ছড়া

নির্বাচিত ছড়া-কাজী নাজরিন

হঠাৎ করে না জানিয়ে
মন বাগানের ঝাউ বনে
টাপুরটুপুর ছন্দ সুরে
ভিজিয়ে দেবে ক্ষণে ক্ষণে।
রাত দুপুরে ঝিরিঝিরি
শীতল পরশ গায়ে মেখে
মনের সাথে আলিঙ্গনে
কথা হবে চোখে চোখে।
ঘুম শহরে ভীড়ের মাঝে
চুপিচুপি এসো তবে
হাত দু’খানা উজাড় করে
আগলে নেবে বুকে তবে।

নিশি ভাবনা মন পিঞ্জরে
পাঁজর খোঁড়া ছোবল মারে
কর্ণকুহরে বিষাদ জ্বালা
আধমরা নীড়ে বারেবারে।
যমদূত ভাসে তন্দ্রাঘোরে
জাগরণে বিপুল নিরুত্তাপ
আবছায়া ঘোরে মানসপটে
দিবালোকে ভারী সূর্য তাপ।
নিশি ভাবনা জাগিয়ে তোলে
নিথর মনের হাজারো কায়া
জগৎ মাঝে চুম্বন খেলা
জাগিয়ে তোলে ভীষণ মায়া।

মনের অজান্তে গাঁথা সযতনে
রয়েছো বহুদূর
অবাক নয়নে মুক্তমনে
বাজে করুন সুর।
শিউলি ফুলের সুবাস ছড়ানো
চৈতি মেয়ের চুল
বকুল ফুলের মালা হয়ে
মাথায় জোটে ফুল।
হোক না শত জুট ঝামেলা
আসুক তুফান বৃষ্টি
আনমনে মুক্ত নয়নে
অবিরাম শুভ দৃষ্টি।

ব্যথাতুর বুকে ক্রন্দন ধ্বনি
বাড়ছে অবিরাম
বন্যার পানিতে প্রাণের স্বজন
অসহায় ভাসমান।
বানের জলে কতো কতো জন
নিখোঁজ অজান্তে
কঠিন থেকে কঠিনতম লড়াই
ফিরবে কি গন্তব্যে?
দল মত সব ভেদাভেদ ভুলে
এক সারিতে আজ
বন্যায় যেনো হতবিহ্বল
কপালে পড়ছে ভাঁজ।

শরৎ মেঘের কন্যা আমি
শুভ্র আকাশ খুঁজি
সাদা মেঘের ভেলায় ভাসি
যখন দু’চোখ বুঝি।
নীল শাড়ীতে আলিঙ্গনে
আবির মাখা গায়
হাত দু’খানা চুড়ির বাহার
নূপুর জোড়া পা’য়।
স্বপ্নডানায় ভেসে ভেসে
শরৎ পাখির মতন
শরৎ মেঘের কন্যা আমি
করবে আমার যতন?

আয়রে আমার খুকুমণি
আয়রে আমার কাছে
কোলে নিয়ে করবো আদর
রাখবো তোকে পাশে।
মাথায় তুলে রাখবো তোকে
গলায় দিব মালা
বিকেল বেলার মিষ্টি হাওয়ায়
করবো মিলে খেলা।
তোর পছন্দের সকল খাবার
তোকে আমি দিব
মিষ্টি সুরের গান শুনিয়ে
ঘুম পাড়িয়ে দিব।
তোর খুশিতে হাসবো আমি
তোর দুঃখতে কাঁদবো
তোর সকল চাওয়া পাওয়ায়
আমি ছুটে আসবো।
তুই আমার লক্ষীসোনা
তুই যে নয়ন মণি
আমার কাছে তুই সেরা
ওরে খুকুমণি।

স্যরি একটা ছোট্ট কথা
ভুলের পরে বলা
ছোট বড় সবার সাথে
স্যরি বলে চলা।
ভুল যদি হয় আমার কভু
স্যরি বলি তখন
ছোট্ট খুকীর সাথেও আমার
স্যরি যখন তখন।
ছোট্ট কথা হোক না স্যরি
মূল্য কিন্তু বেশি
একটুখানি বিনীত ভাবে
বললে সবাই খুশি।
ছোট ছোট ভুল গুলোতে
বলুন সবাই স্যরি
ঝুট ঝামেলা দূর করিয়ে
সুসম্পর্ক গড়ি।

নীলাঞ্জনার নীল নীল চোখে
ফোটে মায়ার কানন
নীলাঞ্জনা তোমায় ঘিরে
আমার স্বপ্ন বুনন।
নীলাঞ্জনার মাঝেই দেখি
নীল আকাশের তারা
নীল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে
হবো পাগল পারা।
শূন্য আমার হৃদয় মাঝে
নীলাঞ্জনার মাজার
সবকিছু কে ছেড়ে ছুঁড়ে
সে-ই বুকের পাঁজর।
নীলাঞ্জনা তোর হাসিতে
ভরে আমার মন
তোর চোখেতে চোখ রাখলে
জুড়ায় আমার প্রাণ।

ছোট্ট বেলায় হরেকরকম
মজার খেলা খেলতাম
পুতুল পুতুল খেলা করে
অনেক মজা পাইতাম।
পুতুল নিয়ে খেলতে গিয়ে
কতো যে গান গাইতাম
মিছেমিছি হরেকরকম
মজার খাবার খাইতাম।
পুতুল সোনার অন্যের ঘরে
মিছে বিয়ে দিতাম
শশুর বাড়ি যাওয়ার আগে
কতো কান্না করতাম।
থালা ভরা পান সুপারি
আরও দিতাম পিঠে
পুতুল পুতুল খেলা করে
আরও খেতাম মিঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *