যার পরম অনুভূতি লাভ হয়নি, সে বিবেকবান হলেও ক্রূরদৃষ্টি, গর্জনকারী ও উদ্যতখড়্গহস্ত শক্তিশালী আক্রমণকারীকে দর্শন করা মাত্র তার কাছে থেকে পালিয়ে যায়। অতএব, এই রূপ মনুষ্যের প্রমাণ-প্রমেয় ব্যবহার পশুর সমান। স্থির হয়ে কিয়ৎকাল বসে রইলেন। যেন এই নির্জন রাত্রির মধ্য দিয়ে কত যুগের অন্ধকার নিশাকাল পার হয়ে চলেছেন। একবার শুধু প্রদীপের শিখাটিকে শলাকা দ্বারা উন্মুখ করে দিলেন। তারপর কক্ষের নীরবতা ভেঙে বললেন : আমি মনে করি, সবই বিধির বিধান। কেউই বিধির বিধান অমান্য করতে পারে না। আমিও পারি না, বরং সুন্দরকে অবহেলা ও অশ্রদ্ধা করাকে অবাধ্যতা বলেই বিবেচনা করি। গত রাত্রিতে একজন সুন্দরী রমণীকে মন্থন করেছি, আর আজ…
ননী সঙ্গে সঙ্গেই বলল, আজ কী?
আজ তুমি অসাধারণ ঘেটুনাচ নাচলে। অপূর্ব তোমার নৃত্য। আমি পরিতৃপ্ত। তোমার ভাগ্য আজ প্রসন্ন।
ননী অবাক হয়ে দেখল, এক প্রকাণ্ড খাটে এক দীর্ঘদেহী, সম্পূর্ণ নগ্ন, বয়োবৃদ্ধ রায়বাহাদুর শুয়ে আছেন। তার মুখমণ্ডল কী এক অনির্বচনীয় আনন্দে উদ্ভাসিত! তার দিকে দৃষ্টি রেখেই ননী মনে মনে বলল : সকলের পক্ষে ভাগ্য প্রসন্ন হওয়া সম্ভব নয়। অনেকের জন্যই প্রত্যাঘাত করার প্রয়োজন আছে, কিন্তু আজ আমি অন্য-একটি সংকটে পতিত। তা গভীর, আরও কঠিন। আর প্রকাশ্যে বলল : আপনি রায়বাহাদুর। আমার প্রভু। আর আমি এক অতি নগণ্য মানুষ। আপনাকে ঘেটুনাচে মুগ্ধ করতে পেরে আমি ধন্য।
রায়বাহাদুর বুঝতে অক্ষম যে, ননীর মুখে প্রশংসা প্রকাশ পেলেও তা তার অন্তরের কথা নয়। এই অক্ষমতার কারণেই রায়বাহাদুর বললেন, আমি আনন্দিত।
ননীর চোখে রায়বাহাদুরকে মনে হল এক রক্তপিপাসু মূর্তি। তার অন্তরের কথা প্রকাশ করতেই সে বলে উঠল, যথার্থ বলেছেন। দেখুন, ভাটিদেশের প্রকৃতি কেমন যেন জেগে উঠেছে। আকাশকে দেখুন, ঘোলাটে দেখাচ্ছে। বাতাসকে উপলব্ধি করুন, সে যেন দম বন্ধ হয়ে আছে।
মানে?
মানে, প্রকৃতি আবার ঢালবে, ঢেলেই তবে শান্ত হবে।
কী ঢালবে?
জল।
জল!
একই সঙ্গে রায়বাহাদুর ঘাড় নেড়ে অসম্মতি প্রকাশ করলেন। তখন ননী প্রলোভন প্রদর্শনপূর্বক বলল, জলের ভেতর জলের বিসর্জন।
জলের ভেতর জলের বিসর্জন মানে কী?
এখনই উপযুক্ত সময় বান-ডাকার, বান-ভাঙার সময়, জলের ভেতর জলের বিসর্জনের সময়।
ননীকে শক্তভাবে জড়িয়ে ধরার জন্য এগিয়ে গেলেন রায়বাহাদুর। সঙ্গে সঙ্গেই ননীর অন্তরে একেবারে ডোরাকাটা বাঘের মতো এক প্রবল প্রতাপান্বিত শক্তি জেগে উঠল। এতই তীব্র ক্রোধ সৃষ্টি হল যে, সে প্রবল শক্তিতে, আচমকা, প্রবল ঝটকায় রায়বাহাদুরকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল। রায়বাহাদুর ভাবতেই পারেননি, ননী এমনভাবে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। তিনি ঝলসে উঠলেন। নগ্ন রায়বাহাদুর অট্টহাস্যে ফেটে পড়লেন। এই বিপুল হাস্যের তরঙ্গ যেন দমকে দমকে বেরিয়ে রায়কুটিরকে সন্ত্রস্ত করে আকাশে উড়ে গেল। অপ্রস্তুত ননী কম্পিত হল। হাস্যবেগ প্রশমিত হলে রায়বাহাদুর বললেন, ঐহিক জগতের সম্রাট আমি! তুমি আজ কী কৌতুকে আমাকে ধাক্কা দিলে? কী হাসির কথা! তুমি আমাকে মারবে? জানো, আমি কে? আমার মন নই, বুদ্ধি নেই—আমার মৃত্যু নেই, জন্ম নেই, ভয় নেই, আমি শাশ্বত, অমোঘ, অবিনাশী সত্তা। আমি এক সর্বব্যাপী বোধ। আমি ভিন্ন অন্য কিছুই নেই।
ধাক্কার গতি সামলাতে-না-সামলাতেই—পড়ে যেতে যেতে গিয়ে উঠে আসার সময়—ননী রায়বাহাদুর আহত হননি দেখে ক্রোধে জ্বলে উঠল। রুষ্টভাবে আবার ননী ধাক্কা বসিয়ে দিল, ঠিক তখনই রায়বাহাদুর ছিটকে গিয়ে পড়লেন কলের গানের ঝংধরা পুরাতন যন্ত্রটির ওপর। সঙ্গে সঙ্গেই যন্ত্রটির গান-বাজানোর দণ্ডটি রায়বাহাদুরের মাথায় বিঁধে গেল। রায়বাহাদুরের কণ্ঠ থেকে একটিমাত্র শব্দ বেরিয়ে এল : ঈশ্বর!
ননী নিজের ভেতর তলিয়ে গেল। সদ্যোলব্ধ ভয়ানক অভিজ্ঞতা হৃদ্দেশে পুনরায় ভেসে উঠছে। কী নারকীয় অভিজ্ঞতা! যন্ত্র মানুষের রক্তে এমন করে পিপাসা মেটাতে পারে, সে কখনও দেখেনি। কিন্তু কী বিপুল আত্মগর্ব ননীর! ঊর্ধ্বমুখে বলতে লাগল, আমি কমলিকার মতো বোকা নই। আমি বোকা নই। এই ঘটনাটির জন্য রায়বাহাদুরই দায়ী। আমি কেবল ভাটিদেশের এক ঘেটুপুত্র। জলে ভেসে বেড়ানো এক বিষধর সাপ।
রায়কুটির থেকে দ্রুত পালিয়ে এসে ননী পৌঁছে নদীর ঘাটে, তখনই কায়া জেগে উঠল, বলল : তুমি ঘেটুপুত্রই হও আর বিষধর সাপই হও, তুমি কি আমার সঙ্গে আবৃত্তি করতে পেরেছ? পারলে আমার নামেই আবৃত্তি করো।
ননী : কেন?
কায়া : আমি তোমার কায়া। জলের দিকে তাকিয়ে দেখো, সত্যিই আমি তোমার কায়া।
ননী : হ্যাঁ, তুমি আমারই ছায়া। শুধু আমারই। তুমি আমাকে কোনও দিন ছেড়ে যেয়ো না।
কায়া : ঠিক আছে যাব না, কিন্তু এই ভাটিদেশের সঙ্গে আমার যতবার সংযোগ ঘটেছে, ততবারই দেখেছি আশ্চর্য সব ঘটনা ঘটতে। এবারও একই স্বাদ নিলাম।
ননী : তোমার কথায় আমার হৃদয় বিপুল আবেগে আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। তুমি কি তোমার প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজেছিলে?
কায়া : না, না। এমন ভয়ংকর কথা তুমি আর কাউকে বোলো না। কেউই বুঝবে না তোমার কথা। ভাটিদেশের স্বাদ কিন্তু বিভীষিকাময়। কেউ তা কখনও অনুভব করতে পারবে না। করতে চাইবেও না।
ননী : তাহলে তুমি কেন যমদূতরূপে কাজ করলে? তুমি পশুর চেয়েও হিংস্র। তুমি ইচ্ছে করেই এই ভাটিদেশের প্রবহমান জলে অনন্তকালব্যাপী সাঁতার কাটছ।
কায়া : না, অবশ্যই তা নয়। এই মহাজলভূমিতে অবশ্যই ইচ্ছে ছিল আমার উৎস বিলীন করার। অদৃশ্য আড়াল থেকে আমাকে এই-যে রায়কুটির অপূর্ব আহ্বান করে চলেছে, তার ইটের ভাঁজে ও অভাঁজে তুমি ঠিকই আমার সন্ধান পেয়েছ। তুমি বুঝতে পেরেছ, মনুষ্যজন্মের চেয়ে ঢের ভালো হচ্ছে বৃক্ষজনম।
ননী : আর মা মৃত্তিকা?
কায়া : সে তো শুধুই মরীচিকা। আমি আর কেউ নই। আমি তোমারই অপর সত্তা। তোমার অন্ধকার সত্তা। আমি আসলে তুমিই। আমি কায়া। আমি তোমার মধ্যে বিদ্যমান। আমি তোমার জীবনযাপনে ব্যাপৃত। আমি বলে চলেছি, জীবনকে তুমি ভালোবাসো, মৃত্যুকে নয়। জীবন ভীষণ লোভনীয়। একে তীব্র আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরো। চুম্বন করো জীবনের বাস্তব-ওষ্ঠে। ভাটিদেশকে ভালোবাসো। ভাটিদেশের ভয়ংকর উত্তাল জলতরঙ্গকে ভালোবাসো। কলকল জলরাশিকে ভালোবাসো। কমলিকাকেও ভালোবাসো।
ননী : অদ্ভুত! কী সাধারণ সব কথা! তাহলে কমলিকাকে ভালোবেসেই তুমি এখানে ফিরে এসেছিলে?
কায়া : ভাটিদেশের জলসৌন্দর্যের পিয়াসী আমি। আমি হতে চাই কমলিকা। কামনায়, বাসনায়, যাতনায়, দ্রোহে খুঁজে চলেছি শুধু হিংস্র-মানুষগুলোকে। তুমি দেখেছ আমাকে তোমার প্রেমে, অনাবিল সরোবরে রাজহংসের মিথুনে। এবার তোমার মাধ্যমেই প্রতিশোধ নিয়েছি, তোমার হৃদয়ের ভালোবাসা নিংড়ে, আনন্দ-উল্লাসে, তোমার ধমনির প্রতিবাদী প্রবাহে।
রাধারমণ–সংগীত
পিরিতি বিষম জ্বালা, সয় না আমার গায়
কুল নিল গো শ্যামের বাঁশি প্রাণ নিল কালায়।
ঘরে বাইরে থাকে বন্ধু, ঐ পিরিতের দায়
কালা তো সামান্য নয়, রাধার মন ভুলায়।
ভাইবে রাধারমণ বলে শোনো গো ললিতায়
জন্ম : ১২ নভেম্বর ১৯৬৮, মুকিমপুর, নবীগঞ্জ। পিতা : দ্রোহী কথাসাহিত্যিক আব্দুর রউফ চৌধুরী। মাতা : রতœগর্ভা শিরীণ চৌধুরী।
ড. মুকিদ চৌধুরী একাধারে বিজ্ঞানী, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও কবি। বাংলা সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে তাঁর পদচারণা। নাট্যোপন্যাস : যোদ্ধা, আটই ফাল্গুন, অপূর্ণতার পরিপূর্ণতা (নাট্যোপন্যাস পঞ্চক), অশোকানন্দ, কর্ণপুরাণ, গোমতীর উপাখ্যান, তারকাঁটার ভাঁজে, রাজাবলি ইত্যাদি। নাটক : ত্রয়ী (নাটক : যোদ্ধা, কলকাতায় মির্জা গালিব, আটই ফাল্গুন), জলের ভেতর জলের বিসর্জন, অপ্রাকৃতিক প্রকৃতি, বন্ধ্যা ইত্যাদি। গল্পসম্ভার : তীরের বৃক্ষরাজি, কস্তুরী গন্ধ, খুঁত। কাব্যসম্ভার : অনাহূত অতিথি, বিষের বিন্দু, কবিতাসমগ্র : ১। কাব্যনাট্য : গঙ্গাঋদ্ধির নারীবৃন্দ, রাজা গৌড় গোবিন্দ, মেঘদূত। গবেষণা : জার্মানি : অতীত ও বর্তমান, ইংল্যান্ড : সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, নেপোলিয়ন বোনাপার্ট, ফরাসি বিপ্লব (১৭৮৯—১৭৯৯), স্বরূপ অন্বেষণ (হবিগঞ্জের ইতিহাস)। সাহিত্য ও সংস্কৃতি : জার্মান সাহিত্য : প্রাম্ভর থেকে অধুনা, কথাকলির একটি মানচিত্র, নৃত্য। বিজ্ঞান : পৃথিবী।